শূন্য বেজন্মার গল্প এবং ভালবাসা
আজ বায়তুল মোকারমের দক্ষিণ গেটে
এক মহা সমাবেশ ছিল।
বিশ্বাস কর অপর্ণা
বাপের জন্মে একসঙ্গে এত বেজন্মা আমি দেখিনি।
বিশ্বাস করো তুমি
এরা সবাই বেজন্মা, সবারই রক্তে দোষ
অথচ কি সুন্দর নাদুস নুদুস
সবারই মুখে প্রশান্তির শান্তি।
কারণ তারা সবাই আজ পেয়েছে
পিতার স্বীকৃতি ।
কারা তাদের জন্মদাতা জানো তুমি?
কে, না বলে কেন কারা বললাম জানো তুমি?
কারণ তাদের জন্মদাতা আবার একজন নয়।
কিছু নরপিশাচ ৭১’এর আগে ও পরে
তাদের মায়ের যৌনাঙ্গে ঠেসে দিয়েছিল
বীর্যের শক্ত সে নল,
এতেই জন্ম তাদের।
আর তাই আজ রক্তের টানে
তারা সবাই এক হয়েছে
তাদের পিতাদের মহাবেশে।
বিশ্বাস কর অপর্ণা
তাদের পিতারাও ছিল বেজন্মা
আর তাইতো ৭১’এ বাংলা মায়ের
এই বেজন্মা সন্তানেরা দালাল
হয়ে
তাদের মাকে তুলে দিতে চেয়েছিল
ভিনদেশী খদ্দেরের হাতে।
আর ব্যর্থ হয়ে আজ তারা
সব বেজন্মাকে এক করে
নতুন করে শুরু করছে।
কিন্তু বাংলা মায়ের
সূর্য সন্তানেরা কি চুপ করে
বসে থাকতে পারে,
তাই তো আমি
তোমা হতে দুরে।
বিশ্বাস করো অপর্ণা
বেজন্মা মুক্ত দেশ গড়ে
তবেই তোমার
ভালবাসায় সাড়া দেবো।
আর একটু সময় দাও
প্লিজ অপর্ণা
আর একটু সাহস
আর একটু ভালবাসা দাও।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।