কৃষক blogsaudi@gmail.com
আগের পর্বটা পড়ার অনুরোধ
Click This Link
দিন কাটে ভালো ভাবেই। সকাল বেলা উঠিয়া ক্লাসে যাওয়া । ১২টার মধ্যে ক্লাস শেষ । কোন কোন দিন ব্যবহারিক ক্লাস থাকে। ব্যাবহারিক ক্লাসের প্রথম দিন স্যার বললো তোমরা ২জন কইরা গ্রুপ করো ।
সে এবং আমার রোল পাশাপাশি হওয়ার কারনে এক গ্রুপ হইয়া গেলাম। আহা ভাবি কি আনন্দ আকাশে বাতাসে। তিন জন মেয়ের মধ্যে একজন আমার ভাগ্যে।
আর এক মুন্সী হুজুর আছিল আমাগো ক্লাসে, সেও পরলো এক মাইয়ার সাথে। সাথে সাথে স্যারেরে গিয়া কয় আমি মাইয়ার সাথে গ্রুপ করুম না।
স্যার কিছুক্ষন তার দিকে চাইয়া থাইকা কইল আচ্ছা তোমরা দুইজন মাইয়া এক গ্রুপ কইরা ফালাও। বাহ বাহ আমার মনে মনে আনন্দ দেখে কে? আমার গ্রুপমেটের দিকে আরচোখে চাইয়া দেখি তার কোন ভাবান্তর হইল কিনা? না মনে হয় হয় নাই।
রোল পাশাপাশি হইবার কারণে এসাইন্টমেন্ট, ব্যবহারিক, লাইব্রেরী থাইকা বই ( আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে আবার বই কিনতে হইতো না। টেকস্ট বই গুলা ২জন রে একটা কইরা বই ১ বছরের লাইগা দিত। ) সেইখানেও এক গ্রুপ।
লাগছে গিট্টু । মনে মনে কই এই গিট্টু ছাইরাই বার সাধ্য কার আছে? কিন্তু উপড় ওয়ালা কয় রাখ তোরে দেখতাছি।
লাইব্রেরীতে একসাথে এসাইন্টমেন্ট করি, এমনকি ক্লাসের পড়াগুলাও দুইজনে লাইব্রেরীতে শিইখা ফালাই । বাহ এইতো ভালো ছাত্রের উত্তম নমুনা। ক্লাসে ফাকি নাই ।
পড়া জিগাইলে সাথে সাথে উত্তর দেওনের চেষ্টা।
কিন্তু পড়ার ফাকে ফাকে তার দিকে নজরতো আমার ঠিকই যায়। তারে খুব ভালো ভাবে দেখি। আগে তার চোখ নাক চুল এইসব দেখতাম। এখন তার সাথে যোগ হইলো ভাললাগার মাত্রা।
চুল দেইখা কই বাহ বাহ কি সুন্দর তার ঘন কালো রেশমী চুল। ঠিক কোমড় পর্যন্ত আসিয়া পড়ছে। এর থাইকা ভালো চুল আমি আর দেখি নাই। নিজের প্রশ্নকির ওই তুই কি দেখছস। আমার মন আবার উত্তর দেয় না দেখি নাই।
কই বাহ বাহ কি সুন্দর চুল যেন কালবৈশাখীর কালো মেঘের মতো । সাথে সাথে আবার তার চুলের দিকে চাইয়া আমার কথার সত্যতা খুজি। সাথে সাথে পাইয়াও যাই । আহা কি সুন্দর একটা গুরুগম্ভীর ভাব আছে মনে হইতেছে যেন এখনই ঝুম কইরা বর্ষনশুরু হইয়া যাইবো। বর্ষনের কথা মনে হইতেই হঠাৎ সঞ্চিত ফিরিয়া পাই তার ডাকে, জিগায় কি ভাবতাছ।
কি ভাবতাছি তারে কেমনে কমু কি ভাবতাছি। কই কিছু একটা তো ভাবতাছি, বাড়ীর কথা।
কইলাম এখনতো বিকাল হইয়া গেছে। নদীর পাড়ে বেড়াইতে যাবা। সে কয় চলো যাই।
আমি সারাজীবন বয়েজ স্কুল কলেজে পড়ালেখা করছি এইডা জিগাইয়া ভাবতাছিলাম কিছু আবার মনে করলো নাকি? তার উত্তর শুইনা তো মন ভালো হইয়া গেল। বললাম চলো যাই। এই প্রথম তারে লইয়া নদীর পাড়ে গেলাম ।
এইখানেই বিষবৃক্ষের বীজে পানি ঢালা শুরু হইলো
বুক খানা ফুলাইয়া তারে লইয়া নদীর পাড়ে বিকেল আলোতে ঘুরি আর ভাবি আমি মনে হয় বিশ্ব জয় কইরা ফালাইছি। আহা কি শান্তি।
নদীর পাড়ে আমাদের বোটানিক্যাল গার্ডেন। তারে কইলাম চলো বোটানিক্যাল গার্ডেনে যাই। সও কয় চলো তারে লইয়া ঢুকলাম বোটানিক্যাল গার্ডেনে। নদীর পাড়ে বসার জন্য অনেকগুলা বেঞ্চ বানাইযা রাখছে আমাগো বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তার একটা বইলাম তারে কইলাম বসো ।
সে বিনা সঙ্কোচে আমার পাশে বসলো। দুইজন মিইলা তাকাইয়া রইলাম নদীর পানি দিকে ।
চলবে....
পরের পর্ব
Click This Link
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।