আমার হাতদুটো পা হয়ে গেলে আর পা হাত; তাহলে কি তুমি করমদর্নের সজ্ঞাটা পালটে দিবে
কোন এক রাত্রিরে আবিষ্কার করেছিলাম নিজেকে
এক বিষাদময় জঞ্জাল শহরে;
কোথাও কেউ নেই, ছিলোনা সঙ্গি-সাথি মোর
পেয়েছিলাম শেষ সম্বল ছায়াটি মোর
জন্ডিস রঙ্গা নিয়ন আলোর রাত্রিরে।
একটু এগিয়ে গিয়ে দাঁড়ালাম লাইটপোষ্টির গা ঘেষে;
আলোকে সাথি করে জীবনের সাথে হোক কিছু কথোপকথন।
কেননা নিঃসঙ্গতা আমাকে ক্রমে গ্রাস করে নিচ্ছিলো।
চকিতে! নিস্তব্ধতা ভাংলো-সস্তা কাঁচের রিনিঝিনি নিক্কনে;
আসলো কাছে বলল হেসে, কত হলে নিবে কিনে-
নিঃসঙ্গতা দেব তাড়িয়ে, দেব মধু করবেকি পান?
বুঝলাম আমি অবশেষে
পরেছি ধরা বারবনিতার হাতে;
তারও ক্ষুধা-নিঃসঙ্গতা-দারিদ্রতা
আমারি মত শেষ সম্বল ছায়া ও মায়া
হারিয়েছে সে কোন কালে।
ছুঁয়ে দেখিনি সেই ছিপছিপে কিশোরীকে
পান করিনি তার মধু।
চলে গেলাম সেথা হতে- তলিয়ে গেলাম অন্ধকারের পেটে।
বললাম মনে মনে, আমারি মত সাথির খোঁজে
আকরে ধরা অবলম্বন এর খোঁজে এই শহরে
কেউ আঁধারে – কেউ আলোতে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।