ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে জাতীয় চার নেতা হত্যার ঘটনায় করা মামলায় বিচারিক আদালতে দেওয়া দুই আসামির মৃত্যুদণ্ড আপিল বিভাগ বহাল রাখায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন দুই নেতার ছেলে ও মেয়ে।
তাঁরা হলেন ক্যাপ্টেন মনসুর আলীর ছেলে আওয়ামী লীগের নেতা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মো. নাসিম এবং তাজউদদীন আহমদের মেয়ে সাংসদ সিমিন হোসেন রিমি।
চার নেতা হত্যা মামলায় বিচারিক আদালতে দেওয়া দুই আসামির মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রাখেন আপিল বিভাগ। এই দুজনকে খালাস দিয়ে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বাতিল ঘোষণা করেন আদালত।
রাষ্ট্রপক্ষের করা আপিল মঞ্জুর করে আজ মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেনের নেতৃত্বাধীন ছয় বিচারপতির বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
পর্যবেক্ষণে আদালত বলেন, ওই হত্যাকাণ্ডে ষড়যন্ত্র প্রমাণিত হয়েছে।
এ নিয়ে এ মামলায় তিনজন মৃত্যুদণ্ডাদেশ পেলেন। তাঁরা হলেন দফাদার মারফত আলী শাহ, দফাদার মো. আবুল হাশেম মৃধা ও রিসালদার মোসলেহ উদ্দিন।
কিছুটা হলেও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে: নাসিম
মনসুর আলীর ছেলে মো. নাসিম রায়ের প্রতিক্রিয়ায় বলেন, আপিল বিভাগের রায়ে কিছুটা হলেও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বিগত জোট সরকারের আমলে আপিল না করায় আসামিরা খালাস পেয়ে যান।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর একই বছরের ৩ নভেম্বর রাতে তাঁর রাজনৈতিক উত্তরসূরি মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী জাতীয় চার নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদদীন আহমদ, ক্যাপ্টেন মনসুর আলী ও কামরুজ্জামানকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। ওই বছরের ৪ নভেম্বর তত্কালীন উপকারা মহাপরিদর্শক (ডিআইজি প্রিজন) আবদুল আউয়াল লালবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
পলাতক দুই আসামি দফাদার মারফত আলী শাহ ও দফাদার মো. আবুল হাশেম মৃধাকে খালাস দিয়ে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করেছিল। চলতি বছরের ১৫ জানুয়ারি থেকে আপিলের ওপর শুনানি গ্রহণ শুরু হয়। ১৭ এপ্রিল দশম দিনের মতো শুনানি গ্রহণের মধ্য দিয়ে প্রক্রিয়াটি শেষ হয়।
রায়ে ষড়যন্ত্রের কথা এসেছে: রিমি
রায়ের প্রতিক্রিয়ায় জাতীয় চার নেতার অন্যতম তাজউদদীন আহমদের মেয়ে সাংসদ সিমিন হোসেন রিমি বলেন, ‘২০০৪ সালে বিচারিক আদালত রায় দেন। আমরা আগে থেকে বলে আসছি, ওই হত্যাকাণ্ডে ষড়যন্ত্র হয়েছে। তখন রায়ে ষড়যন্ত্রের বিষয়টি আসেনি। ’
আজ আদালত পর্যবেক্ষণে বলেন, ওই হত্যাকাণ্ডে ষড়যন্ত্র প্রমাণিত হয়েছে।
সিমিন হোসেন রিমি বলেন, ‘যখন রাষ্ট্র নিয়ে ষড়যন্ত্র হয়, ব্যক্তি যখন প্রতিষ্ঠান, তখন রাষ্ট্র সুবিচার পেল কি না, সেটাই দেখার বিষয়।
আমরা আশা করি, রাষ্ট্র নিয়ে ষড়যন্ত্র ও এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি আর হবে না। ’।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।