কেবল সমুদ্র পারে শুষে নিতে সব, যা কিছু বিপ্রতীপ, ভেসে আসে নিদারুণ কষ্টের নীলজলে..
ছিলে না যাদুকর তুমি, জ্যোতির্ময়, মোহন শব্দের
তবুও তোমার উচ্চারিত শব্দের জ্যোতি
শুভ্র আলোকছটায় এঁকে দিলো, নিজস্ব আকাশ, আমাদের
নিমেষেই
তোমার উচ্চারিত স্বর
মায়াবী মন্ত্রের মতো
তড়িৎ-চালিত করলো আমাদের
যেন একটি বিদ্যুত ঝলকই যথেষ্ট ছিলো-
যেন একটি বজ্র ঘোষণাই
প্রগাঢ় অন্ধকারের মাঝেও
জ্বেলে দিলো নতুন আলোক-
একটি নতুন দেশের মানচিত্র
এক পলক দেখে নিতে...।
যেন তোমার একটি উত্তোলিত তর্জনী-ই যথেষ্ট ছিলো
আমাদের ধাবিত হওয়ার সব গতিপথ
মুক্তির সীমান্ত অবধি-টেনে নিতে।
ছিলে না শাসক তুমি, অনম্র, অমোঘ অনড়তার
তবুও তোমার সেই দৃপ্ত-উচ্চারণ
একটি অঙ্গীকারের পতাকা ছুঁয়ে পলকেই
ব্যাপৃত করে আমাদের- কাঁধে নিতে-
বেয়নেট-ষ্টেন সহ দীর্ঘ এক সংগ্রাম
সাগর সমান মৃত্যুর শীতলতা, স্বেচ্ছায় ভালবেসে।
যেন তুমি সাধারণ কোন সাধক নও-
যেন এমন মোহন সুরে আর কেউ কোনদিন
ডাকতে পারেনি তার
মোহাবিষ্ট অনুসারীদের-
যেন একটি মায়াবী সেতার
সেদিন তোমার কণ্ঠনালীতে বসে
বাজিয়েছিলো সেই ঝংকার
বহুকাল পৃথিবী কাঁপাতে।
ছিলে না কবিতা তুমি, হিরণ্ময়, সূচারু শব্দের-
ছিলে না গদ্য, গীত
লোকজ কোন সুর, উদাসী কণ্ঠের-
তবুও তোমার সেই কথামালা, দেদীপ্য উচ্চারণ
শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ এক কবিতা হয়েছে-
যেন তুমিই হৃদয়ে বসে অণুক্ষণ গেয়ে যাও সেই গান
রক্তের সূতোয় বোনা, স্বদেশ বাঁচাতে।
ছিলে না দাবানল তুমি, কোন বিধায়ক-স্বেচ্ছা চপলতার
তবুও অগ্নিসম তোমার অনিঃশেষ সেই স্বর
আগুন জ্বালিয়ে দেয়,
নিষ্প্রভ, ঘুণে ধরা-
চৈতন্যে, আমাদের।
.............................................
রচনাঃ ৭ই মার্চ,২০০৮
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।