সাহিত্যের সাইটhttp://www.samowiki.net। বইয়ের সাইট http://www.boierdokan.com
শ্রদ্ধেয় এক ব্যক্তির সঙ্গে অনেক দিন পর দেখা। বললেন, কী মাহবুব শুনলাম তুমিও নাকি পূর্ববাংলার ভাষার দলে চইলা গেছ? আমি কইলাম, কই? না তো। গেলাম কখন? টের তো পাইলাম না। গদ্য চর্চায় সক্রিয় অংশীদারি থেকে ভাষার নানা সম্ভাবনা নিয়া আমি উহসাহী।
ভাষা নানাভাবে ব্যবহার করে প্রকাশমান বিষয়ের প্রতিক্রিয়া দেখা আমার একটা জরুরি কাজ। এইটা করতে গিয়া আমি যেমন লেখ্য মান ভাষায় লিখছি। তেমনি কথ্য চলিত ভাষায় লিখছি। গুটিকয় ক্ষেত্রে সাধু ভাষাও ব্যবহার করছি। কিন্তু আমার লেখাপত্র বিচার কইরা কেউ কইতে পারবে না তুমি ওই ভাষা ব্লকের বা ওই ভাষা গোষ্ঠীর।
কৃতিত্ব জাহির করার জন্য এই বক্তব্য দিলাম না। দিলাম পরিস্থিতিটা বুঝানোর জন্য।
শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিকে কথাগুলা শুনাইলে উনি একটু নরমভাবাপন্ন হইলেন। বললেন, খাইছো? দুপুর বেলা খাওয়া দরকার। আমি কইলাম খাই নাই।
তবে আপনি খাওয়াইলে খাইতে পারি। উনি কইলেন, হাত মুখ ধুয়া আসে। খাবার রেডি আছে। চলো বইসা পড়ি।
আমি খেয়াল করলাম, উনি উচ্চশিক্ষিত, মান ভাষার পক্ষের জোরালো ব্যক্তি হওয়ার পরও কইলেন না যে, হাত মুখ ধুয়ে এসো।
খাবার তৈরি হয়ে আছে। চলো খেতে বসি। মনে খুব খায়েস হইলো ওনারে বলি, কিন্তু তৎক্ষণাত আত্মসংবরণ করলাম। কারণ ওনার সঙ্গে আমার দূরত্ব বেশ। ফলে, অফ গেলাম।
ঢাকা শহরে কি অধ্যাপক, কি সাংবাদিক, কি বিশেষজ্ঞ, কি অর্থনীতিবিদ উচ্চশিক্ষিত, ভাষার ব্যাপার চরম রক্ষণশীল যে কারো সঙ্গে আলাপে আমি তার ভাষা ব্যবহার খেয়াল করার চেষ্টা করি। দেখি যে, সবাই সমানে করতেছে, খাইতেছে, যাইতেছে বলে। শুধু ক্রিয়া না অন্য পদগুলাতেও চলতি শহুরে কথ্য ভাষাতেই সবাই কথা কয়। সেমিনারে গেলে কিংবা ঘরো পরিবেশে কোনো আনুষ্ঠানিকতার লক্ষণ দেখা গেলে বলছে, করছে, খেয়েছি বলে বটে কিন্তু আজকাল খেয়ে এসেছি, গিয়ে খাবোর দিন এই এলিট রক্ষণশীলদের মধ্যেও কইমা গেছে। আর আমরা যারা কম শিক্ষিত অর্থাৎ কম রক্ষণশীল তাদের মুখ থেকে মান ভাষা ছুইটা গেছে।
আমি ভাবতেও পারি না, আমার বন্ধু ফোন কইরা বলতেছে, মাহবুব তোমার কি আজ বিকালে অবসর আছে। আচ্ছা ঠিক আছে। তুমি কারওয়ান বাজারেই থেকো, আমি আসছি। কথা ঠিক রেখো কিন্তু। কেউ খেয়ে এসেছিস, ঘুরে এলি বললে আমি হাসতে হাসতে মইরা যাবো।
ঢাকা শহরের শিক্ষিত লোকে রিকশাঅলার সঙ্গে কথা বলতে গিয়া বলে, কি যাবা নাকি? ওই রিকশা যাইবা?
