বাংলাদেশ ব্লগারস এসোসিয়েশন সদস্য নং: ১০ । facebook.com/milton3d
প্রজ্ঞা। বয়স চার বছর। সে হারিয়ে গিয়েছিল বাসা থেকে গত মঙ্গলবার। অর্থাৎ তাকে চুরি করা হয়েছিল।
আর এই কাজটা করেছে তাদেরই বাসার গৃহপরিচালিকা নাহিদা (১৪)। ময়মনসিংহের কাঁচিঝুলি এলাকার জনাব রেজাউল ইসলামের দুই মেয়ের মধ্যে প্রজ্ঞা ছোট। তাকে নিয়ে সকাল দশটার দিকে পালিয়ে যায় নাহিদা। নাহিদা এখানে ওখানে ঘুরে গিয়ে ওঠে ব্রাম্মনবাড়িয়ার (দুঃখিত বানানটা ভুল হলো) কসবাতে।
এসময়ে প্রজ্ঞার প্রচন্ড কান্নার শব্দতে আশেপাশের লোকজন কৌতহলী হয়ে উঠে।
তারা জেরা করতে থাকে নাহিদাকে। কিন্তু নাহিদা উল্টোপাল্টা জবাব দিতে থাকে। এতে সন্দেহ হয় জেরাকারী লোকজনদের। খবর দেয়া হয় পুলিশে। যথাসময়ে পুলিশের জেরাতেও পরাস্থ হয় নাহিদা।
প্রজ্ঞা সহ নাহিদাকে নিয়ে যাওয়া হয় সেখানকার থানায়। নাহিদা সেসময় ফোন করে তার ভাইকে ময়মনসিংহে। ঘটনাচক্রে নাহিদার ভাই ও প্রেমিক শ্রীঘরে বন্দি ছিল পুলিশের কাছে। তারাও ধৃত হয়েছিল পুলিশ কর্তৃক প্রজ্ঞাকে অপহরন করার সন্দেহের মামলায়।
পুলিশ তাদের মাধ্যমে জানতে পারে, প্রজ্ঞা সহ নাহিদা ধরা আছে এখন ব্রাম্মনবাড়িয়ার একটি থানায়।
পুলিশ মারফত তাদের পৌঁছে দেয়া হয় ময়মনসিংহে। পরের দিন বেলা ১১টার সময় প্রজ্ঞাকে ফিরে পায় তার বাবা মা।
প্রজ্ঞার বাবা থানায় একটি অপহরণ মামলা করেছেন। তারই ফলশ্রুতিতে এখন জনাবা নাহিদা জিজ্ঞাসাবাদের স্বীকার হচ্ছে পুলিশের দ্বারা। তারা সন্দেহ করছেন, এর সাথে একটা বড় চক্র জড়িত আছে।
প্রজ্ঞাকে পেয়ে তার বাবা মা সহ ওখানে উপস্থিত অন্যসবাই আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন।
প্রজ্ঞার কান্নার শব্দই, ওকে ওর বাবা মায়ের কোলে ফিরিয়ে দিলো।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।