"বাংলাদেশকে বিদ্যুত্ দিতে রাজি নয় দিল্লি : নদী হত্যা করে যন্ত্রপাতি নেয়ার সুযোগ করে দেয়ার প্রতিদান শূন্য"
কথা ছিল ভারতের ত্রিপুরার পালাটানায় উত্পাদিত বিদ্যুতের কিছু অংশ বাংলাদেশকে দেয়া হবে। ভারতের এ আশ্বাসেই ক্ষমতাসীন সরকার ঐতিহাসিক তিতাস নদীর মাঝে বাঁধ নির্মাণ ও আশগঞ্জে একতরফা ট্রান্সশিপমেন্ট চালুর মধ্য দিয়ে ভারতকে ওই বিদ্যুেকন্দ্র নির্মাণের জন্য ভারী যন্ত্রপাতি নেয়ার সুযোগ করে দেয়। সরকার সবকিছু উজাড় করে দিলেও শেষ পর্যন্ত ভারত বাংলাদেশকে ওই কেন্দ্রে উত্পাদিত বিদ্যুতের ছিটেফোঁটাও দিতে রাজি নয়। এমন তথ্যই প্রকাশ করেছেন ভারতের ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার।
বাংলাদেশসহ ভারতের কয়েকটি মিডিয়াকে দেয়া বক্তব্যে মানিক সরকার বলেছেন, ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার সাড়া না দেয়ায় ত্রিপুরা থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুত্ সরবরাহের পরিকল্পনা আটকে গেছে।
দিল্লিতে কেন্দ্রীয় সরকার এটা কেন করছে তা আমাদের জানা নেই। আমি বিষয়টি এগিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেছি। কিন্তু তাতে কোনো ফল আসেনি।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ভারতের ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলার দক্ষিণে পালাটানায় ৭০০ মেগাওয়াট বিদ্যুেকন্দ্র স্থাপনের লক্ষ্যে ভারতের পশ্চিমাঞ্চল থেকে ভারি যন্ত্রপাতি বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে পরিবহন করা হয়। বর্তমান সরকার অন্ধ ভারতপ্রেম থেকে ওইসব যন্ত্রপাতি পরিবহনের জন্য বাংলাদেশের ঐতিহাসিক তিতাস নদীর বুকে বাঁধ দিয়ে রাস্তা করে দেয়।
একই সঙ্গে নদীপথে আশুগঞ্জ পর্যন্ত বিশাল আকৃতির ওইসব যন্ত্রপাতি পরিবহনে ভারতের জন্য একতরফা ট্রান্সশিপমেন্ট চালু করে দেয়। একই সঙ্গে ভারতকে অবৈধভাবে চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহারেরও সুযোগ দেয়া হয়। ভারতের ওইসব যন্ত্রপাতি পরিবহনের সময় আশুগঞ্জ থেকে ভারতের ত্রিপুরা পর্যন্ত বাংলাদেশের সব সড়ক বিধ্বস্ত হয়ে পড়ে।
মিডিয়াকে দেয়া বক্তব্যে মানিক সরকার আরও বলেন, ওই প্রকল্পে আমাদের শেয়ার থেকে একশ’ মেগাওয়াট আমরা বাংলাদেশকে দিতে চাই। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার আমাদের প্রস্তাবে সাড়া দেয়নি।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনার ত্রিপুরা সফরের পরপরই বাংলাদেশে বিদ্যুত্ রফতানির এ প্রস্তাব জমা দেয় ত্রিপুরা সরকার। কিন্তু এক বছরেরও বেশি সময় দিল্লিতে তা আটকে আছে। তারা এটা কেন করছে তা আমাদের জানা নেই। আমি বিষয়টি এগিয়ে নেয়ার চেষ্টা রেখেছি। কিন্তু কোনো ফল আসেনি।
খবরের লিনক
Click This Link ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।