খেয়াল করলে দেখা যায়, ঢাকা শহরে শ্রেণী, বর্গ, বিদ্যা নির্বিশেষে লোকেরা পরস্পরের সাথে ভাববিনিময়ের জন্য এক ধরনের নতুন ভাষা ব্যবহার করতেছে। এটা মান বাংলা না। চলতি ভাষা, ঢাকা শহরের চলতি ভাষা। সোজা কথায় ঢাকা শহরের কাজের ভাষা। এই ভাষা ব্যবহার করে এ শহরের অধিবাসীরা পরস্পরের সঙ্গে ভাববিনিময় করে।
কাজের সম্পর্ক গইড়া তোলে। কিন্তু এই ভাষাকে অরিজিনাল ঢাকাইয়া, কু্ট্টি ভাষা বলার উপায় নাই। বাংলাদেশের অন্যান্য অঞ্চলের মানুষের ভাষাভঙ্গি ও শব্দের সঙ্গে এ ভাষায় ঢাকাইয়া শব্দও মেলা ঢুকছে। কিন্তু, সেটাকে ঢাকাইয়া ভাষা বললে ভাষারূপটা ঠিক বোঝানো যায় না।
ভাষার মধ্যে বহু আঞ্চলিক ভাষার শব্দ ঢুকছে।
ইংরেজি, হিন্দি, আরবি, ফারসি ঢুকছে নতুন কইরা। নানা টেকনিক্যাল শব্দ ঢুকছে। এনজিওর পরিভাষা ইত্যাদি ঢুইকা একটা নতুন চলতি ভাষা তৈরি করছে। এই ভাষারে কেউ অ্যাড্রেস করেন নাই তা না। অনেকেই অ্যাড্রেস করছেন।
অনেকেই এই ভাষারে সাহিত্যে নিছেন। কবিতা, নাটক, গল্প লিখছেন। কিন্তু তাত্ত্বিকভাবে এই ভাষা নিয়া তেমন কোনো কাজ হয় নাই। আর যা কাজ হইছে তাতে চলমান ভাষাটারে বুঝতে পারা, বুঝাতে পারা চেষ্টার চেয়ে ফেতনা তৈরির অবসরই বেশি তৈরি হইছে।
কয় বছর আগে এবাদুর রহমান একটা সংকলন করছিলেন পূর্ববাংলার ভাষা নাম দিয়া।
পূর্ববাংলা কই? উত্তর ইতিহাসে। ইতিহাসের অস্তিত্বহীন এক দেশের ভাষা হিসাবে নতুন চলতি ভাষার নামকরণে যে জটিলতা দেখা দিবার কথা সেটা দেখা দিছিল। আমি পূর্ববাংলার সংকলনকে টার্গেট কইরা একটা জ্বালাময়ী লেখা লিখছিলাম। সেইখানে এই সংকলনের সারবস্তুর বিরুধিতা করছিলাম। আলোচনা আগাইলে সে লেখাটা এইখানে পোস্ট করার বাসনা রাখি।
ভাষা বিষয়ে একটা ফেৎনা জন্ম দিছিল এবাদুর সম্পাদিত বইটা। এর নাম দেওয়া যায় পূর্ববাংলা ফেৎনা। এই বইটার জন্য রক্ষণশীলরা করছি, খাইছি, দেখছি দেখলেই কয়, ও বুঝছি এনারা পূর্ববাংলার ভাষাওয়ালা। বুঝলা না? ওই যে। ভাষা একটা তৈরি হইছে, বুদ্ধিজীবীদের কাজ সেইভাষার একটা নাম দেওয়া।
কিন্তু আগপিছ না ভাইবা সেইটার নাম পূর্ববাংলার ভাষা দেওয়ার গুরুত্ব কী? শানে নুযুলও বা কী? এ বিষয়ে এবাদুর নিরব।
