যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই । কাদঁতে আসিনি ফাসিঁ দাবী নিয়ে এসেছি ।
সুমন চট্টোপাধ্যায়, যখন ক্লাস নাইনে পড়ি তখন এমন অদ্ভুত ধরনের বাংলাগানের সাথে পরিচয় করে দিয়েছিল ভাইয়া । সবে ভাইয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছে , কোন এক ছুটিতে বাসায় নিয়ে নিয়ে হাজির হলো সুমনের গান নামে একটা দেশী ক্যাসেট নিয়ে , বাসায় বেশ ভলিউম দিয়ে গান শোনা হলো.... আমার সাথে পরিচয় হয়ে গেল তার । তার গানের থেকেও কথা ভালো লা ... কথক সুমনের সেই কথার তোড়ে ভেসে গেরাম ১৯৯৬ সালে সুমনের প্রথম গানের অনুষ্ঠানে যাবার পর ।
অনুষ্ঠানের টিকিট না পেয়েও সেখানে বিষন্ন চিত্তে ঘোরাঘুরি করছিলাম । হঠাৎ পেয়ে গেলাম এক মওকা, টিকিট না পেয়ে দর্শকরা যখন গন্ডগোল বাজিয়ে দিলো , পুলিশ শুরু করল লাঠি চার্জ আর আমি সুরুত করে একফাকেঁ ঢুকে পড়লাম অনুষ্ঠানে । তার আগে ৬ টা গান হয়ে গেছে , সে গান গুলোও বাইরে দাড়িয়ে অডিটোরিয়ামের পিছনের একটা জানালায় দাড়িয়ে শুনছিলাম, আমার কলেজের এক বাশিওয়ালা বন্ধু জুবায়েরের সাথে ।
সে ই থেকে প্রতিবারই সুমনের কনসার্টে যাওয়া হয়েছে, যতোবারই ঢাকায় গান গাইতে এসেছে । আর আড্ডা দেয়াও হয়েছে কার্জনে বসে ।
সুমন বুড়িয়ে গেছে কিন্তু কণ্ঠের জোড় একদম বুড়িয়ে যায়নি । আগের মতোই কথার ফুলঝুরি ফোটে । এখন একটু বেশী রাজনীতির কথা বলে । আজ কথা বললেন নন্দীগ্রাম নিয়ে । নন্দীগ্রামের মানুষের সাথে কলকাতাবাসী জ্ঞানীগুণী জনের একাত্মা হয়ে যাওয়া আর নন্দীগ্রামের প্রতিরোধের গল্প ।
কিংবা কলকাতায় খুন হওয়া এক প্রেমিক রেজওয়ানের গল্প আর সাথে সাথে গুনগুনিয়ে গান ।
এবার বেশকিছু নতুন গান শোনালেন আমাদের , যেগুলো খুব সম্প্রতি বাজারে এসছে কিংবা আসতে যাচ্ছে । শুনালেন কলকাতায় রিলিজ পাওয়া নতুন এ্যালবাম "তের" এর গান, সাবিনাও গাইলেন একটি গান, সুমনের লেখা গান ।
গানে গানে কেটে গেল এক সন্ধ্যা । তবে পচ্ছন্দের দুতিনটে ছাড়া আর বাকি গুলো শোনা হলো না ।
সেই অতৃপ্তি নিয়েই বাড়ি ফেরা হলো, সুমনের গান শেষ হলো প্রথম আমি তোমকে চাই দিয়েই......
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।