এটা রাজনীতির দর্শন ও কর্মসূচির তৃতীয় কিস্তি।
৫.
দুটো বিষয়ের কথা আমরা এই লেখায় বারবার উল্লেখ করেছি- দর্শন ও কর্মসূচি। এ দুটো বিষয়ের সমন্বয়ই একটি দলকে জনগণের কাছে নিয়ে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে প্রশ্ন উঠতে পারে বামপন্থী দলগুলোর তেমন কোনো গ্রহণযোগ্যতা বাংলাদেশে তৈরি হলো না কেন? এই দলগুলো আর কিছু না হোক দর্শনের চর্চা খুব কঠোরভাবেই করে থাকে। এমন কোনো বামপন্থী দল নেই যাদের দর্শন ও কর্মসূচি বিষয়ক দলিল নেই।
এ দুটোর আনুষ্ঠানিক চর্চা তারা এত নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করে যে, গন্তব্যের কথা তারা ভুলেই যায়, আদৌ তাদের কোনো গন্তব্য আছে কী না তা-ও বোঝা যায় না। তবু কেন বাংলাদেশে তাদের গ্রহণযোগ্যতা তৈরি হলো না? এ দেশে বিপ্লবের সমস্ত কারণ-উপাদান-লক্ষণ-সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও, এবং এসব দলের নেতাকর্মীদের প্রশ্নহীন আন্তরিকতা থাকলেও কেন বিপ্লবী কোনো পরিস্থিতি তৈরি করা সম্ভব হলো না? এই ব্যর্থতা প্রধানত তাদের কর্মসূচির ব্যর্থতা। বাংলাদেশের মানুষ গত ৬০ বছরেও বুঝে উঠতে পারেনি- এই দলগুলো আসলে কী চায়! এমনকি সহজ ভাষায় নিজেদের নীতি-আদর্শ-দর্শন বা কর্মসূচি জনগণকে বুঝিয়ে বলতেও এঁরা চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে। এঁরা কতোগুলো মুখস্থ শব্দে বক্তৃতা দেন- বুর্জোয়া, সাম্রাজ্যবাদী ও ঔপনিবেশিক চক্রান্ত, সামন্ততন্ত্র, পুঁজিবাদের থাবা- ইত্যাদি তাদের খুবই প্রিয় শব্দ। নেতারা তো বটেই, এইসব দলের নিচুস্তরের কর্মীরাও এইসব শব্দ অহরহ ব্যবহার করে থাকেন।
একটু কান পাতলেই এসব ভারি ভারি শব্দের অত্যাচারে কান ভারি হয়ে ওঠে। যাদের উদ্দেশ্যে এই কথাগুলো বলা হয় সেই কৃষক-শ্রমিক-খেটে খাওয়া মানুষ এসব শব্দের মানেই বুঝতে পারে না- সাড়া দেবে কিভাবে? বাংলাদেশের বাম দলগুলো ক্ষমতায় গেলে কীভাবে রাষ্ট্র পরিচালনা করবে সে সম্বন্ধে কিছু বলা তো দূরের কথা, আজ পর্যন্ত ক্ষমতায় যাওয়ার ডাক-ই দেয়নি। এঁরা নানারকম কর্মসূচি দিয়ে থাকে, সেগুলো অবশ্যই জনগণের পক্ষে। যেমন, গত কয়েকবছরে তেল-গ্যাস-কয়লা-বিদু্যৎ-বন্দর রক্ষার জন্য যেসব আন্দোলন-সংগ্রাম হয়েছে তার সবগুলোই সংগঠিত হয়েছে বাম দলগুলোর নেতৃত্বে। বড় দলগুলো যখন এই সমস্তকিছু বিদেশীদের হাতে তুলে দেওয়াটাকে নিজেদের পবিত্র কর্তব্য বলে মনে করছিলো, তখন বামদলগুলোই কেবল দেশ ও জাতির সম্পদ রক্ষার সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলো।
জনগণ এসব আন্দোলনে বিপুলভাবে সাড়াও দিয়েছে। কিন্তু এ-ও সত্য- জনগণ ভাবে, এই দলগুলো বোধহয় তাদের কর্মকাণ্ড এই পর্যন্তই সীমাবদ্ধ রাখবে, ক্ষমতায় তারা যেতেই চায় না। অন্যদিকে ছোটখাটো কারণে দল ভেঙে যাওয়াও প্রায় নিত্যনৈমত্তিক ব্যাপার। এসব ভাঙনের পেছনে নাকি আদর্শিক কারণ থাকে, কিন্তু কী কারণে দলটি ভাঙলো সে সম্বন্ধে কোনো ব্যাখ্যা জনগণের কাছে দেবার প্রয়োজনও তারা অনুভব করে না। খুঁজলে হয়তো দেখা যাবে- অতি তুচ্ছ কারণে দলের ভাঙন ঘটেছে।
