আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এ-তিমের ফাপা বেলুন বনাম ঝামেলামুক্ত ব্লগার



কয়কজন ব্লগার আছে তাদের কাজই হল ডাহা মিথ্যা বলা আর উসকাইয়া দেওয়া। শান্ত ব্লগ চলছে, হঠাৎ একটা পোস্ট আসবে- জামায়াত দেশটা খাইয়া ফালাইলো। আর সাথে সাথেই এ-তিমের দল ফাজলামি টিটকারী মিথ্যাচার শুরু করে দেবে। আবার কিছুক্ষণ পর দেশের বা দেশের বাহিরের কোন এক ঘটনা নিয়া এদের একজন পোস্ট দেবে- ইসলামের রাজনীতিই দেশের সব সমস্যার মূল। শুরু হবে আবার তামাশা।

পাঁচ মিনিট পরেই কোথাকার কোন ঘটনার সাথে মিলাইয়া পোস্ট দেওয়া হবে- দেখ শিবিরের কান্ড দেখ। অথচ শিবিরের সাথে এর কোন সম্পর্ক নাই। আবার কিছুক্ষণ পর, কথা নাই বার্তা নাই হঠাৎ একজন বইলা উঠবে- আচ্ছা কোরআনে এই কথাটা নাই কেন? অথবা কোরআনে এই কথাটা সম্পর্কে কে কি বলবেন আসেন সবাই। শুরু হয়ে যাবে তামাশা। দাড়ি-টুপি- আল্লাহু আকবার, যাজাকাল্লাহ - এসব ইসলামী পরিভাষা নিয়া একচোট হাসি তামাশা টিটকারী।

মূলত এই গুলাই ব্লগের পরিবেশ নষ্ট করে। যারা এগুলা পছন্দ করেনা তাদের একদল সময়ের অভাবে, আরেক দল ঝামেলা এড়াতে, আরেকদল ভয়ে এসব বিষয় এড়াইয়া যাওয়াকে বেছে নেয়। মাঝখান থেকে সাধারণ ব্লগাররা বিভ্রান্ত হয়- জামায়াত মনে হয় সত্যিই এই কাজটা করলো। এত খানি না করলেও কিছু তো করছে। কেউ যখন প্রতিবাদ করছেনা তাইলে ঘটনা মনে হয় সত্যই।

ইসলামের এই বিষয়টা আসলেই একটু কেমন যেন। এইসব ইসলাম বিদ্বেষীরা এইখানেই সফল। আর মুসলমানদের বহুবছর ধইরা একটা দোষ ভিতরে ঢুকছে- ঝামেলা এড়াইয়া চলতে চায়। সেই যুগের মুসলমানরা ছিল- কোন ঝামেলা দেখলেই আগাইয়া আসতো। যেইনা মুসলমানরা ঝামেলা এড়াইয়া আরামের জিন্দেগী বাইছা নিল, অমনি আরাম তাদের ছাইড়া পালাইলো, শুরু হইলো পিঠের উপর মাইর।

যেই মাইর এখোনো চলছে। কিন্তু কেন যে মারে এইডা এখন পর্যন্ত খুব কম মুসলামানই বুইঝা উঠতে পারলো। খালি ভাবে- আল্লায় যে কেন সাহায্য করেনা। সৌদির ঝামেলামুক্ত মুসলমান আর শাসকের জন্য পাশের দেশে মাইর খায়- তারা চুপচাপ থাকে। মাঝে মাঝে দোয়া করে, মাঝে মাঝে শান্তি আলোচানার উদ্যোগ নেয়।

