আল বিদা
(তার কাছে ক্ষমা প্রার্থনাপূর্বক)
ইমোশনাল মানুষ তো হরহামেশাই দেখা যায়। স্বভাবতই মেয়েরা একটু বেশী ইমোশনাল হয়। পেশাগত কারনেও ইমোশন কম বেশী হয়। ডোম, কসাই, গোরখোড়দের ইমোশন কম হওয়ার কথা। আমাদের ব্লগের অনেকেই হয়ত ইমোশনাল।
সাংবাদিকদের পেশাগত কারনে ইমোশন কম হওয়ার কথা। কিন্তু আমাদের পরিচিত সিলেটের একজন সাংবাদিক ব্লগারকে দেখলাম খুবই ইমোশনাল। আমি ভাস্কর চৌধুরীর কথা বলছি, আমাদের প্রিয় ভাস্করদা। তার সাথে আমার একদিন মাত্র কথা হয়েছে ৫ মিনিটের জন্য। উনি কম লিখেন তাই উনার সব লেখাই আমার পড়া হয়।
আমার সব হয়ত তার পড়াই হয় না। আমি জানি না তিনি দেখতে কেমন। মোটা না চিকন, লম্বা না বেটে, কালো না ফর্সা। তবুও তার সাথে কথা বলে আমার তাকে ভাল লেগেছিল।
ভাস্করদাকে দেখলাম খুবই ইমোশনাল।
ব্লগের উপর অভিমান করে ব্লগও ছেড়ে দিতে চেয়েছিলেন। তার খুব প্রিয় এক বন্ধুর অনুরোধে আবার লিখছেন। তার সাথে ঐ কয়েক মিনিটের আলাপে তার নরম মনের খোজ পেলাম। মনে হল তিনি খুবই বন্ধুবৎসল। সাংবাদিকরা খবরের খোজ করেন।
নিজে কোন খবর ঘটায় না। অন্যের দুঃখী গল্প পত্রিকায় লিখে। নিজে তার দুঃখ কমানোর কিছু হয়ত করে না। এইটা সাংবাদিকের দায়িত্বও না। কিন্তু আমাদের ভাস্করদার নিজে কিছু করার উদ্যম অনুভব করি।
বিপদগ্রস্ত মানুষের সাথে মিশে যাওয়ার ইচ্ছা দেখি। ব্লগে আমরা ছাইপাশ যাই লিখি তার উৎসাহ দেয়ার ভাষায় কম পড়ে না। মনে হয় ডঃ জাফর ইকবালের মত লিখে ফেলেছি। এই ভাস্করদাকে ক্ষেপানোর জন্য একটা পোস্টে লিখেছীলাম পরবর্তী ব্লগার সম্মেলন সিলেটে করার কথা এবং সব খরচ সিলেটের ব্লগারদের। উনি ক্ষেপলেন না বরং দূরের ব্লগাররা কিভাবে যাবে তা নিয়ে টেনশন করলেন।
আমার চেষ্টা ফ্লপ মারল।
কাল রাতে হটাৎ মনে হল এই মানুষটাকে যতটুকু বুঝেছি তাই নিয়ে লিখি। আমাদের প্রিয় ভাস্করদার সুখী জীবন কামনা করছি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।