আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মুক্ত বার্তা - বৈশাখ ১৪১৫/মে ২০০৮ - মুক্ত হোক জ্ঞানের আলো

জাদুনগরের কড়চা
(খান মুহম্মদ মির্ধার মসজিদ, পুরানো ঢাকা। ছবি - রাগিব হাসান) শহীদ মিনার। ছবি - কার্ল রোহেল পহেলা বৈশাখের শোভাযাত্রা। ছবি - নিলয় ---------- মুক্ত লাইসেন্সে প্রদত্ত বাংলাদেশের আরো ছবির জন্য দেখুন Click This Link ----------- বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্কের উদ্যোগে এমাস থেকে প্রকাশনা শুরু হলো মুক্ত বার্তা নামের মুক্ত-তথ্য-বিষয়ক মাসিক সংকলন। গত ১২ই মে ঢাকার মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে এক সভায় মুহম্মদ জাফর ইকবাল, মাহবুব এলাহী রঞ্জু বীরপ্রতীক, অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম প্রমুখের উপস্থিতিতে এর প্রথম সংখ্যাটির উদ্বোধন করা হয়।

আপনাদের জন্য এখানে তুলে ধরছি মুক্ত বার্তার প্রথম সংখ্যা - ছবিগুলো দেয়া সম্ভব হলোনা বলে দুঃখিত। পিডিএফ সংস্করণ পাবেন এখানে । সম্পাদকীয় শুরু হলো বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্কের (বিডিওএসএন) মাসিক সংকলন মুক্ত বার্তার পথচলা। বিডিওএসএন বাংলাদেশে উন্মুক্ত সোর্স কোড ভিত্তিক সফটওয়্যার ও মুক্ত তথ্যভান্ডারের বিকাশের জন্য কাজ করে চলেছে। ২০০৫ সালের ২৪ অক্টোবর প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর থেকে আমরা ওপেন সোর্স ও ওপেন কনটেন্ট-এর জন্য কাজ করে চলেছি।

আমাদের নানা কাজের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্থানীয় ওপেন সোর্স নেটওয়ার্কের মাধ্যমে বিভিন্ন কর্মশালা. সেমিনার ও প্রশিক্ষনের আয়োজন করা। উদ্দেশ্য তরুন প্রজন্মকে মুক্ত সফটওয়্যারে দক্ষ হিসাবে গড়ে তোলা। আমাদের রয়েছে একটি সাপোর্ট সেন্টার যার মাধ্যমে আমরা বিনাখরচে মুক্ত সফটওয়্যার ব্যবহারকারীদের নানা রকম সহায়তা দিয়ে থাকি। কেবল শিক্ষার্থীদের জন্য নয়, আমাদের কর্মকান্ডকে আমরা বিকশিত করেছি সমাজের নানা স্তরে, দেশে এবং দেশের বাইরে। আমাদের একটি উল্লেখযোগ্য চলমান কাজ হলো বিশ্বের সবচেয়ে বড় বাংলা বিশ্বকোষ বাংলা উইকিপিডিয়াকে (http://bn.wikipedia.org) বিকশিত করা।

২০০৬ সালের মার্চ মাসে আমরা গঠন করেছিলাম বাংলা উইকি। তখন বাংলা উইকিপিডিয়াতে ছিল মাত্র ৫০০ ভুক্তি। এখন সেটি ছাড়িয়েছে ১৭ হাজারের মাইলফলক। কেবল বাংলা নয়, ইংরেজী উইকিপিডিয়াতেও বাংলাদেশের নানা তথ্য যোগ করার ব্যাপারে সচেষ্ট রয়েছে আমাদের স্বেচ্ছাসেবকরা। বিডিওএসএন একটি সম্পূর্ণ স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান এবং এটি চলে এর সদস্যদের চাঁদার মাধ্যমে।

সে কারণে কখনো কখনো কোন না কোন কাজ মনের মত করে করা হয়ে ওঠেনা। তবে আমাদের চেষ্টা অব্যাহত আছে। এখন থেকে প্রতিমাসের প্রথম সপ্তাহে আমরা মুক্ত বার্তার মাধ্যমে আমাদের কর্মকান্ড ও উদ্দেশ্য নিয়ে আপনাদের কাছে হাজির হবো। এই সংকলনটিকে কীভাবে আরো অর্থবহ করা যায়, সে মতামতও চাই আমরা আপনার কাছে। আমাদের পথচলায় আপনিও আমাদের সহযাত্রী হবেন এই প্রত্যাশায়।