বড় কোনো লক্ষ্য থাকলে, বিপ্লব সংঘটিত করার আকাঙ্ক্ষা থাকলে, রাষ্ট্রক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন থাকলে, সর্বোপরি দেশে একটি সমাজতান্ত্রিক সমাজ নির্মাণের প্রতিজ্ঞা থাকলে এসব তুচ্ছ কারণ এড়িয়ে যাওয়া যেত! আবার একমাত্র নিজেদেরকে বামপন্থী দল হিসেবে দাবি করে অন্যান্য বামপন্থী-দাবিদার দলগুলোর বিরুদ্ধে বিষোদগারও তাদের এক প্রিয় অভ্যাস। ধারণা করি- বাম দলগুলো যেন জেনে ফেলেছে যে, তাদের পক্ষে কোনোদিনই বিপ্লব সংগঠিত করা সম্ভব নয়, এমনকি সম্ভব নয় গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় রাষ্ট্রক্ষমতায় যাওয়াও; আর তাই তারা এসব ছোটখাটো কারণ নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। আমার ধারণা, সব বামদল মিলে একটি দলে পরিণত হওয়া অসম্ভব হলেও, নূন্যতম কর্মসূচির ভিত্তিতে একত্রিত হয়ে একটি মোর্চা গঠন করে তারা যদি তাদের কর্মসূচিগুলো জনগণের সামনে হাজির করে, কিংবা ক্ষমতায় যাওয়ার ডাক দেয়, তাহলে বিরাট একটি সাড়া পাওয়া তাদের জন্য অসম্ভব নয়। তাদের সততা, ত্যাগ, প্রতিজ্ঞা, মানুষের প্রতি ভালোবাসা, নীতি, আদর্শ ইত্যাদি নিয়ে জনগণের মনে কোনো প্রশ্ন নেই। কিন্তু এই কাজটি করাই তো তাদের জন্য এক অসম্ভব ব্যাপার!
৬.
এ প্রসঙ্গে জামায়াত ও অন্যান্য ইসলামিক দলগুলোর কথাও বলা যেতে পারে।
এদেশের সুবিধাবাদী মধ্যপন্থী রাজনৈতিক দলগুলো তো বটেই এমনকি শিক্ষিত-প্রগতিশীল বুদ্ধিজীবীরা পর্যন্ত বলে থাকেন যে, আমাদের জনগণ 'ধর্মপ্রাণ' কিংবা 'ধর্মভীরু' কিন্তু 'ধর্মান্ধ' নয়। আবার ইসলামী দলগুলোর দর্শন ও কর্মসূচি দুটোই ইসলামী রাষ্ট্রব্যবস্থা কায়েমের লক্ষ্যে পরিচালিত হয়। তারা ক্ষমতায় যাওয়ার কথা বলে, ক্ষমতায় গেলে ইসলামী শরিয়া অনুযায়ী রাষ্ট্র পরিচালনা করার কথাও পরিস্কারভাবেই বলে। তাহলে ধর্মের ধ্বজাধারী এই দলগুলোর কোনো জনভিত্তি নেই কেন? 'ধর্মভিরু-ধর্মপ্রাণ' জনগণ তাদের গ্রহণ করে না কেন? কোনো দলের কাঁধে সওয়ার না হয়ে এককভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলে জামায়াতের মতো সুসংগঠিত দলও কেন চরমভাবে প্রত্যাখ্যাত হয়? কারণটিকে জটিল বলে মনে হতে পারে। কিন্তু একটু ভিন্ন দৃষ্টিতে দেখলে এর একটি সহজ উত্তরও মেলে।
