আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ভাগ্যহত বিতাড়িত শ্রমিকরা দেশে ফিরছে, সরকারি কূটনৈতিক তৎপরতা সন্তোষজনক নয়।



কঠোর পরিশ্রম। স্বল্প বেতন। সাধ আর সাধ্যির যোজন ব্যবধান। প্রিয়জনদের প্রিয় চাহনি, আবেশ । মমতাভরা সবুজ পথের হাতছানি পেছনে রেখে মধ্যপ্রাচ্যে মানবেতর জীবন।

সম্প্রতি এশিয়ার অন্য শ্রমিকদের সাথে বেতন ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে সোচ্চার হয় বাংলাদেশী শ্রমিকরা। আর এটাই তাদের কাল হয়ে দাড়ায়। বিভিন্ন দৈনিকের খবর অনুযায়ী প্রতিদিন শয়ে শয়ে শ্রমিক খালি হাতে দেশে ফিরছে। মুঠোভরা জমানো দুঃখ ,বুকে কষ্ট । স্বপ্ন পূরণ হলো না।

কচুড়িপনার মত আবারো উদ্বাস্তু, যাযাবর তারা। হায়রে জীবন! গতকাল সৌদি আরব থেকে ফিরেছে ১১৮জন শ্রমিক। কুয়েত থেকে ১১৮ জন। অন্য ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্র থেকে ২৩ জন বহিস্কার। আজ বিমানবন্দরে এ পর্যন্ত ২০০জন নোঙর করেছে।

ফিরে আসার এ ব্যর্থ কাফেলা দীর্ঘতর হচ্ছেই। কুয়েত থেকে তারা শুধু খালি হাতে ফিরেছে এমনও নয়। শরীরে তারা বয়ে এনেছে কুয়েতি পুলিশ ও সৈনিকদের নির্যাতনের ক্ষত চিহ্ন। শুধু কি তায়; এখনো হাজার হাজার শ্রমিক কুয়েতি কারাগারে আটক রয়েছে। নির্যাতন চালানো হচ্ছে।

ঘর থেকে জোর করে নিরীহ বাংলাদেশী শ্রমিকদের ধরে নিয়ে অকথ্য নির্যাতন চালানোর পীড়াদায়ক ঘটনা ঘটেছে। আর এসব কথা জানা গেছে দেশে ফেরত শ্রমিকদের আর্তিতে। যখন ফেরত শ্রমিকদের ফিরে আসার মিছিল অব্যাহত আছে তখন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বলা হচ্ছে- এসব সমস্যা সমাধানে কূটনৈতিক তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। জানা নেই এ অব্যাহত প্রক্রিয়ার অব্যাহতি কোথায়? সরকারি উদাসীনতা ও অব্যস্থাপনায় আজ বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশী শ্রমিক নিগৃহীত হচ্ছে। ট্রাভেল এজন্সির ফটকাবাজিতে সর্বোচ্চ রেসমটেন্স আয়ের এ উর্বর ক্ষেত এখন হুমকির মুখে।

আর এসব উদাসীনতায় নায্য শ্রম থেকে বঞ্চিত তারা । শ্রমিকদের অসন্তোষের বহিঃপ্রকাশে দেশের সুনাম ক্ষুন্ন হচ্ছে!!!! ফলে শ্রম বাজারে বাংলাদেশী সস্তা শ্রমও এখন অপাঙ্তেয় হয়ে পড়েছে। নিঃসন্দেহে এর মারাত্মক প্রভাব পড়বে দেশের অর্থনীতিতে। কেননা দেশে ডলারের মজুদ বাড়ানোর সর্বোচ্চ খাতই হচ্ছে এ শ্রমও শিল্প। কিন্তু এ নিয়ে যেনো কারোর মাথা ব্যথা নেয়।

দুএকজন রহিম করিমের ভাগ্য টললো না ছিড়লো , তাতে কার কী যায় আসে? কিন্তু আদৌ কি যায় আসে না? আমরা কোনো অজুহাতে আশ্বস্ত হতে চাই না। যে কোনো মূল্যে চাই দ্রুত এ অস্থিতিশীলতার সমাধান । চাই শ্রমিকদের কাজ আর পারিশ্রমিকের নিশ্চয়তা। নইলে ডলারের সংকটে হাজারে সমস্যা উদ্ভূত হবে। আর দ্রব্যমূল্য বাষ্পীভূত হয়ে মহানন্দে ক্লান্তিহীন উর্দ্ধমুখে ছোটা অব্যাহত রাখবে।

আর আমাদের মত সাধারণের যাপিত জীবন দীর্ঘশ্বাস আর নাভিশ্বাসে মুমুষু হয়ে উঠবে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।