বৃহস্পতিবার ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে বৈঠকের পর ১৪ দলের সমন্বয়ক মোহাম্মদ নাসিম মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিগুলোকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
নাসিম বলেন, “বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে নিরপেক্ষতার কোনো জায়গা নেই। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে থাকবেন না বিপক্ষে থাকবেন সে অবস্থান নিতে হবে। ”
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক সংঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে করণীয় নিয়ে আলোচনা হয় ওই বৈঠকে।
চলমান রাজনৈতিক বাস্তবতায় আওয়ামী লীগের কোনো বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেন নাসিম।
সাবেক এই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “ত্রুটি-বিচ্যুতির মধ্যেও আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনতে হবে। ”
আওয়ামী লীগসহ মহাজোটের শরিক দলগুলোর তৃনমূল নেতাকর্মীদের প্রতি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নেয়ার আহ্বান জানান তিনি ।
নাসিম বলেন, “আপনারা ১৪ দল মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে কাজ করবেন। বিএনপি-জামায়াত কোনো সমস্যা করতে আসলে মাঠেই তাদের প্রতিহত করতে হবে।
“আর সাংস্কৃতিক সংগঠনের বন্ধুরা নাটক, গান ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করবেন যেন তারা পুনরায় আওয়ামী লীগকে নির্বাচিত করে।
”
আগামীতে বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় এলে দেশ জঙ্গিরাষ্ট্রে পরিণত হবে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলির সদস্য মোহাম্মদ নাসিম।
সংবিধান অনুযায়ী আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠানের পক্ষে দৃঢ় অবস্থান তুলে ধরে নাসিম বলেন, “দুই নেত্রীর মধ্যে তো টেলিফোনে একবার সংলাপ হয়েছেই, আবার কী সংলাপ হবে। ”
“সারা দেশের মানুষ দেখেছে কার ব্যবহার কেমন? প্রধানমন্ত্রী বলছেন আসুন সংলাপে বসি, আর বিরোধী দলীয় নেত্রী বলছেন কোনো সংলাপ হবে না। উনি কোনো কিছুই মানেন না। ”
এরপরেও সমঝোতার পথ খোলা আছে জানিয়ে ক্ষমতাসীন দলের এই নেতা বলেন, “এরপরেও আমরা চাই-সংলাপ হোক।
শান্তি আসুক। ”
বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিপু মনি বলেন, “এদেশ ভবিষ্যতে থাকবে কি থাকবে না, দেশকে আমরা দুঃশাসন, জঙ্গিবাদ আর সন্ত্রাসের হাতে সোপর্দ করতে চাই কি না এটিই প্রমাণিত হবে আগামী নির্বাচনে। আর এজন্য জয়ের কোনো বিকল্প নেই। ”
বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, “আগামী নির্বাচন শুধূ ক্ষমতা হস্তান্তরের নির্বাচন নয়, বরং এদেশ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে না বিপক্ষে তাও নির্ধারিত হবে। ”
অতীত ‘ভুলে’ সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী এবি তাজুল ইসলাম।
বৈঠকে অন্যদের মধ্যে পরিকল্পনামন্ত্রী একে খন্দকার, গনতন্ত্রী পার্টির সভাপতিমণ্ডলির সদস্য মাহমুদুর রহমান বাবু, জাতীয়তাবাদী সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সাধারণ সম্পাদক শরীফ নুরুল আম্বিয়া, মুক্তিযোদ্ধা সংগ্রাম পরিষদের আহবায়ক আবুল হোসেন, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু, সাধারণ সম্পাদক হাসান আরিফ, সেক্টর কমান্ডার কে এম সফিউল্লাহ ও রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।