পথে মির্জা আসাদুল্লা গালিবের সাথে দেখা,
নিজের খেয়ালে চলে যাচ্ছিলেন কেমন বিসন্ন একা
আমি এগিয়ে যেতেই উনি বলে উঠলেন:
"আমার হ্রদয় এ আগুন লেগেছে, কে আসবে আমার পাশে?
দেখো আমার ছায়া পড়ছে পোড়া ধোয়া হয়ে খসে"।
তাই তার ছায়ার নিলাম পিছু সাবধানী দুরে,
মাঝে মধ্যে অগ্নি দৃষ্টি দেন কবি ঘুরে ফিরে, আর
গুন গুন করে যান:" ঐ পথ গেল আমার মনে পড়ে,
যেথায় আমি শৈশব হ্রদয় প্রথম হারিয়েছিলাম কবে কে জানে!"
কি প্রশ্ন তার কাছে, যার পথে পথে ভালোবাসার স্মৃতি,
হারানোর কি বা আছে তার, হারিয়ে সব পেল এক অযাচিত অতিথি।
দুরে শুনি অকৃত্তিম আনন্দ, সবাই খুশি অন্য উল্লাসে,
সে আনন্দ ছুয়ে যায় গালিবকে, বুঝি কি জাদু ঐ নিশিধ্ব রসে।।
"এখন সময় পৃথিবীর শোনার গালিবকে আবার,
এই কথামালা আর ছায়াগুলো খোলা থাক দরজার মত"
পেয়ালা হাতে রাত্রির আধার ছিড়ে গালিবের কাব্যিক হুঙ্কার।।
আমি বলি, কি আনন্দ তোমার ঐ বিষ রসে, না খেলে কি বা ক্ষতি?
"কোন মাতাল আনন্দের জন্য পান করে, ভুলতে হবে আমাকে দিন আর রাত প্রতিটি"
অপার্থিব সুখে মেতেছেন কবি, নেশা করার সুখে নয়, দিনের বেদনা ভুলে,
থামাইনা তাকে, এগিয়ে দেই আরো কয়েক পেয়ালা, পুড়ুক সব, ছারখার হোক জ্বলে।।
এভাবেই রাতের আধার কেটে ভোর হয়ে যায়, আজানের সুমধুর সুরে বুকটা ভরে,
গালিব পড়ে আছে টেবিলের ধারে, কবির উদ্দেশ্যে তার অব্যক্ত বানী
"রাতের ভঙ্গুর অন্ধকার অনুতাপে পুড়ে,
দাড়িয়ে আছে শিখাহীন সারাদিন একটা মোমবাতি।"
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।