লিপস্টিকের রঙে ঠোঁট রাঙিয়েছেন সেলিব্রেটিরা ত্বক এবং চুলের মতো আমাদের ঠোঁটেরও বাড়তি যত্নের প্রয়োজন আছে। ঠোঁটের ত্বক খুব নরম হওয়ায় এর যত্ন একটু বিশেষভাবে নিতে হয়। আমাদের মধ্যে অনেকেরই ঠোঁটের রঙ মুখের চেয়ে তুলনামূলক কালো হয়ে থাকে। আবার অনেকের ঠোঁট খুব রুক্ষ হয়ে থাকে। ঠিকভাবে যত্ন নিতে পারলে এসব সমস্যা অনেকটাই দূর করা সম্ভব।
স্মুথ এবং গোলাপি ঠোঁট পেতে হলে অল্প একটু চিনি নিয়ে আলতোভাবে ঠোঁটের ওপর ম্যাসাজ করতে হবে। এটি ঠোঁটের মৃত কোষ ঝরিয়ে ফেলতে সাহায্য করে। এরপর ময়েশ্চারাইজারযুক্ত লিপবাম বা ভ্যাসলিন ব্যবহার করতে হবে।
অনেকের ঠোঁটই একটু পরপর শুকিয়ে যায় এবং ঠোঁটের ওপর খরখরে হয়ে চামড়া উঠে যায়। এ সমস্যার হাত থেকে রক্ষা পেতে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন।
পানিশূন্যতা অনেক সময় শুষ্ক ঠোঁটের কারণ হতে পারে। আবার শুষ্ক ঠোঁট অনেক সময় শরীরে কোনো একটি ভিটামিনের ঘাটতিও নির্দেশ করে। বিশেষ করে ভিটামিন-সির অভাবে এ সমস্যা দেখা দিতে পারে। কাজেই ভিটামিন-সি যুক্ত খাবার অর্থাৎ ফলমূল বেশি করে খাওয়ার চেষ্টা করুন। আর ঠোঁটে সব সময় লিপবাম, ভ্যাসলিন দিয়ে রাখুন।
অনেকেরই জিভ দিয়ে ঠোঁট ভেজানোর অভ্যাস থাকে। এটিও ঠোঁটের শুষ্কতা বাড়িয়ে দেয়। কাজেই এ বদভ্যাসটি দূর করে ফেলুন। যারা লিপস্টিক ব্যবহার করেন শুকনো ঠোঁট থেকে রক্ষা পেতে হলে ম্যাট নয় বরং তৈলক্ত লিপস্টিক ব্যবহার করুন। আর কোনো ধরনের কেমিক্যালই আসলে ত্বকের জন্য ভালো নয়।
তাই বাইরে থেকে ফিরে প্রথমে টিস্যু পেপারে ভ্যাসলিন লাগিয়ে আলতোভাবে ঠোঁটের লিপস্টিক তুলে ফেলুন। তারপর ক্লিনজিং মিল্ক বা ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
ঘুমানোর আগে অবশ্যই ঠোঁটে লিপবাম, চ্যাপস্টিক বা ভ্যাসলিন দিয়ে ঘুমাবেন। আর ভুলেও লিপস্টিক দিয়ে ঘুমাতে যাবেন না। এটি ক্ষতিকারক হতে পারে আপনার প্রিয় ঠোঁটের জন্য।
নরম ঠোঁট পেতে নারিকেল তেল ব্যবহার করে দেখতে পারেন। আর লিপবামের ক্ষেত্রে সান প্রোটেকটেড হলে ভালো হয়। এ ক্ষেত্রে এসপিএফ ১৫ হওয়া ভালো।
লিপস্টিক ছাড়া আসলে ঠোঁটের রঙ পরিবর্তন করা সম্ভব নয়। ঠোঁটের গোলাপি আভা শরীরে ভালো রক্তপ্রবাহও নির্দেশ করে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।