সব দেশগুলা যদি সাহস কইরা আগাইয়া আসতো- আমেরিকার পিঠে থাপ্পর দিয়া জিজ্ঞাস করতোঃ কি হইছে এখানে? এখানে তোমারে বোমা মারতে ডাকছে কেডায়, নিজের চরকায় তেল দেও যাইয়া - তাইলে কিন্তু আমরিকা বহুত আগেই ঘরের দরজা বন্ধ কইরা তসবিহ পড়তো। কিন্তু কালো পট্টির শেখেরা ঝামেলামুক্ত জীবন আর তেলবেচা বিলাসিতায় নাকে তেল দিয়া ঘুমায়। ওদিকে নারী-শিশু চিৎকার কইরা মরে। তখন বিবিসি-সিএনএন কয়দিন পর পর পোস্ট দেয়- মুসলমান আর ইসলামই পৃথিবীর যত সমস্যা। সব সন্ত্রাসের মূল মুসলমান।

অবশ্য দুইটা বিশ্বযুদ্ধের কথা এড়াইয়া যায়। ওদিক দিয়া কয়েকজন জুব্বা পড়া শেখ মিনমিন কইরা আওয়াজ তোলে- হুজুর আমরা কিন্তু কিছু করিনাই। আমাদের ব্লগেও এইরকম কিছু ঝামেলামুক্ত ব্লগার আছে। এ-তিমগুলা একের পর এক মিথ্যা, বানোয়াট আর উস্কানি দিয়া পোস্ট দেয়। আর তারা দীর্ঘশ্বাস ছাইড়া বিরবির করে- কি যে অবস্থা, আর থাকতে পারলামনা।

কেউ কিছু কয়না কেন? অথচ কয়েকজন মিল্লা যদি পাল্টা শক্ত পোস্ট দেয় আর ওদের চেহারা চিনাইয়া দেয় তাইলেই কিন্তু ওরা চুপ মাইরা যাইতে বাধ্য। মিথ্যার বেলুন সবসময়ই পাতলা থাকে। কিন্তু সাহস কইরা কেউ ফুটা করতে আসেনা। আমার পোস্ট গুলা দেখেন। এক এতিম আইসা কইলো- "কুরআন কি কারো নানা বাড়ির গাছের আম?" শিরোনামটা দেখেন- খোচা মারা কথা বার্তা।

ঢুইকা দেখি পুরা তামশা আর টিটকারী চলছে। আমি পাল্টা পোস্ট দিলাম। সকাল বেলা আইসা দেখি আরেক চতুর আইয়া কইলো জামায়াত জঙ্গিবাদের সমর্থন দিছে। সেখানেও দেখি মন্তব্যে ব্যাঙ্গ আর মিথ্যার ছড়াছড়ি। অথচ জামায়াতই কিন্তু একমাত্র দল যারা সোচ্চার কণ্ঠে বৃটেন মন্ত্রীর ফাউল কথার প্রতিবাদ করলো।

সেই জিনিসটা এদের চোখে ধরা পড়লো না। ঘটনা তু্ইলা ধইরা পোস্ট দিলাম। আরেক মিথ্যুক আইসা কইলো বাইতুল মোকররমে শিবির নাকি সব শেষ কইরা দিল। অথচ শিবিরের কোন কর্মসূচিই ছিলনা ওই দিন। আমি পাল্টা পোস্ট দিলাম।

এই এতিমের দল যাকে তাকে অশ্লীল গাইল দেয়াকে নিজেদের জন্মগত অধিকার মনে করে। আমি এদেরকে কান ধইরা বাইর কইরা দেয়ার কাজ শুরু করলাম। আর মিথ্যা পোস্টগুলার জবাব দেয়া শুরু করলাম। আগেই বলছি মিথ্যার ভিত্তি বড় দুর্বল। একটু খোচা দিলেই আসল সত্য বাইর হইয়া যায়।

দেখি, কয়দিন পারি। আমার দেখাদেখি আরো কেউ যদি আগাইয়া আসে - তাইলেই ওগুলা নিজেগো তৈরী খোয়ারে পালাইবে। ব্লগাররা একটু শান্তিতে সুখ-দুখের কথা বলতে পারবে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।