এই সংখ্যার সম্পাদক রাগিব হাসান ই-মেইল : ------------ মুক্ত খবর চট্টগ্রাম বইমেলায় বিডিওএসএন চট্টগ্রামে ২৫ মার্চ থেকে শুরু হওয়া আবুল ফজল- আহমদ ছফা বইমেলায় প্রথম বারের মতো অংশ নিয়েছে বিডিওএসএন। নবগঠিত চট্টগ্রাম ওপেন সোর্স নেটওয়ার্কের কর্মীরা বইমেলার স্টল পরিচালনা করেন। ৩ এপ্রিল পর্যন্ত অনুষ্ঠিত মেলায় বিভিন্ন ওপেন সোর্স সফটওয়্যার প্রদর্শন ও বিতরণ, পুস্তিকা ও লিফলেট বিতরণ করা হয়। মেলায় প্রাকৃতিক সপ্তাচার্য নির্বাচনে কক্সবাজারের জন্য ভোট গ্রহণের জন্য ব্যবস্থা রাখা হয়। পিএইচপি ও মাইসিকুয়েল কর্মশালা তথ্যপ্রযুক্তিতে নিজেদের সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য শ্রেণীকক্ষ ও কর্মস্থলের বাইরে নিয়মিত প্রশিক্ষন খুবই জরুরী।

আর বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার জন্য দরকার বেশি করে উন্মুক্ত সোর্সকোড ভিত্তিক সফটওয়্যারের চর্চ্চা। বাংলাদেশ ওপেনসোর্স নেটওয়ার্ক (বিডিওএসএন) আয়োজিত চারদিনব্যাপী পিএইচপি ও মাইসিকুয়েল কর্মশালার শেষ দিনে সনদ বিতরণী অনুষ্ঠানে এই কথা বলেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট)-এর ইন্সটিটিউট অফ ইনফরমেশন এন্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজিতে (আইআইসিটি) পরিচালক অধ্যাপক লুৎফুল কবীর। তিনি তরুনদের জন্য এই ধরণের আরো প্রশিক্ষণ কর্মশালা ও অনুরূপ কর্মসূচী গ্রহণ করার জন্য বিডিওএসএন-এর পাশাপাশি অন্যান্য প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে আসার আহবান জানান। গত রবিবার বুয়েটের আইআইসিটিতে এই সমাপনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উল্লেখ্য যে, গত বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া এই কর্মশালায় এইচটিএমএল, বেসিক পিএইচপি, মাইসিকুয়েল ডাটাবেইজ, একসেসিং মাই সিকুয়েল, ফর্ম, পিএইচপি অথেনটিকেশন, ওয়েবসাইট হোস্টিং, জুমলায় ওয়েব ডিজাইন ইত্যাদির উপর আলোচনা করা হয়।

বিভিন্ন টেলিকম কোম্পানীতে কর্মরত ও শিক্ষার্থীসহ মোট ৩১ জন এই কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেছে। কর্মশালার সমন্বয়কারীর দায়িত্ব পালন করেন বিডিওএসএনের ওয়েব প্রশাসক অভিষেক রায় ও তাকে সহযোগিতা করেন ফেরদৌস আহমেদ তানিন। সমাপনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বিডিওএসএন এর সাধারণ সম্পাদক মুনির হাসান, রাশিদ নাইম , মাহে আলম খান, ওমর শিহাব প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন। মুক্ত দর্শনের কর্মীদের পহেলা বৈশাখ উদযাপন নতুন বছরে সবাইকে উন্মুক্ত সোর্সকোড ভিত্তিক সফটওয়্যার ব্যবহার ও বাংলা উইকিপিডিয়াকে সমৃদ্ধ করার আহবান জানানোর মাধ্যমে বাংলা নববর্ষকে বরণ করেছে দেশের উইকিপিডিয়ান ও মুক্ত দর্শনের কর্মীরা। ঢাকায় বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্কের (বিডিওএসএন) কর্মীরা উন্মুক্ত সোর্স কোড ভিত্তিক সফটওয়্যার ব্যবহার ও বাংলা উইকিপিডিয়াকে সমৃদ্ধ করার আহবান সম্বলিত ব্যানার সহ সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত শাহবাগ মোড়ে, পাবালিক লাইব্রেরীর সামনে অবস্থান নেয়।

