আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

তথ্যপ্রযুক্তিতে আমার অভিষেক এবং বেড়ে ওঠা...(২৫ তম পোষ্ট)

গলাবাজ আর সত্যিকারের লেখক এই ব্লগে টিকে থাকে, আমি কোনটাই না
মলিকিউলার মডেলিং ল্যাবে ২০০৭ এ তোলা একদম পরিস্কার মনে আছে, ১৯৯৮ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্স্ট সেমিস্টারে কমপিউটার বিষয়ক ক্লাসে প্রথম স্পর্শ করি এই যন্ত্রটাকে। তার আগে কতকিছু ভাবতাম, ইহা একটি জটিল যন্ত্র, অনেক ক্ষমতাশালী, মানুষ যাহা পারেনা তাহা করাই ইহার কাজ। উইন্ডোজ ৯৫ আর ডজ মোডে কিছু কমান্ড শিখলাম, এম এস ওয়ার্ড এ টাইপ করে তো বিশাল অবস্হা। ২০০১ এর শুরুতে বড় ভাইয়ের কল্যানে প্রথম নিজের করে একটা কমপিউটার পেলাম, পেন্টিয়াম ৩, প্রায় ৫০০০০ মতো দাম পড়লো। একটু নাড়া লাগলেই ভয় পাই, এই বুঝি গেলো।

উইন্ডোজ ৯৮ খুব ঝামেলা করতে লাগলো। প্রায়ই হ্যাং হয়, কিন্তু কখনোই কেসিং খুলিনা, ভিতরে প্যান্ডোরার সব দুঃখ কষ্ট লুকিয়ে আছে যে। একবার উপায় না পেয়ে আমার কমপিউটার বিষারদ বন্ধু আনিস কে ডাকলাম (খুলনায় অনেকেই তাকে একনামে চেনে)। সে এসে এমন নির্মম ভাবে কেবল আর ডিভাইস টানাটানি শুরু করলো, আমার তো জান যায়। বিটিটিবির ইন্টারনেট নিলাম, ২০০১ এরই মাঝামাঝি।

গুগল এ কিছু লিখে ক্লিক করলে হাজার হাজার লিন্ক আসে, আমি তো তাজ্জব। জাপানে থাকা এক বড়ভাই ফোনে ডিরেকশন দিয়ে শিখালেন ইয়াহু মেসেন্জার কি। শুরু হলো চ্যাটিং এর এডভেন্চার। ২০০৭-০৮, এখন আমার কাজ শুধুই কমপিউটারে। সিমুলেশান করি বায়োলজিকাল সিস্টেমের।

লিনাক্স, আইরিক্স, আর কতো মডেলিং সফটঅয়ার। এগুলো নিয়েই এখন আমার সকাল, বিকাল, রাত। সোহাগ একদিন পরিচয় করালো ব্লগিং জিনিসটা কি। একসময় শুরু করলাম সেটা তাও আবার বাংলায়, খুব মজা। ভালোই লাগে প্রযুক্তির সাথে এই পথচলা।

চলতে চাই সবসময়।
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।