আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিএনপি কী আসলে সুবিধাবাদীদের একটা ক্লাব?

৭১ এ ছোট ছিলাম, যুদ্ধে যেতে পারি নাই, এই আক্ষেপ ফুরাবার না

একবার যায় যায় দিনে (যখন পড়তাম) শফিক রেহমান লিখেছিলেন বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠান আছে তিনটা, আওয়ামী লীগ, সেনাবাহিনী আর ইত্তেফাক। ইত্তেফাক শেষ পর্যন্ত প্রতিষ্ঠান হিসেবে টিকে থাকবে কিনা তা নিয়ে যথেস্ট সন্দেহ আছে। সেনাবাহিনী প্রবল ও প্রচন্ড রূপে তার নানা রংয়ের মুখ দেখিয়েছে ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি। তারা এখন বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় প্রতিষ্ঠান। ক্ষমতা তো আছেই, আর্থিক দিক দিয়েও তারা অনেক শক্তিশালী।

সেনাবাহিনী নামের প্রতিষ্ঠানটি আওয়ামী লীগকে টিকে থাকতে দেবে কীনা সে প্রশ্ন অনেকের মধ্যেই আছে। বলা হয় সেনাবাহিনী আর আওয়ামী লীগ-ঠিক এক সাথে যায় না। সম্পর্ক কেন জানি প্রতিকূল বলেই মনে হয়। বিএনপি প্রধান আরেকটি দল। দুবার ক্ষমতায় এসেছে ৯০ এর পর থেকে।

কিন্তু বিএনপিকে প্রতিষ্ঠান বলা যাবে না। আমার কাছে বিএনপি হলো সুবিধাবাদীদের একটি ক্লাব। কেবল সমর্থকদের জোড়ে এটি টিকে আছে। রাজনীতিকে বা প্রধান দুই রাজনৈতিক দলকে নির্বাসনে পাঠানোর কাজটি শুরু হয়েছিল ১১ জানুয়রীর পর থেকে। দুই নেত্রী বা মাইনাস-২ তত্ত্ব ছিল প্রবল।

যদিও তা সফল হয়নি। বরং দুই নেত্রী আরো জনপ্রিয় হয়েছে। দুই দল ও রাজনীতিবিদদের উপর যে প্রবল চাপ গেছে তাতে কিন্তু মোটামুটি প্রমানিত যে দল হিসেবে আওয়ামী লীগ অনেক পরিণত, সাংগঠনিক ভিত্তি ভাল এবং যারা নেতা-কর্মী তাদের বড় অংশই দলকে বা বঙ্গবন্ধুকে ভাল বাসে। দল ভাঙ্গার দায় কেউই নিতে চান না। অন্যদিকে বিএনপি আবারও প্রমান করলো এটা আসলেই সুবিধাবদীদের একটি ক্লাব।

সুবিধা থাকলে নেতারা আছে, না থাকলে নাই। এই দল ভাঙ্গা বা নেতাদের লোভ দেখিয়ে অন্যাদিকে নেওয়া অনেক সহজ। এই দলের বেশিরভাগ নেতাই এসেছিলেন সুবিধা পাওয়ার আশায়, নানা লোভে। সেই চরিত্র এখনো তাদের আছে। আর জামায়াত? এটা একটি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান।

এক দল ঘাতকের দল, যারা বাইরের পয়সায় চলে। আপনারা কি বলেন?

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.