আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হাসির গল্প

আমাদের সবার জীবনেই মজার মজার অনেক ঘটনা ঘটে থাকে। এই ঘটনা গুলো একে অপরকে বলতে পারলে আমাদের ভালো লাগে। আবার কেউ কেউ বলতে পারেন- ভাই আমার জীবনের তেমন কোন মজার ঘটনা নাই। সেই সব ভাইয়ের উদ্দেশ্য বলছি- আপনার জীবনে মজার ঘটনা না থাকলে অবশ্যই জীবনে একটা না একটা মজার গল্প শুনেছেন। আপনি কোন প্রকার কৃপনতা না করে সেখান থেকেই দু একটা মজার গল্প বলেন না! হয়তো বা এইটাই আপনার জীবনের মজার একটা ঘটনা হবে।

আমরা কেউই বক্তব্য শুনতে রাজি নাই। তাই আর কোন কথা নাই- চলুন আমরা ভেসে যায় মজার মজার ঘটনার স্রোতে...... আমিই প্রথম শুরু করলাম- আমি রাঙ্গামাটি গিয়েছিলাম। প্রথম দিন কেটেছে গাড়িতে। ২য় দিন টলারে। রাঙ্গামাটির সুন্দর পরিবেশের কথা আমরা সবাই জানি।

তাই আমি আর বলছি না। ঘুরতে ঘুরতে পেয়ে গেলাম একটা চর। তারপর আমরা ৭ জন ছুটে গেলাম উক্ত চরে। আমাদের কাছে ছিলো একটি ফুটবল। মাটটা ছিলো খুবই তেল তেলে এবং শামুকে ভরা।

এতক্ষনে রাঙ্গামাটির একটি ক্ষুদে টিম ফুটবল নিয়ে হাজির। ব্যাস: লেগে গেলাম খেলায়। আমরা ৩ গোল দিয়ে ১ম হলাম। চরে প্রচুর শামুক। সুতরাং সবার পায়ের করুণ অবস্থা।

কিন্তু আমার পায়ে কি যেন একটি ঢুকে আছে। শুরু হলো মজার অংশ- আমার পায়ে খুবই যন্ত্রনা হচ্ছে। আমি অনেক চেষ্টা করেছি শামুকের অংশ বের করতে কিন্তু পারি নাই। প্রচন্ড ব্যাথায় আমাকে সবাই ডাক্টারের কাছে নিয়ে গেল। আমি বসলাম।

তিনি কথা নাই বার্তা নাই , শেলাই করা সুচ দিয়ে গুতা মারতে শুরু করলো। ভাই কি আর বলবো। উনার এটিচিউট দেখেই আমি ভয় পাচ্ছি। আমি যে একটা মানুষ এই বিষয়টি তিনি বুঝতেই চাচ্ছেন না। উনার সুচের গুতাই আমি কয়েকবার চিৎকার করলাম।

এতক্ষন পর উনি বুঝলেন আমি একটি মানুষ। এবার তিনি বিনয়ের সাথে বলেলন, ব্যাথা লাগছে নাকি? আমি নিশ্চিন্ত হলাম যে, উনি আমাকে এতক্ষনে গুরু বলে মনে করেছিলেন। যে চিন্তা সেই কাজ। সংগে সংগে তিনি একটি সিরিঞ্জ বের করলেন আমার পা অবাশ করার জন্য। ভাই ইনজেকশন করার ঘটনা যদি ভিডিও করতে পারতাম, এইটা ফান ভিডিও মুভিতে খুবই নাম করতে পারতো।

উনি সিরিঞ্জটা রেডি করে ঠিক গুরুকে যেভাবে ইনজেকশন করে ঠিক সেই ভাবে আমার পায়ে ইনজেকশন করলেন। বিশ্বাস করবেন না- এমন ভাবে, এত জরে ঢুকালেন যে, সুচ টা আমার পায়ে ঢুকে থাকলো আর সিরিঞ্জটা উনার হাতে। বলুন তখন আমার মনের অবস্থা কেমন? তার পর উনি আমার একটি সুচ ভরে নিলেন। এবার ভাই উনি খুবই সতর্কতার সাথে সুচটা পুশ করলেন কিন্তু আমার পায়ের আঙ্গুলের অন্য পাশ দিয়ে বের হয়ে গেল। আমি ছোট বাচ্চার মতো চেচিয়ে উঠলাম।

এবার আমার পাশের বন্ধুরা আমাকে ঝরে চেপে ধরলো- গুরুর ডাক্টারটা আমার পায়ের কাটাটা বের করলো। অনুভুতিটা এত বেশি হাস্যকর ও কষ্টকর ছিলো যে, আমি আর বলতে পারছি না। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।