সপ্ন দেখি সবসময় facebook.com/FaizulFaysal
খান সাইফুর রহমান।
আসামিপক্ষের আইনজীবী।
বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার রায় ঘোষণার পর প্রথম আলোর কাছে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।
এখান থকে নেয়া
রায়ের ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া কী?
আমি এখনো রায়ের কপি হাতে পাইনি। কপি পাওয়ার পর সব জানানো যাবে।
তবে এ রায় আমাদের প্রত্যা-শিত নয়।
আপনার প্রত্যাশা কী ছিল?
যাবজ্জীবন হতে পারত, আমার সেটাই প্রত্যাশা ছিল। সারা দুনিয়া যেখানে মৃত্যুদণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তুলছে, আমরা সেখানে মৃত্যুদণ্ডের সংখ্যা বাড়িয়ে দিচ্ছি।
এটা তো নির্মম হত্যাকাণ্ড ছিল।
হত্যাকাণ্ডের রাতের পুরো ঘটনাপ্রবাহ ও পরিণতিতে স্পষ্ট যে, এটি সাধারণ হত্যাকাণ্ড নয়।
এখানে সেনা বিদ্রোহ স্পষ্ট। সেনানিবাসে সংঘটিত বিদ্রোহের ফলেই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। এই হত্যাকাণ্ডকে আলাদাভাবে দেখার অবকাশ নেই। মামলার বাদী নিজেও বলেছেন, এটা সেনা বিদ্রোহ। তাহলে এটা কেন সেনা বিদ্রোহ নয়।
সেনা বিদ্রোহ প্রমাণিত হলে...।
সামরিক আইনে বিদ্রোহের বিচার হয় কোর্ট মার্শালে। সেনা বিদ্রোহ হলে আসামিদের অব্যাহতি পাওয়ার কথা। সেনা বিদ্রোহের বিচার দণ্ডবিধিতে হতে পারে না, এটি সেনা আইনের অপরাধ। যুক্তিতর্কের সময় আমি সে কথা বলেছি।
এ ঘটনায় বেসামরিক ব্যক্তিরা তো নিহত হয়েছেন।
১৫ আগস্ট তিনজন সামরিক ব্যক্তিও নিহত হয়েছেন। তাঁরা সেনা আইনের অধীন। তাঁদের যারা হত্যা করেছে, তারাও সেনা আইনের অধীনে। রাষ্ট্রক্ষমতা থেকে শেখ মুজিবুর রহমানের সরকারকে উত্খাতের অভিপ্রায় থেকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট অভ্যুত্থান ঘটেছে।
এই বিদ্রোহ ছিল স্বতঃস্ফূর্ত। এখানে কোনো অভিন্ন ইচ্ছা ও ষড়যন্ত্র ছিল না।
আপিলের রায়ের পর আপনারা কি রিভিউ আবেদন করবেন?
হ্যাঁ, আমরা রিভিউ আবেদন করব। ইতিমধ্যে রিভিউ আবেদন করতে রায়ের কপির জন্য আবেদন করা হয়েছে বলে আমি শুনেছি।
রায় কার্যকর করার নিয়ম কী?
আপিলের রায়ের পর সংক্ষুব্ধ পক্ষ ওই বেঞ্চেই রিভিউ আবেদন করবেন।
রায়ে আসামিদের ফাঁসির আদেশ বহাল থাকলে এবং রিভিউ আবেদন খারিজ হলে তাঁরা রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করতে পারবেন। তাও খারিজ হলে আইন অনুসারে মামলাটির চূড়ান্ত নিষ্পত্তির ২১ দিন পর এবং ২৮ দিন অতিবাহিত হওয়ার আগে রায় কার্যকর করার নিয়ম রয়েছে।
রিভিউ আবেদনের কারণে কি রায় স্থগিত থাকবে?
রিভিউ আবেদন দায়েরের পর তা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ফাঁসি কার্যকরের প্রক্রিয়া স্থগিত থাকে।
রিভিউ করার নিয়ম কী?
আপিল বিভাগের রায় বা আদেশের বিরুদ্ধে ওই আদালতেই ৩০ দিনের মধ্যে রিভিউ দায়ের করতে হয়। রায়ের সত্যায়িত কপি পাওয়ার পর থেকে এই ৩০ দিন গণনা করা হয়।
এ ক্ষেত্রে অযৌক্তিক সময় ক্ষেপণ করলে সেটা এই সময় থেকে বাদ যাবে।
রিভিউ আবেদন যদি খারিজ হয়?
আসামিদের রিভিউ আবেদন খারিজ হলে সুপ্রিম কোর্ট থেকে তা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও জেল কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানাতে হবে।
রিভিউ আবেদন খারিজ হলে আসামিরা রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাইবেন কি না?
সেটা এখনই বলা যাবে না। আসামিপক্ষ এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।