কিছু কিছু ছেলে মেয়ে আছে যারা জেনেটিকালিই একটু স্বাস্থ্যবান। তাদের জন্য সর্বপ্রথম কন্ট্রোল করতে হবে তাদের জিহবা। একটা জিনিস পরিষ্কার যে, যাদের জিহবা খাবারে তুষ্ট থাকতে ভালোবাসে তাদের স্লিম হবার সম্ভাবনা একেবারেই নাই। আমি চায়নায় কমপক্ষে ১ লক্ষ মেয়ে রাস্তাঘাটে দেখেছি। তাদের মধ্যে ৯৯% মেয়েই স্লিম।
ওদের শরীর এতই পাতলা যে আমাদের দেশে এমন সু-গঠন খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। স্লিম বলতে পুষ্টি হীনতা নয়, তাদের শরীরে বাড়তি মেদ জমতে দেয় না। তার অবশ্য কারন আছে, ওরা খাবারের ব্যাপারে প্রচন্ড টাইম এবং মেনু মেইনটেইন করে। যেমন ধরুন সকাল ৮ টার মধ্যে ব্রেকফাষ্ট যেটা কিনা হয় খুব হাল্কা পরিমানে। এর মধ্যে রাইস সুপ, ডিম এবং আধা সেদ্ধ সবজি খুবই পপুলার।
রাইস সুপ বলতে একমুঠো চাউল আর আধাসের পানি মিশিয়ে জাউভাত রান্না। হয়তো আপনি তলানিতে সামান্য কিছু ভাত দেখতে পাবেন বাকি সবটাই ভাতের মাড়। এতো লাইট খাবার আমদের ধাচে সবে না কারন আমরা চাই পেট পুরে সকালের খাবার খেতে যেন দুপুর চারটার মধ্যে আর ক্ষূধা না লাগে।
এবার আসুন দুপুরের খাবারের মেনুতে, এক বাটি ভাত, আধা সেদ্ধ সবজি, মাছ অথবা মাংস রান্না যা কি-না চপ স্টিক দিয়ে তুলে তুলে ভাতের সাথে মিশিয়ে খাওয়া শেষ, আমাদের মতো তরকারি আর ভাত হাবড়ায়ে খাওয়া তাদের স্বভাব বিরুদ্ধ। রাতের খাবার সন্ধ্যা ছয়টার মধ্যে কমপ্লিট যেন হজম হয়ে যায় রাত আটটার মধ্যে।
সে ক্ষেত্রে আমরা একটু ভিন্ন মত পোষন করি। যেমন ধরুন দুপুরে এমন সাইং আটা খাবার দেই যে পেট উঁচু হয়ে ঢোলের আকার ধারণ করে। পেট এমন ভারি হয়ে যায় যে চোখের পাতায় এমনিতেই ঘুমের ভাব চলে আসে, মনে হয়ে আহ্ পিঠটাকে একটু বিছানার সাথে এলিয়ে দিতে পারলে বেশ ভাল হতো।
রাতের বেলায়ও কম যাই না। কম পক্ষে দশটা বাজে আমাদের ডিনারের টবিলে বসতে।
পুনরায় সাইং আটা খাবার খাই আর ভাবি আল্লাহ যেন ঘুমের মধ্যে ক্ষূধায় মরে না যাই ! আমরা বাঙ্গালী পুরুষ আর নারীদের চিন্তা চেতনা প্রায় একই। কিছু মেয়ে এবং ছেলে আছে যাদের পেটে কোন বাড়তি মেদই নাই এমনকি ১ কেজি চালের ভাত খেলেও পেট সামান্যতম উঁচু হয় না। তাদের বিষয়টা স্বতন্ত্র, তারা বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা নেয় একটু মোটা হবার জন্য। একদিক দিয়ে তারা লাকি। পোষাক আশাক পরে তারা বেশ মজা পায়।
বিশেষ করে ছেলেরা টি শার্ট এবং মেয়েদের ফ্রি-পিস, জিন্সের সাথে টপস ইত্যাদি।
আমরা যদি খাবার খাওয়ার ব্যাপারে সচেতন হই, ইনশাআল্লাহ স্লিম হবই। আমার না হয় বয়স হয়েছে, সেই সাথে পাল্লা দিয়ে পেটও বাড়ছে। আমার নিজের জন্য ভাবনা নেই, বুড়া হয়ে যাচ্ছি দিন দিন, আর কয়দিন বা বাঁচব! যেসকল ছেলে-মেয়েদের এখনো বিয়ে হয় নাই তাদের জন্য একটা খাবার টিপস দিলাম। চেষ্টা করে দেখুন শরীর টাকে কন্ট্রোল করা যায় কি-না।
জিরো ফিগার
বর্তমান সময়ে জিরো ফিগার কথাটার সাথে আমরা সুপরিচিত। হলিউড কিংবা বলিউডের নায়িকা এবং মডেলরা এই কাংখিত লক্ষ্যে পৌছানোর জন্য কত কসরতই না করছেন।
জিরো ফিগার বা যাই হোক স্বাস্থ্যকর একটি স্লিম শরীরই আমাদের কাম্য হওয়া উচিত, তা না হলে অসুস্থ্ শরীর নিয়ে ভুগতে হতে পারে।
আমাদের লাইফস্টাইল এবং খাবারের ধরণ পরিবর্তন করলে কাংখিত স্লিম ফিগার অবশ্যই অর্জন করা সম্ভব।
নিচের টিপসগুলো থেকে সাহায্য নিতে পারেন:
# প্রথমেই আপনার মনকে শক্ত করতে হবে।
# ভাজাপোড়া, মিষ্টি ও কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার প্রায় বন্ধ করে দিতে হবে।
# প্রতিদিন ভোরে ঘুম থেকে ওঠার চেষ্টা করুন।
# ঘুম থেকে উঠে এক গ্লাস পানি পান করুন।
# ১৫ মিনিট পর এক কাপ চিনি ছাড়া চা পান করুন। সাথে এক-দুটি টোস্ট বা বিস্কুট খেতে পারেন।
# চা পানের এক ঘন্টা পর সকালের নাশতা করুন। সকালের নাশতায় দু-তিনটি রুটি, একটি ডিম, সবজি ও সালাদ রাখুন।
# দুপুরের ও সকালের খাবারের মাঝে ফল যেমন¬ আপেল, পেয়ারা, কমলা ইত্যাদি খেতে পারেন।
# শুধু দুপুরে একটু ভাত খাবেন। মধ্যাহ্নভোজে এক থেকে দেড় কাপ ভাত, এক কাপ ডাল, সবজি, এক টুকরো মাছ বা গোশতসহ ঝোল তরকারি ও সালাদ রাখুন।
# রাতে আবার দু-তিনটি রুটি, সবজি, এক কাপ ডাল ও এক টুকরো মাছ বা গোশত খাবেন। সাথে এক কাপ দুধ রাখতে পারেন।
# ওপরের খাদ্যাভ্যাসগুলো ছাড়া প্রতিদিন অবশ্যই আধঘন্টা থেকে এক ঘন্টা হাঁটার অভ্যাস গড়ে তুলুন। এভাবে যদি প্রতিদিন ওপরের অভ্যাসগুলো মেনে চলতে পারেন তবে স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে আপনি স্লিম হতে পারবেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।