সেখানে উৎসুক দর্শকদের উন্মুক্ত সোর্সকোড ও উইকিপিডিয়ার নানা বিষয় সম্পর্কে তথ্য সরবারহ করা হয়, বিতরণ করা হয় লিফলেট। দুপুর বারটায় নেটওয়ার্কের কর্মীরা ব্যানার সহ টিএসসি ও সংলগ্ন এলাকা পরিদর্শন করে দিনের অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন। সমাবেশ ও শোভাযাত্রায় অন্যান্যদের মধ্যে মুনির হাসান, মাহে আলম খান, ওমর শিহাব, ফাহিম ইসলাম, ফেরদৌস তানিন, আইয়ুব সরকার, রশিদ নাইম প্রমূখ। চট্টগ্রামে একই আহবান সম্বলিত ব্যানার নিয়ে চট্টগ্রাম ওপেন সোর্স নেটওয়ার্কের কর্মীরা ডিসি পাহাড় পার্কের উৎসব তোরণের পাশে অবস্থান নেন। তারা দিনভর উৎসবে আগমনকারীদের মুক্ত দর্শনের বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে অবহিত করেন।

মুক্ত দর্শনের কর্মীদের এই কর্মকান্ডে বিশেষ প্রনোদনা হিসাবে ছিল ইংরেজী উইকিপিডিয়ার প্রথম পৃষ্ঠায় বাংলাদেশে পহেলা বৈশাখ উদযাপনের তথ্য। দিনভর নানা প্রচারণার পাশাপাশি বাংলা উইকিপিডিয়ানরা এইদিন বাংলা উইকিপিডিয়াতে পহেলা বৈশাখ সংক্রান্ত নিবন্ধসমুহকে সমৃদ্ধ করেছে। উইকিপিডিয়ার মাধ্যমে ঢাকার ইতিহাস তুলে ধরার তাগিদ বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার ৪০০ পূরণ হচ্ছে এ বছরে। এই উপলক্ষে ঢাকার ইতিহাস ও ঐতিহ্য উইকিপিডিয়ার মাধ্যমে সারা বিশ্বের মানুষের কাছে তুলে ধরার আহবান জানানো হয়েছে বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্কের পক্ষ থেকে। ঢাকার কলাবাগান মাঠে আয়োজিত তিনদিন ব্যাপী “টেস্ট অব ঢাকা” নামের প্রদর্শনীতে বিডিওএসএনের স্টল থেকে এই আহবান জানানো হয়।

স্টলে উইকিপিডিয়ায় কীভাবে তথ্য যোগ করতে হয় তা দেখানো হয়। এর সাথে সাথে ইতিমধ্যে উইকিকমন্স-এ যুক্ত ঢাকার ছবি ভান্ডারও প্রদর্শন করা হয়। এছাড়া মেলায় বিভিন্ন মুক্ত সফটওয়্যার ও এ সংক্রান্ত পুস্তিকা বিতরণ করা হয়। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে মুক্ত সফটওয়্যারের কমর্শালা শোভাযাত্রা, মুক্ত আলোচনা, হাতে কলমে লিনাক্স ও জুমলা ভিত্তিক তথ্য ব্যবস্থাপনার প্রশিক্ষণ এবং উইকিপিডিয়াতে তথ্য যোগ করার মাধ্যমে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাপ্ত হলো দুইদিনব্যাপী মুক্ত সফটওয়্যারের কর্মশালা। বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্ক (বিডিওএসএন)-এর সহওযাগিতায় বিশ্ববিদ্যারয়ের কম্পিউটার কৌশল বিভাগ (সিএসই) এই কর্মশালার আয়োজন করে।

