দেশে পোলা-মাইয়ার আনুপাতিক হার প্রায় সমান। কিন্তু আর সব ক্ষেত্রের মত সামহয়ারেও প্রমীলা ব্লগারের সংখ্যা নিতান্তই কম। এতটাই কম যে সংখ্যালঘু (!) শব্দটাও মানানসই না। এদিকে ব্লগারের লিস্টে যা দুএকজন প্রমীলা নাম চকচক করে,তাদের সবাই আবার নিয়মিত লেখেন না। ফলে সামহয়ারেও প্রমীলা ব্লগারের সংখ্যা হতাশাজনক।
তবে যে দুএকজন এখানে লেখালেখি করেন,তারা সৌভাগ্যবতীই বটে। কেননা নারী ব্লগারের পোস্ট স্বভাবতই কমেন্টসে পুস্ট থাকে। ভালো লাগে। বিনোদিত হই। আর কিছু কিছু ছেলের(!) পোস্ট মন্তব্যের লেজতো বাড়েই না, উল্টো লেজবিহীন হয়ে থাকে।
পোস্ট খাঁ খাঁ করে। হাপিত্যেশ আর দীর্ঘশ্বাস দীর্ঘতর হয় ব্লগারের। হতাশ হয়ে পড়ে লেখক। আমার এক বন্ধুর কথাই ধরা যাক-সে তো আর ব্লগে পোস্ট দিতেই আগ্রহী না। বিশেষ করে তার নিজের নামে।
সে এখন জরিনা ,সখিনা কিংবা এরকম কোনো এক মেয়ের নামে ব্লগে নিজেকে আত্মপ্রকাশের অভিপ্রায় এবং তা বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে! তবে কোনো মেয়ের নামে সে সামহোয়ারে রেজিস্ট্রেশন করেছে কিনা তা জানা হয়নি।
তার হতাশা এবং ক্ষোভের জবাবে বলেছিলাম- ভালো লেখো, মধুর লোভে ভ্রমর গুনগুন করবেই। শুধু শুধু ব্লগারদের নারী-পুরুষ নামে বিভাজিত করনা। শুনে সে শুকনো হাসিতে আমায় জানিয়েছিল-
নারীকে নারী বললে যদি অপরাধ হয়, তবে আম, জাম , কাঠালকেও ফল না বলে তার নিজের নামে ডাকলে ভুল কিংবা অপরাধ হতে পারে। এবং হয়ত আম, জাম মাইন্ডও করতে পারে।
কেননা নারী যদি নারী না হয় তবে ফলেরা কেনো আম, জাম , কাঠাল হবে, বলতে পারিস?
তার প্রশ্ন আমায় নির্বাক করে দিয়েছিল।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।