মানবিক, যৌক্তিক আর অযৌক্তিক। সোজা কথা আরেকটা মানুষ। দশ জনের ভীরে ডুবে থাকার প্রানান্ত চেষ্টায় থাকা মানুষ। "... অফিস শেষে দিলাম ছুট মাঠে। চট্টলার খেলা দেখব, সাথে অনেকদিন পর আফতাবকেও... অনেকদিন পর মাঠে গেলাম।
আজ পর্যন্ত মাঠে যতবার গেছি, আমার পছন্দের দল গো হারা হারসে। পছন্দের খেলোয়াড় গো বাজে খেলসে। ব্যাতিক্রম শুধু একবারের জিম্বাবুইয়ান মুরগি বধকাব্য...
শুধু খেলাই না, এই নতুনদের ভীরেও আজো সব-ই যথারীতি। মনে হয় সব একই জিনিষের পুনরাবৃত্তি হচ্ছে।
কোন কারন নেই, গ্যালারীর কাছে থাকা খেলোয়াড় টারে বাপ- মা ধরে গালাগাল...!!! ওপর থেকে নিচে বোতল, কাগজের হাওয়াই জাহাজ আর যাবতীয় নোংরা নিক্ষেপ, অনন্ত খিস্তি খেউর।
আশে-পাশে নারী রুপের দেখা পেলে সে তো আরও বাড়ে।
ভরা মজলিশে অদ্ভুত এবং বিচ্ছিরি কামুক অঙ্গ-ভঙ্গী করে পিঠে সেয়ানা ট্যাগ লাগানোর সেই রীতি আর গরিব হকারের সস্তা নাস্তা অথবা সেদ্ধ ডিমের বারোটা বাজিয়ে সমগোত্রীয়ের কাছে কুউউল হবার প্রানান্তকর চেষ্টা... মাঝে মাঝে অবধারিত ভাবে নারী শ্লেষাত্মক শব্দাবলীর প্রয়োগ। কিছুই বদলায়নি মাঝের সময়ে।
ছোট বোন দুইটা খুব আশা নিয়ে বসেছিল, কথা দিয়েছিলাম ওদের নিয়ে যাবো খেলা দেখাতে। বুক- ভর্তি ব্যাথা নিয়ে বাসায় ফিরলাম।
চট্টলার রাজারা হারায় নয়, কাল ওদের দেয়া কথা রাখতে পারব না তাই। আমার অত সাহস - শক্তি নেই, পুরো নষ্টে ডুবে থাকা একটা সমুদ্রে সাঁতরানোর। আর্থিক সাধ্য ও অত বিলাসী পর্যায়ে পৌঁছে নি, নচেৎ নিয়ে যেতুম ভীর ভাট্টা থেকে দূর। অভিজাত গ্যালারীতে।
নতুনেরা তো সব সুন্দর নিয়ে আসার কথা।
ভীর গুলান কবে সুন্দর হবে এই তৃতীয় বিশ্বে। খালি জায়গা খুজতে হবে ক্যান পরিষ্কারের আশায়... ???
আশায় রইলাম, একদিন যতই পকেটে থাকুক লুটোবার মত টাকা, তারপরেও অনায়াসে তৃতীয় শ্রেণী গ্যালারিতে ভয়াবহ ভীরে সাধ্য মত বিলাস ভরে আমার পুরো পরিবার নিয়ে দেখব খেলা। যেদিন আমার পছন্দের দল জিতবে, সাথে জিতবে সুন্দরেরা..." ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।