সাইবার জগতে দেশের স্বাধীনতা ও তথ্য প্রযুক্তিতে নিজেদের দক্ষতা আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার জন্য শিক্ষার্থীদের অধিকহারে মুক্ত সফটওয়্যারের চর্চ্চা করার জন্য কর্মশালায় আহবান জানানো হয়। ২৪ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগার সংলগ্ন অডিটরিয়ামে কর্মশালার উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. হাবিবউল্লাহ। সিএসই বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. সাহাদত হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন বিডিওএসএনের মুনির হাসান ও কর্মশালার সমন্বয়কারী সিএসই বিভাগের লেকচারার ফওজিয়া আশরাফ মৌসুমী। উদ্ভোধন শেষে একটি বর্নাঢ্য শোভাযাত্রা ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থান প্রদক্ষিণ করে। কর্মশালায় ৮১ জন প্রশিক্ষনার্থী লিনাক্স ইনস্টলেশন, উইকিপিডিয়াতে কাজের পদ্ধতি এবং জুমলা ভিত্তিক তথ্য ব্যবস্থাপনা সফটওয়্যারের ওপর প্রশিক্ষন গ্রহণ করেন।

বিডিওএসএনের মাহে আলম খান, ওমর শিহাব, ফেরদৌস তানিন ও আরাফাত রহমান প্রশিক্ষণ কর্মশালা পরিচালনা করেন। কর্মমালা শেষে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ওপেন সোর্স নেটওয়ার্ক (সিইউওএসএন) আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের যাত্রা শুরু করে। নোয়াখালীতে শেষ হলো মুক্ত সফটওয়্যারের কর্মশালা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে মুক্ত সফটওয়্যারের চর্চ্চা বাড়ানোর উদ্দেশ্যে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বিডিওএসএনের সহযোগিতায় আয়োজিত কর্মশালার সমাপ্তি হলো নোয়াখালি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি)। ২৬ এপ্রিল, শনিবার, ক্যাস্পাসে দুইদিন ব্যাপী কর্মশালার উদ্বোধন করেন নোবিপ্রবি-র উপাচার্য ড. আবুল খায়ের। উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবনে নিজেদেরকে আগামী দিনের জন্য যথাযথভাবে গড়ে তোলার জন্য সকল সুযোগ কাজে লাগানোর আহবান জানান।

বিডিওএসএনের সহযোগিতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগ এই কর্মশালার আয়োজন করে। দুইদিন ব্যাপী কর্মশালায় ৯০ জন প্রশিক্ষনার্থী লিনাক্স ও জুমলার ওপর প্রশিক্ষন গ্রহণ করে। এছাড়া কর্মশালায় প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতার ওপরও একটি বিশেষ অধিবেশনের আয়োজন করা হয়। কর্মশালার শেষদিনে নোবিপ্রবি ওপেন সোর্স নেটওয়ার্ক গঠন করা হয়। মে মাসের উল্লেখযোগ্য অনুষ্ঠানাদি সেমিনার ও প্রকাশনা  উইকি সংকলনে বই ও একুশের ছবি সমর্পন  ওপেন সোর্স সফটওয়্যারে গেম প্রোগ্রামিং  রুবি অন রেইলস কর্মশালা  জুমলা  রুবি অন রেইলস আড্ডা  উইকি আড্ডা  উবুন্টু ৮.০৪ বিতরণ তারিখ ও স্থান জানতে দেখুন, বিডিওএসএনের ওয়েবসাইট http://www.bdosn.org বাংলা উইকিপিডিয়া থেকে সত্যজিৎ রায় (http://bn.wikipedia.org/wiki/সত্যজিৎ_রায় ) সত্যজিৎ রায় (২রা মে, ১৯২১ – ২৩শে এপ্রিল, ১৯৯২) একজন ভারতীয় চলচ্চিত্র নির্মাতা ও বিংশ শতাব্দীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র পরিচালক।

কলকাতা শহরে সাহিত্য ও শিল্পের জগতে খ্যাতনামা এক বাঙালী পরিবারে তাঁর জন্ম হয়। তিনি কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজ ও শান্তিনিকেতনে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রতিষ্ঠিত বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। সত্যজিতের কর্মজীবন একজন বাণিজ্যিক চিত্রকর হিসেবে শুরু হলেও প্রথমে কলকাতায় ফরাসী চলচ্চিত্র নির্মাতা জঁ রনোয়ারের সাথে সাক্ষাৎ ও পরে লন্ডন শহরে সফররত অবস্থায় ইতালীয় নব্য বাস্তবতাবাদী ছবি লাদ্রি দি বিচিক্লেত্তে (ইতালীয় Ladri di biciclette, "সাইকেল চোর") দেখার পর তিনি চলচ্চিত্র নির্মাণে উদ্বুদ্ধ হন। চলচ্চিত্র নির্মাতা হিসেবে সত্যজিৎ ছিলেন বহুমুখী এবং তাঁর কাজের পরিমাণ বিপুল। তিনি ৩৭টি পূর্ণদৈর্ঘ্য কাহিনীচিত্র, প্রামাণ্যচিত্র ও স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন।

