স্বর্ণলতা আমি, কেউ কেউ সৌখিন নামে আমায় ডেকেছিলো সূর্বণলতা।
আজন্ম ইচ্ছে ছিলো আকাশের কাছাকাছি পৌছুবার! ইচ্ছে ছিলো আকাশচুম্বী ঐ মহীরুহের মত আকাশ ছোঁবার! তাই একদিন তোমাকে আকড়ে ধরলাম মহীরুহ!
আমার মহীরুহ! পরম মমতায় বুকে টেনে নিলে আমাকে তুমি। আশ্রয় দিলে তোমার বিশাল বক্ষে। তোমাকে আস্ঠেপিস্ঠে জড়িয়ে , তোমার বক্ষে দাগ কেটে কেটে বেড়ে উঠতে লাগলাম আমি। তোমার ভালোবাসায় অংকুরিত লতা।
ভুলে গেলাম, বেমালুম ভুলে গেলাম আমার স্বর্ণলতার জাতবৈশিস্ট ও স্বভাবজাত গুণে আজীবন বয়ে চলা সকল লান্ছনা গন্জনা, ভৎসনা ও অভিসম্পাতের অতীত কাহিনী। সব ভুলে আমি তোমার ভালোবাসার নব উজ্জীবনী সুধা পান করে নতুন জীবনের স্বপ্নে বিভোর হয়ে রইলাম।
আমার প্রতিটি ভোরের সুচনা হত,
তোমার প্রথম স্পর্শে।
আমার প্রতিটি মধ্যাহ্নের উদাস প্রহরে,
পড়ন্ত বিকেলের মাধুরিমায়,
সন্ধ্যার গোধুলীর লালিমায়,
সবখানেই, সবকিছুতেই
শুধু ছিলে তুমি তুমি আর তুমি।
আমার সারাবেলা সারাক্ষণ
সবই ছিলো তোমাকেই ঘিরে।
আমার চারিদিকে ছিলে
শুধু তুমি, তুমি আর তুমি।
সারাটা দিন কেটে যেত কি এক জাদুকরী ভালোলাগায়। সারাটা রাত কেটে যেত স্বপনের মায়াবী জাল বুনে বুনে। জোছনার মায়াবী আলোয় গান শুনিয়ে ঘুম পাড়াতাম তোমাকে আমি। কানে কানে,চুপি চুপি!
কেউ শোনেনি সেই গান শুধু শুনেছিলে একমাত্র তুমি।
তোমার জন্য, শুধু তোমার জন্য ই ছিলো আমার সেসব গান! ঝড় জল তিমির রাত্রীতে শুধু তুমি ছিলে আমার সংগে। আমার যেন আর কিছুই প্রয়োজন ছিলোনা। তুমিই ছিলে আমার সকল পাওয়া। আমার অনেক সাধনায় পাওয়া একমাত্র অবলম্বন। আমার একমাত্র ঠায়।
একদিন---
টেনে হিচড়ে ছিড়ে ফেলা এই আমি পড়ে রইলাম পথের ধুলোয়। বুকের তীব্র ক্ষত যন্ত্রনা কাতরতা চেপে রেখে, প্রাণপণে দুচোখ বুজে রইলাম আমি। শুধু তোমার যন্ত্রনা কাতর মুখ খানি দেখতে চাইনা বলে!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।