ssc পরীক্ষা দিয়ে এসেছিলাম এই ইট-সিমেন্টের ঢাকা শহরে, সেই যে এসেছি আর ফিরে যাওয়া হয়নি। স্বপ্ন ছিল নটরডেম কলেজে ভর্তি হব, ভর্তি হলামও একসময়। থাকতাম আরামবাগের একটি মেসে। দুই বছরের কলেজ লাইফে অনেক মজার স্মৃতির সাথে আছে অনেক কস্টের স্মৃতিও। মজার স্মৃতি দিয়েই শুরু করি...................................................
girls to the next doors
আমাদের বাসার আশেপাশে, সামনে , পিছনে , ডানে, বায়ে প্রচুর টংকি মারার মত মেয়েরা থাকত।
আমরাও ঘুম থেকে উঠে ঘুমানোর আগ পর্যন্ত টাংকি মারতাম। আমাদের ভিতরে একজন ছিল স্পেশালিস্ট, টাংকি মারতে মারতেই পেছনের বাসার একজনের সাথে কঠিন প্রেম শুরু করে দিল। তার ভাষায় এই প্রেমের নাম ছিল নিঠুর প্রেম। কেমনে কেমনে জানি মেয়াটার মা একদিন টের পেয়ে গেল এবং তিনি মেয়েকে যথেস্ট শাসনও করলেন , কিন্তু কিছুতেই কোন কাজ হয়না। একদিন মেয়ের মা স্বশরীরে আমাদের মেসে হাজির।
বিপদ বুঝে ঘটনার নায়ক লাপাত্তা। আমরা সবাই ভয়ে জড়োসড়ো হয়ে আছি আর ভাবছি আজকে কপালে খারাবি আছি। মেয়ের মা যদি বাড়ী ওয়ালাকে একবার কমপ্লেইন দেয় তাহলে কালকেই বাড়ি ছাড়তে হবে। আমাদের কপাল ভালো ছিল, তিনি শুধু তার মেয়ের দেয়া ছবিটা ফেরত চাইলেন আর আমাদের বুঝালেন তার মেয়ের বয়স অল্প , আমাদের বয়সও অল্প এখনই এসব করার সময় নয়। ঘটনার নায়ককে খবর দিয়ে নিয়ে আসা হলো, এবং সে মেয়ের মায়ের কাছে প্রতিজ্ঙা করলো সে মেয়েটাকে বুঝাব।
মেয়েটার ছবিও ফেরত দেয়া হলো। সবশেষে মেয়ের মা আমাদের চায়ের দাওয়াত দিয়ে চলে গেলেন। সেদিন থেকে আমরাও ঐ বুদ্ধিমতী মহিলার ভক্ত হয়ে গিয়েছিলাম। আমার বন্ধু শেষ পর্যন্ত তার প্রতিজ্ঙা রাখার চেস্টা করেছে, কিন্তু মেয়েটা ছিল নাছোড়বান্দা। সে আরেক কাহিনি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।