আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ব্লগের রাজনৈতিক বুদ্ধিমত্তা দেখিয়া আমার হাসি পায়!

ইমরোজ

আমার পোস্টটি পড়ে অনেকের খারাপ লাগতে পারে। অনেকে মনে করবেন আমি বোধহয় অন্যাকে সাপোর্ট করে যাচ্ছি। আমার বেশির ভাগ যুক্তিই অন্যদের কাছে খোড়া মনে হতে পারে। কিন্তু আসল ব্যাপারটি আমরা একটু ভেবে দেখি। বাংলাদেশে শ্বাশত গণতন্ত্রের মৃত্যু হয়েছে অনেক আগেই।

কিন্তু তা আবার পুনরায় শুরু করা গিয়েছিল ১৯৯০ সালের নির্বাচনের মধ্য দিয়ে। সেই গণতন্ত্রকে বিএনপি সরকার আবারও নষ্ট করে দিতে চাইলো ১৯৯৬ সালে ফেব্রুয়ারীতে একটি সাজানো নির্বাচন করে। এরপর ক্ষমতায় আসলো আওয়ামীলীগ। গণতন্ত্রের ৫ বছর চলল ঠিকই। আওয়ামীলীগ ২০০১ সালের নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্য হবার মতই করে তুলল।

সেটাতে আবার বিএনপি জিতে গেল। গেল আরও পাঁচ বছর। বাংলাদেশের ইতিহাসে এই পাঁচ বছরের মত কলঙ্কিত বছর বোধহয় আর আসে নাই। এই পাঁচ বছরে কী হয় নাই? কোন অন্যায়টা হয়নাই বলা ভার! বিএনপি কিন্তু আবারও নির্বাচনকে ভন্ডুল করে দিল। প্রশ্নে প্রশ্নে বিধ্য করলো নির্বাচন কমিশনকে।

নির্বাচন সাজানো হলো ভুয়া ভোটার তালিকা দিয়ে। মারামারি কাটাকাটি লাগিয়ে রাখলো। আর দোষ দিল চৌদ্দদলকে। পেছনে কাজ করছিল বিএনপি ও জামাতের লোকজন। যারা আবারও ক্ষমতায় যেতে চাচ্ছিল।

কিন্তু তাদের সমস্ত জলপনা কল্পনা ভেস্তে দিয়ে এলো এই সরকার। একে একে জেলে নিয়ে গেল সবাইকে। যারা অপরাধী নন তাদেরকেও। তারপর তারা দ্বায়িত্ব নিল বিচারের। কিন্তু বিচার কোথায় হচ্ছে? এগুলা তো বিচার নয়।

যাইহোক, আসি ১/১১ এর ঠিক পরের কথায়। যখন একটা নতুন নেতৃত্ব আনতে পারত এই সরকার। চেষ্টাও করেছে তারা। কিন্তু অগণতান্ত্রিক ভাবে একটা নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করা যায় না। আগেও কোন সেনা সমর্থিত সরকার সেটা পারেনি।

তাহলে এখন হাসিনা খালেদা ছাড়া উপায় কী? নেতা কী অর্ডার দিয়ে বানানো যায়? নেতা হতে হলে বাই বর্ন হতে হয়। নেতা কোন কম্পিউটার না আজকে অর্ডার দিলাম কালকে হয়ে গেল। তত্ত্বাবধায়ক সরকার এসে প্রথমে কোন প্ল্যানিং ছাড়াই কাজ শুরু করলো। যাকে বলে হুজুগে বাঙ্গালীপনা। এর ফলাফল এখন সবাই হাসিনা খালেদার মুক্তি চাইছে।

তাহলে তাদের জেলে নিয়ে লাভটা হলো কী? আর এখন যদি আওয়ামীলীগ হটাৎ করে হরতাল ডেকে বসে বিএনপিও সেখানে সাপোর্ট দিবে, জামাতও দিবে। তাহলে সরকার যাবে কই? যে সরকারের বিপক্ষে সবাই চলে যায় সেই সরকার বাংলাদেশে কখনই থাকতে পারেনি। এই সরকার যে সংকট সৃষ্টি করেছে তার শেষ কোথায়? পাকিস্তানের পথে যদি হাটে আমাদের মহাবুদ্ধিমান সৈনিকেরা তাহলে জনমের মত ভুল করবে। আওয়ামীলীগ হরতাল দিলে সরকার দিশেহারা হয়ে মার্শাল ল জারি করতে পারে। তখন আর কারও কিছু করার থাকবে না।

আমাদের সেনাবাহিনীর রাজনৈতিক উচ্চাভিলাসিতা আমাদের চোখ কোনদিনও এড়ায়নি। দুঃখিত আমি আশাবাদী হতে পারছি না। এখানে সকল রাজনৈতিক দলের উর্ধ্বতন নেতাদের মুক্তি দাবি করছি। যাতে গণতন্ত্র ফিরে আসে। আগে গণতন্ত্র পরে অন্যকিছু করতে হবে।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.