রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ সোমবার মস্কোয় সিরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়ালিদ মুয়াল্লেমের সঙ্গে বৈঠককালে এ প্রস্তাব দেন।
দামেস্ক এ প্রস্তাবে রাজি হবে কিনা তা নিশ্চিত করে বলতে না পারলেও ল্যাভরভ এ ব্যাপারে ইতিবাচক সাড়া পাওয়ারই আশা প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, “সিরিয়ার রাসায়নিক অস্ত্র আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নিয়ন্ত্রণাধীনে থাকলে যদি হামলা এড়ানো যায় তাহলে আমরা অবিলম্বে বিষয়টি নিয়ে দামেস্কর সঙ্গে কাজ শুরু করব”।
সিরিয়া তাদের সব রাসায়নিক অস্ত্র আগামী সপ্তাহের মধ্যে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে সমর্পণ করলে সামরিক হামলা থেকে বাঁচতে পারবে বলে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরির ইঙ্গিতের পর রাশিয়া আসাদ সরকারকে অস্ত্র ছাড়তে বলল।
ল্যাভরভ জানান, মস্কো বৈঠকে তিনি কেবল সিরিয়াকে রাসায়নিক অস্ত্র আন্তর্জাতিক নিয়ন্ত্রণে ছেড়ে দেয়াই নয় বরং পরে সেগুলো ধ্বংস করে ফেলতে রাজি হওয়ারও আহ্বান জানিয়েছেন।
পরে সিরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মুয়াল্লেম সাংবাদিকদের বলেন, রাশিয়ার এ প্রস্তাবকে দামেস্ক স্বাগত জানিয়েছে। কিন্তু প্রস্তাবে সিরিয়া রাজি কিনা সে ব্যাপারে প্রকাশ্যে কিছু বলেন নি তিনি।
তবে যুক্তরাষ্ট্র হামলা না চালালে সিরিয়া রাসায়নিক অস্ত্র ছেড়ে দিতে পারে- এমন আভাস পাওয়া গেছে মুয়াল্লেমের কথায়।
ল্যাভরভের সঙ্গে বৈঠকের পর মুয়াল্লেম বলেন, “দেশ ও দেশের জনগণের নিরাপত্তার ব্যাপারে সিরীয় নেতৃত্বের উদ্বেগকে আমলে নিয়ে আমাদের জনগণের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রাসন ঠেকানোর চেষ্টায় রাশিয়া যে উদ্যোগ নিয়েছে তাকে সিরিয়া স্বাগত জানায়”।
সিরিয়ায় আড়াই বছরের গৃহযুদ্ধে রাশিয়াই আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সিরিয়ার প্রধান মিত্র দেশ।
সিরিয়ার বিরুদ্ধে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবনা তিনবার আটকে দিয়েছে রাশিয়া। সিরিয়ায় রাসায়নিক অস্ত্র হামলায় সরকারের জড়িত থাকার অভিযোগও রাশিয়া নাকচ করে আসছে।
সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদও এ পর্যন্ত বরাবরই রাসায়নিক অস্ত্র হামলা চালানোর কথা অস্বীকার করে এসেছেন। তিনি এ হামলার জন্য বিদ্রোহীদের দায়ী করেছেন।
কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ২১ অগাস্টে দামেস্কের উপকণ্ঠে সরকারি বাহিনীর রাসায়নিক অস্ত্র হামলায় ১৪শ’র বেশি মানুষ নিহত হওয়ার অভিযোগ করেছে।
এ অপরাধের শাস্তি হিসাবে সিরিয়ায় সামরিক হামলা করার হুমকি দিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।