আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ইয়াবা মামলার প্রথম রায়ঃ ৩ ধনীর দুলালীর জেল



চাঞ্চল্যকর ইয়াবা মামলায় তিন আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে অপর তিন অভিযুক্তকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে। ঢাকা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৩-এর বিচারক মোহাম্মদ নুরুল হুদা গতকাল বুধবার এই রায় প্রদান করেন। সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হচ্ছেনঃ মোঃ দাইয়ান মীর, আলতাফ আকমল কল্লোল ও মাহমুদ আল জোবেরী শ্যানন। খালাসপ্রাপ্তরা হলেনঃ শেখ ওয়াহেদ শফিক, আলমাস রহিম জোয়ারদার ও মুসাদ্দিক রহমান তমাল।

এই প্রথম ইয়াবা মামলার রায় প্রদান করা হল। গতকাল বিকাল সোয়া ৩টায় বিচারক মোহাম্মদ নুরুল হুদা তার রায়ে বলেন, তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে আলতাফ আকমল কল্লোলকে ৪ বছর ৭ মাস, মাহমুদ আল জোবেরী শ্যাননকে ১ বছর ৩ মাস এবং মোঃ দাইয়ান মীরকে ১ বছর কারাদণ্ড প্রদান করা হল। অপরদিকে সন্দেহাতীত প্রমাণ না পাওয়ার কারণে বাকি অভিযুক্তদের বেকসুর খালাস দেয়া হল। আসামি পক্ষের আইনজীবীরা বলেন, তারা এই রায়ের ব্যাপারে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন। গত বছরের ১৮ অক্টোবর পুলিশ পরিদর্শক মো. মিজানুর রশীদ বাদি হয়ে গুলশান থানায় এই মামলা দায়ের করেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, ১৮ অক্টোবর দাইয়ান মীরের গুলশানের বাড়ি থেকে ৯টি নিষিদ্ধ ঘোষিত ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। পরের দিন আলতাফ আকমলের বাসা থেকে ৫ বোতল ফেন্সিডিল, ২ বোতল বিয়ার ও সাড়ে ৬টি ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। একই দিনে মাহমুদ আল জোবেরী শ্যাননের বাসা থেকে নিষিদ্ধ পর্ণো সিডি, ১৪টি ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। শ্যাননের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী শেখ ওয়াহেদ সফিক, সালমান রহিম জোয়ারদার ও মুসাদ্দিক রহমান তমালকে গ্রেফতার করা হয়। পরে মামলাটি তদন্ত করেন গুলশান থানার এসআই আব্দুর রশীদ।

১১ ডিসেম্বর আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়। সরকার পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এডভোকেট মো. সহিদুল ইসলাম সরদার ও এডভোকেট সরদার মোঃ আলী আকবর। অপরদিকে আসামিদের পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এডভোকেট শরফুদ্দিন আহমেদ খান মুকুল, এডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার, এডভোকেট মোঃ খোরশেদ আলম প্রমুখ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।