সাহিত্যের সাইটhttp://www.samowiki.net। বইয়ের সাইট http://www.boierdokan.com
অফিস থেকে বাসায় ফেরার ব্যাপারে আমি বরাবরই অলস। মাঝে মাঝে উজানে যাইতে মন চাইলে বের হই। কিন্তু ভাটির দিকে সন্ধ্যা বেলা মন টানে না। কাম থাকুক আর না থাকুক অফিসে বইসা থাকি।
হিসাব করে দেখছি, আমি যদি ৭ টায় অফিস থেকে বের হই। ভিড়ের মধ্যে ফার্মগেট থেকে বাসে ওঠার চেষ্টা করি তাইলে আমি বাসায় পৌঁছাই ৯টা থেকে সাড়ে নয়টার মধ্যে। আবার ৮ টায় বের হলে বাসায় পৌঁছাতে সাড়ে নয় থেকে দশটার মধ্যে পৌঁছাই। কিন্তু সাড়ে নয়টা থেকে দশটার মধ্যে বাসে উঠলে দশটা থেকে সোয়া দশটার মধ্যে পৌছানো সম্ভব। ফলে, আমি কী করি সেটা আগেই বলেছি।
কাইলকা নয়টায় ফার্মগেট আইসা দেখলাম, ভীড়ভাট্টা ভালোই। তারপরও ডাবল ডেকারের মূল্যবান একটা টিকেট কেটে উইঠা পড়লাম। বসার জায়গা পাইছিলাম। কিন্তু, নিচের তলার শেষ সিট বলে বসাটা তেমন নান্দনিক মনে হইলো না। তাই সিঁড়ির গোড়ার প্রশস্ত দেয়ালে হেলান দিয়া আকাশ-পাতাল ভাবতেছিলাম।
বাড়ি যাইতে গিয়া ইদানিং লোডশেডিংয়ের কথা বেশ মনে পড়ে।
বিজলী করেছে আড়ি
আসে না আমার বাড়ি
গলি দিয়ে হেঁটে যায়
লুটায়ে রূপালি শাড়ি..
তো ওইরকম ভাবে দাঁড়ায়ে ভাবতেছিলাম। বিজয় স্মরণীর প্রাত্যহিক সিগনালে আইসা দেখলাম এক ব্যক্তি আমারে ডাকে। ডাবল ডেকার বাস ভদ্রলোকদের যান। তাই বিন্দুমাত্র সন্দেহের অবকাশ মনে না রাইখা আগাইয়া গিলাম।
যিনি ডাকছেন তিনি বললেন, জনাবকে চেনা চেনা লাগে। কোথাও দেখেছি।
আমি একটু ভাবতে আছিলাম। উনি সঙ্গে সঙ্গে বললেন, আপনি কি সামহয়ারে লেখেন। মাহবুব মোর্শেদ?
গর্বে আমার বুকটা ফুইলা উঠলো।
আরেকটু হইলে ওড়না ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা দিত। স্বাভাবিকভাবেই আমার প্রশ্ন, আপনি কী নামে লেখেন?
উনি কিছু মোড়ামুড়ি করার পর বলেন, নেমেসিস।
ওনার সঙ্গে ব্লগীয় মুলামুলি নিয়ে কিছু কথা হইলো। ভদ্রমহোদয়কে পছন্দ লাগলো। এক ধরনের ভ্রাতৃত্ব অনুভব করলাম।
এর আগেও এরকম ঘটছে। গত ঈদের সুমায় বাড়ি যাইতেছিলাম। বাসে উঠতে যাবো এম সময় এক ভদ্রমহোদয় আইসা হাত বাড়াইয়া কইলেন, আপনি মাহবুব মোর্শেদ না? আমি বললাম, হ। তিনি আমার ব্যস্ততা দেইখা তার কার্ড ধরায়ে দিয়া চইলা গেলেন। ব্লগে কম লেখেন।
দুঃখের বিষয় ওনার নামটা ভুইলা গেছি। কার্ড খুঁজের বের করে তার নামটা এইখানে দেব।
প্রোফাইলে ছবি দিয়া ব্লগিং করার জন্য এইটা ছোটখাট একটা বিজ্ঞাপন। আমার এই ছবিটা যখন দেখি আমারই তখন বিশ্বাস হয় না, এইটা আমার ছবি। কোন সুক্ষণে যে ছবিটা উঠছিল।
ছবিটা ভাল হইছে বইলা আওয়ামী লীগাররা খেপছে। ওরা জানে, আমি দেখতে এমন না। আমিও জানি। কিন্তু কী করবো? ছবিটা রাখতে মন চায়। সত্যি, এর চেয়ে ভাল ছবি ইহজন্মে আমার ওঠে নাই আর।
কিন্তু ছবিটা আমার মতো না হইলেও আমারে চিনা যায়। ব্যাপারটা ভালই।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।