সাহিত্য লেখক উত্তর:- জনাব মাতুব্বর একটি অতি প্রাচীন প্রশ্ন তুলেছেন। এ ব্যাপারে অনেক চিন্তাবিদ বিভিন্ন মতামত দিয়েছেন। আমি আমার ব্যক্তিগত মতামত নিন্মে প্রদান করছি যদিও এগুলি ধর্মীয় সমাধান নয়, শুধুমাত্র আমার ব্যক্তি দর্শন।
তখন মক্কা মদীনায় যারা বসবাস করতেন তারা ছিলেন অধিকাংশ ইহুদী ও খ্রীষ্টান। মৃত দেহ তাঁরাও কবর দিতেন।
তাই কবর সম্বন্ধে সবার সাধারণ ভীতি ছিল । নানারূপ ধারণাও গড়ে উঠে। কবরে মনকির-নকিরের আগমন ,কথোপকথন এবং শাস্তি এক ধরনের সাহিত্যিক সত্য বলে আমার মনে হয়। পবিত্র কোরআনে আছে মানুষ পূনরুজ্জীবিত হলে তারা মনে করবে যে তারা ২/৪ দিন ঘুমিয়ে ছিল। আমার জানামতে কোরআনে গোর আজাব সম্বন্ধে কোন বর্ণনা নেই।
শুধুমাত্র শেয় বিচারের পরে পুরস্কার বা শাস্তি হবে। এর মাঝে পৃখিবীর মত হাজত বাস থাকতে পারে বলে আমি বিশ্বাস করিনা
তাতে আমাকে যে যাই ভাবুক না কেন। যুক্তি ছাড়া আমি এ বিষয় আমার বিশ্বাস ত্যাগ করতে পারিনা।
কবর বলতে আমি বুঝি একটি সময় কাল যা মৃত্যুর পর থেকে পূনর্থান পর্যন্ত সময় কাল- মাটির কবর নয়। এ সময় আত্মার কষ্ট হবে বলে যদি ধারণা করা হয় তাও মূল দর্শনের পরিপন্থী ।
মরহুম আল গাজ্জালী মনে করতেন যে, যে আত্মা পুথিবীর মায়া কাটাতে পারেনা সে আত্মার পৃখিবীর প্রতি মোহ বা আসক্তি থেকে যায়। সেই আসক্তির বিরহ বেদনাই গোর আজাব।
অন্যদিকে যে আত্মার অসক্তি থাকবেনা সে আত্মা ইল্লিন বা শান্তির স্থানে থাকবে। আর যে আত্মার
মোহ থাকে সে আত্মা থাকবে সিজ্জিন। মোট কথা গোর আজাব চরিত্র গঠনে সাহিত্যিক সত্য।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।