আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হাসির গল্প: বল্টু ও সিধেল চোর - ২ , (বল্টু সিরিজ)

নিজের সম্পর্কে লেখার কিছুই নেই। আমি বাংলাদেশের একজন -নাগরিক, চেষ্টা করছি সুনাগরিক হওয়ার জন্য। আমার ফেইসবুক একাউন্ট: http://facebook.com/kobisaheb এবং আমার ওয়েবসাইট http://mr9.in (গত পর্বের পর) আমার আবার তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ে একটু এর মত আছে। আমি আসলে এগুলোর সাথে খাপ খাওয়াতে পারি না। ফেইসবুক না কি বুক নামে কি যেন একটা বানাইছে মার্ক টোয়েন নাকি মার্ক আইসবার্গ সারাদিন সবাই দেখি ওইটা নিয়া বসে থাকে।

আজকে বল্টুরে কইলাম আমারে ওইখানে একটা একাউন্ট করে দে, দেখিস টাকা পয়সা লাগলে কিন্তু আমি নাই। ও ভাবল আমার বুঝি এতদিনে সুমতি হইছে। ও খুশি হয়ে আমারে একাউন্ট খুলে দিল, আর শিখিয়ে দিল কিভাবে চালাতে হয়। দেইখা খুব সহজই লাগল, ও বলল রাতে নাকি ফেইসবুকে আসবে, আমাকেও আসতে বলল। আমি সাফ সাফ বইলা দিলাম আমি রাত কইরা কোথাও যাইতে পারমু না, আম্মা যাইতে দিব না তুই গেলে একা যা।

আসল কথা অবশ্য এইটা না, আপনারাই বলেন রাতের বেলা জ্বীন, পরি, মামদো ভূত, শাকচুন্নী, স্কন্ধকাটা কত কিছুই তো বের হয়, এরা যদি আমারে ধরে তাইলে বাচাবো কে ? বল্টুরে এইগুলা বইলা লাভ নাই ও এইগুলা বিশ্বাস করে না। উল্টা আমারে নিয়া হাসাহাসি করব, তাই ওরে আসল কথা বললাম না। ও আমার কথা শুইনা বলল আরে গর্দভ, ফেইসবুকে ঢুকার জন্য ঘরের বাইরে যাইতে হয় না, মোবাইল দিয়াই ঢুকা যায়। পাছে আমি যদি আবার প্রশ্ন করে বসি চার্জার এর ছিদ্র নাকি এয়ারফোনের ছিদ্র দিয়া ঢুকব, এজন্য ও তড়িঘড়ি করে ব্যাপারটা আমাকে বুঝিয়ে দিল। আমি অবশ্য অত বড় গর্দভ না যে মনে করব যে মোবাইলের ছিদ্র দিয়া ঢুকার কথা বলব।

ও আমাকে বলল সব কিছু আমাকে করে দেখানোর জন্য। আমি ভাব নিয়া বললাম, আরে এইটা তো সহজ জিনিস একটা পিচ্চিও পারবে। ও দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলল, হ্যা একটা পিচ্চিও পারবে কিন্তু তুই পারবি কিনা এটা নিয়ে আমার ঘোরতর সন্দেহ আছে। আমি আর কিছু বললাম না, মনে মনে ভাবলাম রাতের বেলাই তোকে প্রমান করে দেখাব আমিও পারি। কিন্তু দু:খের কথা কি বলব রাতের বেলা মোবাইল হাতে নিয়া কি করব কিছুই বুঝলাম না।

বল্টু যখন করে দেখালো তখন তো অনেক সহজ লাগলো। ওরে ফোন করে জিজ্ঞাসা করলাম ও বলে তোর হোমপেইজে সেভ করে দিছি ০ তে চাপ দিয়া ধইরা থাক তাইলেই হবে। তো চাপ দিলাম, দেখি ইউজার নেম আর পাসওয়ার্ড চায়। আবার ফোন দিলাম ওরে যে এইগুলা কি ? ও বলল তোরে যে তখন খাতার মধ্যে লেইখা দিলাম ওইটা ঢুকা। খাতা খোজা শুরু করলাম, কিন্তু খাতা আর খুইজা পাই না, দরকারের সময় কিছুই পাই না।

বল্টুরে ফোন কইরা বলতে ও তো মহা চেতে গেল, ভাই তোর কাছে মাফ চাই তোর আর ফেইসবুক চালাইতে হবে না। কি আর করা, book ই বুঝি না আর তো facebook। পরদিন সকালে স্কুলে গিয়ে দেখি বল্টু গম্ভীরভাবে কি যেন চিন্তা করতেছে। আমি আর ওকে কিছু বললাম না। ও কিছু চিন্তা করলে ডাক দেয়া নিষেধ।

১০ মিনিট পর ওর ধ্যান ভাঙ্গল, আমাকে দেখে প্রশ্ন করল কখন এসেছি ? আমি বললাম ১৫ মিনিট আগে। ধমক দিয়ে উঠল বল্টু, তো আমাকে ডাক দিস নাই কেন ? আমি আমতা আমতা করে জবাব দিলাম, তুই চিন্তা করলে তো ডাক দেয়া নিষেধ। ও আরো জোরে ধমক দিয়ে উঠল, তুই জানিস না তোর সাথে আজ জরুরী কথা আছে ? আপনারাই বলেন ও আমাকে বলল কখন যে ওর সাথে আমার জরুরী কথা যে জানবো ? আমি আর কিছুই বললাম না, কারণ আমার সাথে কেউ জরুরী কথা বলবে এটা বিরল ঘটনা। কিছু বললে যদি বলে বসে বলব না, তখন ? একটু ভাব নিয়ে ওকে বললাম বল কি জরুরী কথা, আমার একটু কাজ আছে আজকে। ও খেকিয়ে উঠল, তোর কি কাজ আমি জানি না ? গাধামি করা ছাড়া তোর আর কোন কাজ আছে নাকি ? বিকেলে বাসায় আসবি তখন বলব।

আমি আর ওকে ঘাটানোর সাহস পেলাম না। শুধু চিন্তা করতে লাগলাম কি জরুরী কথা। (চলবে……) বল্টু সিরিজ: Season 01, Episode 02 ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।