নতুন ভাষা তৈরি হইতেছে এই আলামত টের পাইয়া, কেউ কেউ নতুন আরেকটা ভাষা প্রস্তাব হাজির করছেন। সহজ ভাষায় এই প্রস্তাবকে বলা যায়, আরবি ফারসি বাহুল্য ফেতনা। বাঙালি মুসলমানের মধ্যে কয়জন সুবেহ সাদেক, আওয়াম, ইনকিলাব, ইত্তেফাক মানে জানে? ভাষা তো ধর্মের দোহাই দিয়া তৈরি হয় না। ধর্ম গ্রন্থের উৎস থেকেও ডায়রেক্ট শব্দ ধার করে না।
তাইলে বাংলা লেখায় ক্রিয়া, অব্যয়, বিশেষণ ঠিক রাইখা কিছু সুবেহ সাদেক, কিছু জারি, খারিজ, দাখিল হাজির করার উদ্দেশ্য কী? আমি খেয়াল কইরা দেখলাম, ঢাকার সংবাদপত্র বা মান বাংলার চেয়ে কলকাতার সংবাদপত্রের ভাষা ও মান বাংলায় আরবি ফারসি শব্দের প্রয়োগ বেশি। এর কারণ কী? কারণ, হিন্দির সরাসরি প্রভাব এবং আরবি ফারসির সঙ্গে হিন্দির সম্পর্ক। আমরাও হিন্দি মিডিয়ার প্রভাব বলয়ে আছি। কিন্তু শব্দ ব্যবহারে হিন্দি আমাদের এখানে খুব কম প্রভাব বিস্তার করছে। ভাষা নিয়া কাজ করেন ভাষাবিদ, কথা সত্য।
কিন্তু ভাষা ভাষাতাত্ত্বিক তৈরি করতে পারে না। বাঘা সাহিত্যিকও ভাষা তৈরি করতে পারে না। কাজের সম্পর্কের ভিত্তিতে ভাষা তৈরি হয়। ফলে, সেইখানে কয়টা আরবি-ফারসি, ইংরেজি শব্দ থাকবে সেইটা জবরদস্তি কইরা ঠিক করা যায় না। আরবি ফারসি বাহুল্য ফেতনায় সবচেয়ে বেশি আগুয়ান হইছিলেন ইদানিংকালে মহাত্মা সলিমুল্লাহ খান।
অবশ্য বর্তমানে তিনি সাধু গদ্যে লিখতেছেন, পড়ি। খান সাহেবের সাধু গদ্যের আমি ভক্ত। স্টাইল হিসাবে সেইটা বেশ সুন্দর, উপাদেয়। কিন্তু চলতি ভাষায় চলতি ক্রিয়া পদ ইউজ কইরা তাকে লিখতে দেখছি বইলা মনে পড়ে না। ফরহাদ মজহার একটি গদ্যেই বোধ হয়, ক্রিয়া পদের পরিবর্তন মাইনা বাক্য লিখছিলেন।
তার গদ্য সুন্দর। তৎসম ও তদ্ভব শব্দের বাহুল্য নাই সেইখানে। কিছু আরবি ফারসি শব্দের সুন্দর ব্যবহার মাঝে মাঝে দেখার মতো।
ভাষা বিষয়ে তৃতীয় ফেৎনার জন্ম দিছে মোবাইল কোম্পানি গ্রামীন ফোন। ঢাকার শহুরে উচ্চবিত্ত পরিবারের ইংরেজি মিডিয়ামে পড়া তরুণ ছেলে মেয়েরা এক ধরনের কথ্য বাংলায় কথা বলে।
ইংরেজি উচ্চারণে ছাপটাই তাদের ভাষায় প্রবল। ভাষা বাংলা, উচ্চারণ ইংরেজি। করছিকে এরা বলে করসি। জীবনযাপনের পদ্ধতির কারণে অপরাধ জগতের নানা শব্দ ও স্ল্যাং এনাদের ভাষায় ঢুকছে। সেইগুলা মিলায়া এনারা কথা বলেন।