আমাদের জনগণ সম্বন্ধে যা বলা হয় প্রকৃতপক্ষে তার কোনোটিরই বাস্তব ভিত্তি নেই। ধর্মান্ধ তো নয়ই, এমন কি তারা ধর্মপ্রাণ বা ধর্মভীরুও নয়। এদেশের মানুষ বড়জোর বিশ্বাস করে যে, একজন আল্লাহ/ঈশ্বর আছেন, বিপদে পড়লে তাঁকে ডাকাডাকিও করে, কিংবা বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডে- যেমন জন্ম, মৃতু্য, বিয়ে ইত্যাদি- ধর্মীয় রীতি মেনে চলে, অথবা ঈদ-শবেবরাত-পুজা ইত্যাদি পালন করে কিন্তু তাদের দৈনন্দিন জীবনাচরণে ধর্মের স্থান সামান্যই। এদেশের প্রায় ৮০ ভাগ শ্রমজীবী মানুষ ধর্মকর্মের ধারে-কাছেও যায় না, এ নিয়ে তাদের কোনো মাথাব্যথাও আছে বলে মনে হয় না। ধর্মকে ভয় পেলে বা ধর্ম-অন্ত-প্রাণ হলে তো এমনটি হবার কথা নয়! আর তাই ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি এদেশের মানুষ একেবারেই পছন্দ করে না।
মুসলিম-সংখ্যাগরিষ্ট হওয়া সত্ত্বেও তাই এদেশে ইসলামপন্থী রাজনৈতিক দলগুলোর গ্রহণযোগ্যতা প্রায় শূন্যের কোঠায়। তাছাড়া, মুক্তিযুদ্ধে জামায়াতের ন্যাক্কারজনক ভূমিকা এই দলটির গ্রহণযোগ্য হবার ব্যাপারে একটা হিমালয়সম বাধা হিসেবে কাজ করে। এখানটায় এসে বিএনপির গ্রহণযোগ্যতার প্রসঙ্গ আবার আলোচনায় আসতে পারে। বাংলাদেশের প্রায় পঁচাত্তর ভাগ মানুষ মোটাদাগে আওয়ামী-বিএনপি ভাগে বিভক্ত বলে প্রগতিশীল রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও বুদ্ধিজীবীরা বিশ্বাস করেন এবং বলে থাকেন যে, আওয়ামী লীগ হলো অসামপ্রদায়িক, প্রগতিশীল ও মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষ শক্তি আর বিএনপি এর উল্টোটা। সেক্ষেত্রে বিএনপির নেতাকর্মীসমর্থক সবাই মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষ শক্তি! এই কথা বলার মাধ্যমে যে দেশের অন্তত অর্ধেক জনগোষ্ঠীকে মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষ শক্তি হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে- এই অতি উৎসাহী বুদ্ধিজীবীরা সেটা ভুলে যান।
বস্তুতপক্ষে বিএনপির আদর্শ ও কর্মসূচিকে যারা সমর্থন করেন, তাদের অধিকাংশই মুক্তিযুদ্ধের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। বিএনপির 'ইসলামী মূল্যবোধে আস্থা' আর জামায়াত বা এই ধরনের দলগুলোর ধর্ম-রাজনীতি এক জিনিস নয়। 'ধর্মনিরপেক্ষতার' বিপরীতে দলটি এই শব্দগুলো ব্যবহার করেছে বটে কিন্তু এর প্রতিষ্ঠাতা বা অধিকাংশ নেতাকর্মী কখনো সামপ্রদায়িক দৃষ্টিভঙ্গির পরিচয় দেননি। তাছাড়া এই দলের নেতাকর্মীদের এক বিরাট অংশ সক্রিয়ভাবে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন। অতএব ঢালাওভাবে তাদেরকে মুক্তিযুদ্ধের-বিপক্ষ শক্তি বলাটা সমীচীন হবে না।
'ইসলামী মূল্যবোধের' কথা বললেও এবং মাঝে মাঝে 'আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় গেলে এদেশের মসজিদে আজানের বদলে উলুধ্বনি শোনা যাবে' এই ধরনের ন্যাক্কারজনক সামপ্রদায়িক বক্তব্য বিএনপি-নেত্রীর কণ্ঠে শোনা গেলেও জনগণের কাছে তারা নিজেদেরকে খানিকটা মধ্যপন্থী দল হিসেবে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে। সেজন্যই তাদের গ্রহণযোগ্যতা আছে, ইসলামী দলগুলোর নেই।
৭.
