"ব্লগকে সিরিয়াসলি নেবার কিছু নেই"...গরীব স্ক্রীপ্ট রাইটার
১
সাথী আর মামুন একই দিকে দ্রুত গতিতে এগিয়ে আসতে গিয়ে ধাক্কা খেল।
সাথী: এক্সকিউজ মি ইই!! (খাইয়ালামু)
মামুন: ও ও আইম এক্সট্রিমলি স্যরি..... (আম্মাআআ)
সাথীর বান্ধবী জেরিন যোগ দিল, স্যরি!!?!আর ইউ ব্লাইন্ড?!
মামুন: জ্বি না চোখ ঠিকই আছে
জেরিন ঝাড়ি মেরে: সাথী, লুক এ্যাট হিজ এ্যাটিটিউড!! হি ডাজন্ট নো হাউটু বিহেইভ!!
মামুন: স্যরি ভুল হয়ে গেছে।
সাথী: ভুল ইউ মিন মিসটেক!! ভুল হবে না কেন মেয়েদের দেখলেই তো ড্যাব ড্যাব করে তাকিয়ে থাকতে যেয়ে ভুলে যান ইউ আর ওয়াকিং!!
জেরিন: লুইস কোথাকার!
মামুন: ম্যাডাম আপনারা কিন্তু বেশি বলছেন (আম্মাআআ)
জেরিন: কি মজা পান বলেন তো? ইনটেনশনালি ধাক্কা খেয়ে আবার মিটমিটিয়ে হাসছেন।
মামুন কিছু একটা বলতে গেল কিন্তু সুযোগ পেল না
সাথী: চুপ করেন, আপনাদের জন্য আপনাদের জন্য পথে বেরও হতে পারবো না
এইখানে কি হইতাচে? ওই মিয়া ওই মেয়েলোক দেকলে মাতায় ঠিক থাকে না? ওই ভাই আপনারা আসেন তো একটা ফয়সালা করেন, চিকনা একটা লোক বলল।
সাথী ও জেরিন বুঝলো যে তারা বেশি ঝামেলা বাধাচ্ছে তাই তারা বলল: নো ইটস ওকে, প্লিইইজ লিভ আস অ্যালোন।
সবাই চলে গেল, সাথী জেরিনও। মামুন ভাবলো আহারে বেচারিরা কত যন্ত্রণাই না সহ্য করে, না হলে সামান্য একটা ধাক্কা নিয়ে এত কথা শোনায়! তবে মেয়ে ২টা দেখতে বেশ। সাথীটা দেখতে বেশি সুন্দর, পায়ে আবার নুপুর পড়েছিল। আরেকটার নামটা কি তা কে জানে!! (আম্মাআআ)
একপায়ে নুপুর তোমার আরেক পা খালি.......
২
মামুন তার চাচার বাসায় গিয়ে দেখে ওখানে ঐ দুই সুন্দরী আর মনে মনে বলে, উলালা, ওরা ওর কাজিনের ফ্রেন্ডস। মামুন তার কাজিনকে খুব ভালো ভাবে চেনে।
ও কখনই ঐ দুই সুন্দরীর ফোন নাম্বার মামুনকে দিবে না। তাই মামুনকে একটু ছলচাতুরির আশ্রয় নিতে হল। “এ্যাই সোনিয়া, তোর ফোনটা দে তো, একটা জরুরি কল করতে হবে, আমার ফো্নের চার্জ শেষ। === এভাবে সোনিয়ার ফোনটা কজ্বা করল। তারপর সেখান থেকে সাথীর নাম্বারটা নিল।
জেরিনের নাম্বারটা নিতে চাইছিল কিন্তু ওর নাম না জানায় আর হলো না নেয়া
ফোনটা ফেরত দেয়ার সময় মামুন বলল, কিরে সোনিয়া তোর ফ্রেন্ডদের সাথে তো পরিচয় করিয়ে দিলি না .........(ক্লোজআপহাসি)
সোনিয়া: তুই যা করেছিস ওদের সাথে শুনলাম!! ছি আমি তো লজ্জাই মরে যাচ্ছি ওদের সামনে। তুই যে আমার কাজিন এটাও বলতে পারিনি। বলেছি আমাদের হকার, বিল নিতে এসেছে..... (খাইয়ালামু)
(মুখ ঝামটা দিয়ে সোনিয়া চলে গেল)
মামুন মনে মনে বলল, তুই যতই মুখ ঝামটা দিস আর যাই বলিস আমার কাজ হয়ে গেছে। উলালা!!
৩
(মামুন ও সাথী ফোনে)
মামুন: হ্যাল্লো, এটা কোন জায়গা?
সাথী: আপনি কাকে চাচ্ছেন?
মামুন: আপনাকেই চাচ্ছিলাম.....(ক্লোজআপহাসি)
সাথী: ক্যান আই আস্ক ইউ ইউর নেইম?
মামুন: আপনি আমাকে চিনবেন না, তবে আপনাকে আমি খুব ভালোভাবে চিনি (ক্লোজআপহাসি)
সাথী: ই্ফ ইউ ডোন্ট হ্যাভ দ্যাট মাচ কারেজ টু টেল ইয়োর নেইম, সো ইউ সুডেন্ট কল মি....
মামুন: আমার সাহস আছে কিন্তু আপনি আমাকে চিনবেন না.....(ক্লোজআপহাসি)
সাথী: ফাইজলামী করার আর জায়গা পান না.....না? (খাইয়ালামু)
মামুনের মনে হল মান অভিমানের মধ্যে অনেক সময় ভালোবাসা হয় তাই সে সাথীকে রাগিয়ে দেয়ার জন্য বলল, এইটাই তো সব থেকে ভালো জায়গা....
সাথী: লুইস কোথাকার!!
মামুন: কোথাকার না, এই তো আপনারই...
সাথী: আপনি কি প্লিইইজ ফোনটা রাখবেন?
মামুন: এটা আপনি কি বললেন? কথা তো শুরুই হলো না, এখনই শেষ করে দিব....?
সাথী: আপনি কি ফোনটা রাখবেন?
মামুন: নাহ! (ক্লোজআপহাসি)
সাথী: অসহ্য! আম্মু, এই আম্মু... দেখতো কে যেন বিরক্ত করছে.....
মামুন সাথীকে ভেঙ্গিয়ে মেয়েদের মত করে বলল: অ্যাম্মু এই অ্যাম্মু....দেখোতো কে যেন বিরক্ত করছে....( )
সাথীর মা সাথীর এ ধরনের ন্যাকামিতে অভ্যস্ত তাই বিরক্ত হয়ে বলল, তুমি ফোন রেখে দিলেই পারো।
সাথী: আম্মু! তুমি আমাকে এভাবে বলতে পারলা?
সাথী আর তার মায়ের কথাপকথন মামুন শুনছিল ওপাশ থেকে।
তার এই বোরিং প্যানপ্যানানি অসহ্য লাগছিল। সে বলল, ঠিকাছে সাথী রাখি....সাথীয়া তেরে বিনা জিয়া নেহি জায়ে...গাইতে গাইতে ফোন রাখল।
আর এদিকে সাথী তার মায়ের সাথে অভিমান করে অ্যাঁঅ্যাঁঅ্যাঁঅ্যাঁ করে কাদতে লাগল।
গল্পের মামুনের সাথে বাস্তবের মামুনের কোন মিল নেই, আর সাথী নামটা গানের সুবিধার্থে ব্যবহার করা হয়েছে। এর সাথে বাস্তবের কোন মিল পাওয়া গেলে আমি দায়ী না।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।