স্বাভাবিকভাবেই বেশ কিছু ইংরেজি শব্দও ঢুকছে। আবার ঢাকা শহরের চলতি কথ্য ভাষা থেকে শব্দের ভাবভঙ্গিও ঢুকছে। এবাদুর রহমানের সাহিত্যে এই ভাষায় কথোপকথনের আলামত পাওয়া যায়। এই ভাষাটারে ডিজুস প্যাকেজে প্রোমোট করা হইছে। ফলে, নতুন এই ভাষার নাম কেউ কেউ দিছেন ডিজুস ভাষা।
এই ভাষাটাই কিছুটা ন্যাকামো সহকারে এখন এফএম রেডিওগুলাতে ইউজ হইতেছে। এতে কইরা আরও একটা ফেৎনার জন্ম হইছে। ভাষা বিষয়ে রক্ষণশীলতা আমার নাই। কিন্তু কর্পোরেটের ব্যাপারে কিছু রক্ষণশীলতা আছে বইলা এই ভাষাকে একটু বেকা চোখে দেখলাম।
বাংলাদেশে ভাষা চিন্তার ক্ষেত্রে আদি ফেৎনার জন্ম হইছিল পাকিস্তান আমলে।
কিছু লোকের ধারণা হইছিল বাংলা ভাষাটা হিন্দুয়ানি। ফলে, একে মুসলিম রাষ্ট্রে প্রাদেশিক ভাষা হিসাবে জায়েজ করতে হইলে এর মুসলমানি করাইতে হবে। ফলে খুব সচেতন প্রক্রিয়ার তারা ভাষার খৎনার কাজ শুরু কইরা দিলেন। এবং অতি উৎসাহী মহল এই পর্যন্ত বইলা ফেললো যে, এখন তবে বাংলা হরফে না আরবী বা ফারসি হরফে বাংলা লেখা হউক। যখন দেখা গেল সেইটা সম্ভব না, তখন কেউ কেউ কইলেন বাংলা হরফ তো তাড়াইতেই হবে।
আরবী ফারসি যদি না পারা যায় তাহলে অন্তত রোমান হরফে বাংলা লেখা হউক। পৃথিবীর বহু জাতি তাদের ভাষা লিখার কাজে রোমান হরফ ব্যবহার করে। রোমান হরফে লেখার ব্যাপারে তারা রীতিমতো সাচ্ছন্দ্য অর্জন করছে। কিন্তু, বাংলা এমনই এক বিপ্লবী ভাষা যে, কোনো সংস্কারই তার ভাগ্যে জুটলো না।
যে লাউ সেই কদুই থেকে গেল।
আরবী ফারসি যতটুকু আছে ততোটুকুই থাকলো। ইংরেজিও পরিমাণ মতো থাকলো। এই ফেৎনারই উল্টো দিকে বসে আছেন আরেকদল। তেনারা বাংলা থেকে আরবী ফারসি জাত তুলে খেদাইতে চান। বিকল্প কী? যে শব্দগুলা বাঙালি আরবী-ফারসি থেকে নিছে সেইগুলা স্বেচ্ছায় নিছে।
কাজে কামে লাগছে বইলাই নিছে। কিন্তু এই প্রগতিবাদীরা সেইগুলাকে ঝেঁটিয়ে বিদায় করতে চান। বিকল্প হিসেবে সংস্কৃত থেকে আসা তৎসম ও তদ্ভব শব্দ দিয়া ভাণ্ডার ভারাইতে চান। এই জ্ঞানীরা এইটা বুঝে না, যা মানুষের মুখে নাই তা মানুষের মুখে তুইলা দিলেও জিভে রুচবে না। তৎক্ষণাত ফেইলা দিবে।