বিএনপির মতো জাতীয় পার্টির জন্মও হয়েছিলো সামরিক শাসকের পকেট থেকে। কিন্তু এ দুটো দলের মধ্যে পার্থক্য হলো- শুরু থেকেই বিএনপির একটি নতুন ধরনের দর্শন ও কর্মসূচি ছিলো, জাতীয় পার্টির তা ছিলো না। তাদের দর্শন মূলত বিএনপির দর্শনেরই হুবহু নকল (যাকে বলে 'ট্্রু কপি')।
জিয়ার ১৯ দফা কর্মসূচির আদলে এরশাদও ১৮ দফা কর্মসূচি দিয়েছিলেন, সেটাও ওই ১৯ দফার প্রায় নকল। জনগণ এই দর্শন-কর্মসূচির মধ্যে নতুন কিছু খুঁজে পায়নি। এরশাদ তাঁর পুরোটা শাসনকাল জুড়েই জিয়াকে অনুকরণ করে গেছেন, কিন্তু জনগণের কাছে জিয়ার মতো গ্রহণযোগ্যতা পাননি। এর কারণ বহুবিধ। জিয়ার ব্যক্তিগত সততা ছিলো প্রশ্নাতীত এবং প্রবাদতুল্য, আর এরশাদের সততা নিয়ে সবসময়ই প্রশ্ন ছিলো।
নারীঘটিত কেলেংকারির সঙ্গে জিয়ার নাম উচ্চারিত হয়নি একবারও, আর এরশাদের নারী-কেলেংকারি নিয়ে শত শত পর্ণো-উপন্যাস লেখা যায়! জিয়ার নামের সঙ্গে দুর্নীতি শব্দটি যুক্ত হয়নি কখনো, আর এরশাদ হয়ে উঠেছিলেন দুর্নীতির সমার্থক শব্দ। তাছাড়া এরশাদই এদেশে দুর্নীতিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেন, জাতির নৈতিক মেরুদণ্ড ভেঙে দেবার ব্যাপারে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন, প্রজাতন্ত্রের সৎ ও নিষ্ঠাবান কর্মচারি-কর্মকর্তাদের জন্য নানারকম বিপত্তি সৃষ্টি করেন, এবং এমন একটি ধারণার জন্ম দেন যে, দুর্নীতি করা তেমন একটা খারাপ জিনিস নয়, টিকে থাকতে হলে দুর্নীতি করতে হয়! সামপ্রতিককালে রাষ্ট্রীয় পৃষ্টপোষকতায় দুর্নীতির যে মহোৎসবের খবর এখন পত্রিকার পাতায় পাতায় শোভা পাচ্ছে তার শুরুটা হয়েছিলো এরশাদের হাত ধরেই। রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে দুর্নীতিকে উৎসাহিত করার এমন ঘটনা এরশাদের আগে আর কেউ ঘটাননি। দরিদ্র দেশগুলোতে দুর্নীতি হয়তো থাকে; বাংলাদেশেও এরশাদের আগে থেকেই তা ছিলো, কিন্তু সেগুলো হতো স্বল্পমাত্রায়, আড়ালে-আবডালে। দুর্নীতিবাজরা নিজেদেরকে অপরাধী মনে করতো, অন্তত এতটুকু মূল্যবোধ সমাজে ছিলো।
এরশাদ অত্যন্ত কৃতিত্বের সঙ্গে সেই মূল্যবোধ ও নৈতিকতাবোধের গোড়া কেটে দিতে সক্ষম হন। বাংলাদেশ যেহেতু নেতাকেন্দ্রিক দেশ, নেতাকে ঘিরেই আবর্তিত হয় দলীয় ও জাতীয় রাজনীতি, জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতার এই দুর্নীতি, নারী কেলেংকারী, শঠতা ইত্যাদি দলটিকে কখনো জনগণের কাছে পেঁৗছতে দেয়নি। তাছাড়া তাদের দর্শন ও কর্মসূচির মধ্যে এমন কোনো নতুন বিষয় ছিলো না যে, জনগণ বিএনপির বিকল্প হিসেবে তাদেরকে গ্রহণ করবে। ক্ষমতাচু্যত হওয়ার পর দলটির জন্য তাই বিপর্যয় নেমে আসে। 'গণশত্রু' আখ্যা পাওয়া এই দলের নেতাদের অন্য কোনো দলে স্থান দেয়া যাবে না- ছাত্রদের এই দাবির মুখে তিন জোটভূক্ত দলগুলোতে পতিত নেতারা স্থান পাননি বলে তাৎক্ষণিকভাবে জাতীয় পার্টির ভেতরকার অবস্থা বোঝা যায়নি।
কিন্তু মাত্র কয়েক বছরের মধ্যেই দলটি বহু ভাগে বিভক্ত হয়ে যায়। এর নেতারা- যারা একসময় এরশাদের পদতলে নিজেদের জীবন বিলিয়ে দিয়ে সুখী হতেন- অন্যান্য দলে যোগ দেন। আওয়ামী লীগ ও বিএনপির ইতিহাসেও বিপর্যয় নেমে এসেছিলো এবং দুই ক্ষেত্রেই এর শীর্ষনেতারা নিহত হয়েছিলেন। কিন্তু জাতীয় পার্টির শীর্ষনেতা উপস্থিত থাকা সত্ত্বেও তার দলে যে বিপর্যয় নেমে এসেছে তাতে করেই এই দলের দার্শনিক ও কর্মসূচির সীমাদ্ধতা প্রমাণিত হয়। দলটি অবশেষে তাদের দর্শন ও কর্মসূচির অভাবে একটি আঞ্চলিক দলে পরিণত হয়েছে।
(চলবে)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।