আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বালাম বই সংকট

ভালো আছি

রেজিস্ট্রি অফিসগুলোতে বালাম বই সংকট চলছে। কপি করতে না পারায় প্রত্যেক অফিসে দলিলের সতূপ জমে উঠেছে। জমির মালিকরাও সঠিক সময়ে দলিল হাতে না পেয়ে পড়ছেন নানা সমস্যায়। জমি রেজিস্ট্রির পর দলিলের কপি সংরক্ষণ করা হয় সংশ্লিষ্ট রেজিস্ট্রি অফিসে। প্রতিটি সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে এ কাজে নিয়োজিত আছেন মোহরার এবং এক্সট্রা মোহরাররা।

তারা যে বইতে দলিল কপি করেন সেটির নাম বালাম বই। সরকারি ছাপাখানা বিজি প্রেসে ছাপিয়ে তা দেশের সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে সরবরাহ করা হয়। বিধি অনুযায়ী জমি রেজিস্ট্রির পর ১৫ দিনের মধ্যে দলিল ফেরত পাওয়ার কথা জমি মালিকের। কিন' মাসের পর মাস ঘুরেও মালিকরা জমির দলিল হাতে পাচ্ছেন না। এর একমাত্র কারণ হলো বালাম বইয়ের সংকট।

পাঁচ মাসেরও বেশি সময় ধরে রেজিস্ট্রি অফিসগুলোতে বালাম বই নেই। ফলে মোহরাররা বেকার বসে আছেন। মালিকরা দিনের পর দিন অফিসে ঘোরাঘুরি করেও জমির দলিল পাচ্ছেন না। জমির মূল দলিল হাতে না পাওয়ায় নানা ভোগানি- ও বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন জমি মালিকরা। জমির মূল দলিল প্রদর্শন করতে হয় নানা কাজে।

এর মধ্যে রয়েছে নামপত্তন, নামজারি, ব্যাংক ঋণ গ্রহণ, বিদ্যুৎ সংযোগ নেয়া, ভূমিকর প্রদান প্রভৃতি কাজ। এছাড়া জমি সংক্রান- মামলা-মোকদ্দমা পরিচালনার জন্যও দলিল অত্যাবশ্যক। অন্যদিকে, কাজ না থাকায় চরম আর্থিক সংকটে পড়েছেন এক্সট্রা মোহরাররা। তারা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসগুলোতে মাস্টার রোলে চাকরি করেন। ফলে তাদের কোনো মাসিক বেতন নেই।

প্রতি পাতা দলিল কপি করার জন্য এক্সট্রা মোহরাররা পাঁচ টাকা করে মজুরি পেয়ে থাকেন। সারা দেশের হাজার দশেক এক্সট্রা মোহরার পরিবার-পরিজন নিয়ে অসহায় অবস'ায় দিন কাটাচ্ছেন। এটি সারাদেশের সমস্যা। রেজিস্ট্রি অফিসের সূত্রগুলো জানিয়েছে, বালাম বই সংকটের কথা রেজিস্ট্রার বিভাগের সর্বোচ্চ পর্যায় পর্যন- ওয়াকেবহাল। প্রতি মাসে জেলা পর্যায়ের অফিস থেকে যে প্রতিবেদন ঢাকায় পাঠানো হয়, তাতে বালাম বই সংকটের কথা জানানো হচ্ছে।

কিন' কোনো কিছুতেই কাজ হচ্ছে না। এদিকে, সংকটের সুযোগ নিয়ে জোনাল অফিসের এক শ্রেণীর কর্মচারীরা বালাম বই নিয়ে রীতিমতো ব্যবসা শুরু করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। টাকা ছাড়া কোনো জেলাকে বালাম বই সরবরাহ করছে না জোনাল অফিসের অসৎ কর্মচারীরা। যারা টাকা দিতে পারছে তারা চাহিদানুযায়ী না হলেও কিছু বালাম বই পাচ্ছে। একসময় জেলা অফিসের চাহিদাপত্র অনুযায়ী ঢাকা থেকে সরাসরি সংশ্লিষ্ট জেলায় বালাম বই পাঠিয়ে দেয়া হতো।

কিন' এখন বিভাগীয় শহরে অবসি'ত জোনাল অফিসের মাধ্যমে বালাম বই সংগ্রহ করতে হয়। এ পদ্ধতি জোনাল অফিসের কিছু কর্মচারীর অবৈধ পন'ায় দু’পয়সা কামিয়ে নেয়ার সুযোগ করে দিয়েছে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।