তাঁর নির্মিত প্রথম চলচ্চিত্র পথের পাঁচালী ১১টি আন্তর্জাতিক পুরস্কার লাভ করে, যাদের মধ্যে অন্যতম ছিল কান চলচ্চিত্র উৎসবে পাওয়া “শ্রেষ্ঠ মানব দলিল” (Best Human Document) পুরস্কারটি। পথের পাঁচালি, অপরাজিত ও অপুর সংসার – এই তিনটি চলচ্চিত্রকে একত্রে অপু ত্রয়ী ডাকা হয়, এবং এই চলচ্চিত্র-ত্রয়ী তাঁর জীবনের শ্রেষ্ঠ কাজ বা ম্যাগনাম ওপাস হিসেবে বহুল স্বীকৃত। চলচ্চিত্র মাধ্যমে সত্যজিৎ চিত্রনাট্য রচনা, চরিত্রায়ন, সঙ্গীত স্বরলিপি রচনা, চিত্র গ্রহণ, শিল্প নির্দেশনা, সম্পাদনা, শিল্পী-কুশলীদের নামের তালিকা ও প্রচারণাপত্র নকশা করাসহ নানা কাজ করেছেন। চলচ্চিত্র নির্মাণের বাইরে তিনি ছিলেন একাধারে কল্পকাহিনী লেখক, প্রকাশক, চিত্রকর, গ্রাফিক নকশাবিদ ও চলচ্চিত্র সমালোচক। বর্ণময় কর্মজীবনে তিনি বহু পুরস্কার পেয়েছেন, তবে এদের মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত হল ১৯৯১ সালে পাওয়া একাডেমি সম্মানসূচক পুরস্কারটি (অস্কার), যা তিনি সমগ্র কর্মজীবনের স্বীকৃতি হিসেবে অর্জন করেন।

[সম্পূর্ণ নিবন্ধটি পড়তে হলে দেখুন Click This Link অথবা http://tinyurl.com/5jn86j ] -- বাংলা উইকিপিডিয়া থেকে টর্নেডো (http://bn.wikipedia.org/wiki/টর্নেডো ) টর্নেডো (Tornado) হল বায়ুস্তম্ভের আকারে সৃষ্ট প্রচণ্ড বেগে ঘূর্ণায়মান ঝড় যা মেঘ (সাধারণত কিউমুলোনিম্বাস, ক্ষেত্রবিশেষে কিউমুলাস) এবং পৃথিবীপৃষ্ঠের সাথে সংযুক্ত থাকে। টর্নেডোর আকৃতি বিভিন্ন ধরনের হতে পারে, তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এটি দৃশ্যমান ঘনীভূত ফানেল আকৃতির হয়, যার চিকন অংশটি ভূপৃষ্ঠকে স্পর্শ করে এবং এটি প্রায়শই বর্জ্যের মেঘ দ্বারা ঘিরে থাকে। অধিকাংশ টর্নেডোতে বাতাসের গতিবেগ থাকে ঘণ্টায় ১৩০ মাইলের (ঘণ্টায় ১৭৭ কিমি) কাছাকাছি, ব্যাপ্তি প্রায় ২৫০ ফুট (৭৫ মিটার) এবং দ্রুত নিঃশেষ হবার আগে এটি কয়েক মাইল বা কিমি পথ পাড়ি দিতে পারে। কিছু টর্নেডো আরো বেশি শক্তিসম্পন্ন হতে দেখা যায়; ঘণ্টায় এগুলোর বাতাসের গতিবেগ থাকে ৩০০ মাইল বা ৪৮০ কিমি-এর বেশি, ব্যাপ্তিতে প্রায় এক মাইল বা ১.৬ কিমি-এর অধিক এবং ভূমির উপর দিয়ে মাইলের পর মাইল প্রায় ১০০ কিমি-এরও অধিক দূরত্ব এগুলো অতিক্রম করতে পারে। এন্টার্কটিকা মহাদেশ ছাড়া প্রায় সর্বত্রই টর্নেডো দেখা যায়, তবে সবচেয়ে বেশি টর্নেডো সংঘটিত হয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে।

