আমার ব্যক্তিগত ব্লগ
আমি ক্লাস ফাইভ থেকে টেন পর্যন্ত পড়েছি মতিঝিল সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে। এই স্কুলে সেলাই শেখানো হয়। অনেকে দরকারী নাও মনে করতে পারেন, তব আমার যে খুবই ভালো লেগেছিলো সন্দেহ নেই। সেলাই শেখানোর ম্যাডামও ছিলেন বয়স্ক শান্ত সুন্দর। ভারি কাঁচের চশমার ভিতর দিয়ে তাকাতেন, চোখ অনেক বড় বড় মনে হতো।
ওনার কাছে নানা ধরনের কাজ শিখেছিলাম। উলের, পাটের, কাপড়ের ইত্যাদি। উলের কাজ করার সময় একবার শেখালেন উলের টুপি কিভাবে বানাতে হয়। বাচ্চারা যেগুলো পরে। চারপাশে ভাজ করা, মাথার উপরে উলের কদম ফুল।
আম্মা সৌদি আরব থেকে বেশ কিছু উল এনেছিলেন। এখানে বলে রাখি আম্মাও প্রচুর সেলাইয়ের কাজ করতে পছন্দ করতেন। গাড় খয়েরী রংয়ের উল নিলাম। খুব সফট। টুপি বানালাম (বেশ কয়েকবার খুলে আবার বুনতে হয়েছিল), আম্মা উলের ফুল বানিয়েদিলেন।
মোটামুটি ভালই হয়েছিল।
তখন আমার ভাই খুব ছোট ছিল। কিন্তু সে টুপি জিনিসটা একেবারেই পছন্দ করতোনা। তাই জোর করেও তাকে ঐ টুপি পরানো গেলো না। এরপর বহুদিন পর আমার ভাগ্নে আসল।
ওকে আম্মা ঐ টুপি পরতে দিলেন। সেও এক, টুপি পরবে না।
এখন কোথায় আছে কে জানে। লিখতে লিখতে মনে হলো গোল চ্যাপটা বিস্কুটের টিনের এক কৌটায় আমার সেলাই গুলো ছিল। জিনিসটা যে কোথায় এখন আছে।
আম্মা কোন জিনিস যে কোথায় সরায় (আম্মার ধারনা গোছান) সেটা পরে নিজেই খুজে পাননা।
আজ হঠাৎ বিড়ালের মাথায় টুপিটা দেখে নিজের বানানো টুপির কথা মনে হলো।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।