আর যদি খায়ও না পাইরা তাইলে বদহজম হবে। আরবী-ফারসি বাহুল্য বা আরবী-ফারসি বর্জন দুই ধারাতেই কিছু সাহিত্য রচিত হইছে। পানি পায় নাই। মাটিও পায় নাই। আরবী-ফারসি শব্দ বাংলায় কেমন সেইটা ভাবতে গিয়া শামসুজ্জামান খানের একটা উদাহরণ মনে হইলো।
উনি সেদিন টিভিতে বলতেছিলেন যে, সন হইলো আরবী আর সাল হইলো ফারসি। এখন আরবী ফারসি বাদ দিলে বাঙালির সন তারিখই হাওয়া হয়ে যাওয়ার জোগাড় হয়ে যাবে।
পঞ্চম ফেৎনার জন্ম দিছেন ভাষা নিয়া বেচইন চিন্তার অধিকারী লেখকরা। দুনিয়ায় ভাষা হাজারো। সেই ভাষায় কেউ সাহিত্য করলে কারো আপত্তি থাকার কথা না।
কিন্তু হরহামেশা শুনি আমাদের শিক্ষিত লোকেরা চান না, নোয়াখালির ভাষায় সাহিত্য না হোক, চিটাগংয়ের ভাষায় সাহিত্য না হোক। প্রশ্নটা তারা একটু ঘুরায়া করেন। তাইলে কী মান ভাষা বইলা কিছু থাকবে না। সবাই যার যার ভাষায় লিখবে? নোয়াখালির সাহিত্য, সিলেটের সাহিত্য এইসব তৈরি হইবে? আমি কই, তাতে সমস্যা কী? কীসের ভয়? সিলেটের ভাষায় লেখা সাহিত্য যদি মান বাংলার সাহিত্যের জন্য হুমকি হয়া দাঁড়াইতে পারে তবে মানভাষার আত্মহত্য করা উচিত। এখনি।
আমাদের লেখকরা লেখেন এইভাবে, মফিজ মিয়ার মনে সহসা এক বিষণ্নতা জন্মে। বাসের ছাদে তীব্র শীতল হাওয়া বসে ভাবতে থাকে ঢাকায় গিয়ে খেয়ে পরে বেঁচে থাকার মতো একটা কাজ জুটবে তো? পাশের তোবারককে মফিজ শুধায়, এ তোবারক ঢাকাত কামের বাজার কেমন হে। কাম পামো তো?
পৃথিবীর কোনো মানুষ কি এক ভাষায় ভাবে আর আরেক ভাষায় কথা কয়? কিন্তু লেখকরা লেখে এমনে। ভাবে আসলে লেখক আর কথা কয় চরিত্র। লেখকের জানা শোনার মধ্যে আঞ্চলিক ভাষায় কথা কয়।
লেখক কখনো বিষয়ের ভাষায় লেখতে পারে না।
রবীন্দ্রনাথের গল্পে দেখি ফটিক ভাবে মান ভাষায় কথাও কয় মান ভাষায়। রবীন্দ্রনাথের পর বাংলা ভাষায় বহু সাহিত্যিক প্রমিত বাংলায় সাহিত্য করছেন আর গরীব মানুষের মুখে কোনো একটা আঞ্চলিক ভাষা তুইলা দিয়া নিজেদের বিশ্বাযোগ্যতাকে সপ্রমাণ করছেন। এমন অনেক লেখকের দেখাও মিলবে যার সাহিত্যে উর্ধ্বকমার পাঁচিল ডিঙায়ে ছোট লোকের ভাষা বের হইতে পারে না। ছোট লোকের ভাষা ছোটলোকের মুখে রাইখা আমাদের সাহিত্যিকরা ছোটলোকের সাহিত্য করেন।
এইটারে আমি কই পঞ্চম ফেৎনা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।