এছাড়া দক্ষিণ কানাডা, দক্ষিণ এশিয়া (বিশেষ করে বাংলাদেশ এবং পূর্ব ভারত), দক্ষিণ আমেরিকার পূর্বমধ্যাংশ, আফ্রিকার দক্ষিণাংশ, উত্তরপশ্চিম এবং দক্ষিণপূর্ব ইউরোপ, ইটালি, পশ্চিম এবং দক্ষিণপূর্ব অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডে টর্নেডো হতে দেখা যায়। [সম্পূর্ণ নিবন্ধটি পড়তে হলে দেখুন Click This Link অথবা http://tinyurl.com/5rqdzn ] বাংলা উইকি সংকলন থেকে বাংলা উইকি-সংকলন (http://bn.wikisource.org ) হলো বাংলা ভাষার সাহিত্যকর্মের একটি মুক্ত উৎস। এখানে পাবেন পাবলিক ডোমেইনে বাংলার সব খ্যাতনামা কবি ও সাহিত্যিকদের রচনাবলী। বঙ্গবাণী আবদুল হাকিম (১৬২০-১৬৯০) কিতাব পড়িতে যার নাহিক অভ্যাস। সে সবে কহিল মোতে মনে হবিলাষ॥ তে কাজে নিবেদি বাংলা করিয়া রচন।

নিজ পরিশ্রম তোষি আমি সর্বজন॥ আরবি ফারসি শাস্ত্রে নাই কোন রাগ। দেশী ভাষা বুঝিতে ললাটে পুরে ভাগ॥ আরবি ফারসি হিন্দে নাই দুই মত। যদি বা লিখয়ে আল্লা নবীর ছিফত॥ যেই দেশে যেই বাক্য কহে নরগণ। সেই বাক্য বুঝে প্রভু আপে নিরঞ্জন॥ সর্ববাক্য বুঝে প্রভু কিবা হিন্দুয়ানী। বঙ্গদেশী বাক্য কিবা যত ইতি বাণী॥ মারফত ভেদে যার নাহিক গমন।

হিন্দুর অক্ষর হিংসে সে সবের গণ॥ যে সবে বঙ্গেত জন্মি হিংসে বঙ্গবাণী। সে সব কাহার জন্ম নির্ণয় ন জানি॥ দেশী ভাষা বিদ্যা যার মনে ন জুয়ায়। নিজ দেশ তেয়াগী কেন বিদেশ ন যায়॥ মাতা পিতামহ ক্রমে বঙ্গেত বসতি। দেশী ভাষা উপদেশ মনে হিত অতি॥ (বিভিন্ন কবির আরো কিছু কবিতা পড়তে হলে দেখুন Click This Link অথবা http://tinyurl.com/59myxb ) ----------- ২০০৮ এর এপ্রিল মাসে বাংলা উইকিতে উল্লেখযোগ্য সংযোজন নতুন নিবন্ধ - ইরান-ইরাক যুদ্ধ, উপসাগরীয় যুদ্ধ, কুসুম্বা মসজিদ, শেখ ফজলল করিম, দুর্গামোহন দাশ, জন আর্কিবাল্ড হুইলার, আফ্রিকান কাপ অব নেশন্স, কাসাব্লাংকা, হিন্দি-উর্দু ব্যাকরণ, বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড, জস (চলচ্চিত্র), কুষাণ সাম্রাজ্য, লিনডাউ, রোলান্ড এমেরিখ, জব্বারের বলি খেলা, কামিনীকুমার ঘোষ, বাদল গুপ্ত, ট্র্যাফিক (চলচ্চিত্র) সম্প্রসারিত নিবন্ধ – মাচু পিচু, মহাত্মা গান্ধী নতুন ছবি – বিএনএস বঙ্গবন্ধু (বর্তমানে বিএনএস খালিদ বিন ওয়ালিদ), মাধবকুণ্ড জলপ্রপাত, হিমছড়ি, ফয়স লেক, মাইকেল মধুসূদন দত্তের সাগরদাড়ির বাড়ি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ওয়ার সিমেট্রি, বাংলাদেশের পিঠা, ফরাসগঞ্জ, বাংলাদেশের ফুল, লাউয়াছড়া পার্ক
 

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.