আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বাংলাদেশে ঔষধের অযথা কিছু মূল্যবৃদ্ধি

একটি বাংলাদেশ, তুমি জাগ্রত জনতা, সারা বিশ্বের বিস্ময়, তুমি আমার অহংকার

বাংলাদেশে ঔষধের ব্যাপক মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে বেশ কিছুদিন যাবত। সবচেয়ে বেড়েছে বিদেশ থেকে আমদানী কৃত ঔষধের দাম। আগে শুনেছি, অন্যান্য দেশের চেয়ে এদেশে কমমূল্যে চিকিৎসা ব্যাবস্থা আছে। আর ঔষধের দামও তুলনামূলক কম। তবে হ্যাঁ আর্ন্তজাতিক বাজারে ঔষধের কাঁচামালের দাম বাড়াতে এমন হচ্ছে এটা ঠিক।

কিন্তু একটা জিনিস খেয়াল করলে বোঝা যাবে যে এটাই শুধু কারণ নয়। এই ঔষধের দাম নির্ধারনের নীতিমালা ঠিকভাবে মানা হচ্ছে কিনা তার সন্দেহ আছে। একটা উদাহরণ দেই: কিছুদিন আগে আমার ছেলের টাইফয়েড হয়েছিল। সবসময় জ্বর ১০৪ ডিগ্রি থাকতো। অনেকদিন চিকিৎসা হয়েছে।

কিছুতেই কোন কিছু হয় না। শেষে ডাক্তার সাহেব না পেরে তাকে এন্টিবায়োটিক ইঞ্জেকশান দিলেন। নাম সেফট্রোন ২৫০ মি:গ্রা: দিনে দুইটা এভাবে ৫ দিন। প্রতিদিন দুইটি ইঞ্জেকশান আমি নিজেই পুশ করতাম আমার ছেলেকে। প্রতিটি ইঞ্জেকশনের দাম ১০০ টাকা।

কিন্তু এর প্যাকেটটি এমন ভাবে তৈরী করা হয়েছে যা অত্যান্ত ব্যায়বহুল। প্যাকেটটি এমন না করে সাধারন করলেও পারতো। এতটা ডেকোরেশন না করলেও পারতো। কোম্পানী স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেড। প্রতিটি প্যাকেটে চার সাইডে সেফট্রোন লেখাটি এমবুশ করা হয়েছে এবং তার উপরে আবার সোনালী ফয়েল দেয়া হয়েছে।

চারদিকে সোনালী ফয়েল করে এমবুশ করার ফলে প্যাকেটিং এর খরচ অনেক বেড়ে গেছে। আমি মনে করি, প্রতিটি প্যাকেটে খরচ হয়েছে প্রায় ১০ টাকার উপরে। অথচ এই ঔষধটার প্যাকেট কম করে হলেও ১টাকার মধ্যে তৈরী করা যেত। তাতে কি কোন অসুবিধা ছিল? রোগীর প্রয়োজন তো ভিতরের ঔষধের। প্যাকেট দিয়ে সে কি করবে? প্রতিটি প্যাকেটের মূল্য যদি ৯ টাকা কমে তবে মোট মূ্ল্য থেকে কতটাকা সাশ্রয় হতো তা দেখার ব্যাপার।

সরকার এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এ ব্যাপারে ভেবে দেখা উচিত। মনে রাখতে হবে ঔষধ কোন প্রসাধন সামগ্রী না এটা জীবন রক্ষাকারী একটা দ্রব্য।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.