গলাবাজ আর সত্যিকারের লেখক এই ব্লগে টিকে থাকে, আমি কোনটাই না
১৮ ফেব্রুয়ারী, ২০০৭ কোরিয়ার ইনচিয়ন এয়ারপোর্ট এ নেমে বাস এ করে গন্তব্যস্হল সিউল যাওয়ার পথে চারদিক খালি পাতাহীন গাছপালা, ধূসর পাহাড়, আর ফেলে আসা আপন মুখগুলি।
প্রথম বিদেশ যাওয়ার সময় সবাই যেমন চাপা উত্তেজনায় দিন কাটায়, তেমনি কেটেছে আমারও। যদিও বিমানবন্দর বিষয়ক জটিলতার নানান গল্প শুনে শুনে ভয় ছিল মনের ভিতরে। ঢাকায় ইমিগ্রেশন অফিসার আমার পাসপোর্ট এমন ভাবে দেখা শুরু করলেন নিজেকে most wanted মনে হলো। অবশ্য আমাদের পাসপোর্ট নিঃসন্দেহে বিশ্বে অনন্য এর চেহারা, গঠন প্রণালী আর হাতে লেখা উদ্ধার অযোগ্য তথ্যের জন্য।
ঢাকার পুলসিরাত যদিও পার হলাম, সামনে আছে হংকং আর কোরিয়া। বিদেশ যাওয়ার সুখ তখন একটু একটু করে কমতে শুরু করেছে, কিন্তু অবাক হলাম যখন রাজকীয়ভাবে পার পেলাম এই দুই এয়ারপোর্ট এ।
আমি যে most wanted নই, নাগরিক হিসাবে যে আমার সেবা পাওয়ার অধিকার আছে, তা সে পৃথিবীর যেখানেই হোক...ভাবতেই মিশ্র এক অনুভুতি হলো মনের ভিতরে।
তবু যে ওটা আমার দেশ নয়, তখন আমি আপনজন থেকে অনেক দূরে...চোখের কোনে...বুকের ভিতরে...সব কিছু চাপা দিয়ে বন্ধুর মোবাইল থেকে ফোন করে পৌছানোর খবরটা দিলাম দেশের সবাইকে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।