আদর্শটাকে আপাতত তালাবদ্ধ করে রেখেছি...
অনেক কসরত করে মিরপুর রোডের একটা সিএনজি পাম্প থেকে গ্যাস নিয়ে ভো দৌড় আমাদের ইষ্টার্ন প্লাজার দিকে। গাড়িতে চারজনের জায়গায় ছয়জন, গাদাগাদি করে অবস্থা খারাপ, হাতিরপুলের বিশাল জ্যাম, রাত প্রায় সাড়ে সাতটা, বন্ধ হয়ে যাচ্ছে মার্কেট। তবুও ভাল লাগছিল ভীষন, দেশের জ্যামও ভাল লাগতে শুরু করেছিল অনেকদিন দেশের বাইরে থেকে। ইষ্টার্ন প্লাজার একেবারে একশ গজের মধ্যে এসে নড়াচড়া বন্ধ হয়ে গেল। কী করা, চীৎকার চেচামেচি করছি, আড্ডাবাজি করছি, মন্দ লাগছে না। গাড়ির মিউজিক প্লেয়ারে অবহেলায় বেজে চলছে বনমানুষ তানভীরের ( ভাগ্যিস, ও এ ব্লগ পড়ে না!) সিলেক্ট করা গানের সিডি। হঠাৎ আমার চারপাশটা থমকে গেল। রিক্সার টুংটাং, গাড়ির হর্ন, পোড়া মবিলের উৎকট গন্ধ, লোকজনের বিরক্ত চোখে তাকিয়ে থাকা, কানের পাশে বন্ধুদের চীৎকার সবই। ... আমি ভেবে রেখেছিলাম তাকে পুরোপুরি ভুলে যাবার আগে তার গান আর শুনব না, কিন্তু ওটা বেজে উঠে এলোমোলো করে দিল।
বন্ধুদের চোখ এড়িয়ে চোখ মুছতে হল,ততক্ষনে গাড়ি ঢুকে গেছে কারপার্কে-
আমি তোমাকে বলে দেব
আমি তোমাকেই বলে দেব
কী যে একা দীর্ঘ রাত
আমি হেটে গেছি বিরান পথে
আমি তোমাকেই বলে দেব
সেই ভুলে ভরা গল্প
কড়া নেড়ে গেছি ভুল দরোজায়-
ছুয়ে কান্নার রঙ
ছুয়ে জোছনার ছায়া
আমি কাউকে বলিনি সে নাম
কেউ জানেনা, না জানে আড়াল
জানে কান্নার রঙ
জানে জোছনার ছায়া
তবে এই হোক, তীরে জাগুক প্লাবন
দিন হোক লাবন্য, হ্রদয়ে শ্রাবন
তুমি কান্নার রঙ
তুমি জোছনার ছায়া
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।