আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ডাকাইত ডাকাইত



পরশু রোজার ঈদ। মাস্টারের পরিবারের কেনা কাটা সবার মোটামুটি শেষ। বড় ছেলে লালু তার মেয়ের জন্য ফ্রগ, জুতা ও গয়না এবং ছেলের জন্য শাটপ্যান্ট কিনেছে। নিজের জন্য র্শাট, প্যান্ট জুতা ও বউকে শাড়ি দিয়েছে। রাতে খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ল সবাই।

বাড়ী ভর্তি গাছ থাকার কারনে রাতের অন্ধকার গাঢ় থেকে গাঢ়তর হয়ে পড়ে । রাতে কেউ বাসা থেকে খুব বের হয় না। হঠাত মধ্য রাতে চিতকার ওর শফিক ও নোমান ও ইসলাম আমাদের কে বাঁচাও আমাদের সব নিয়ে গেল। ডাকাইত! ডাকাইত ভয়ার্ত চিতকারে রাতে অখন্ড নিরবতা ভেঙেগ গেল্ ষাটোর্ধ রহমান মিয়া চিতকার দিয়ে বলে.....কি অইছে? জবাব আসে আমাগো সব নিয়া গেল। ডাকাইত-ডাকাইত রহমান মিয়ার দুই ছেলে শফিক ও নোমান দরজা খুলে লাঠি নিয়ে বের হয়ে যায়।

ছুটে আসে পাশের ঘরের ইসলাম, সিরাজ দা নিয়ে আলিমকে তার বউ ধরে রাখে যেতে দেয় না সবাই এক যোগে জানতে চায় কই কোন দিকে গেছে শফিক নোমানকে বলে টচ লইয়া আমার সাথে আয় মরা বাড়ীতে প্রিয়জন হারালে যেভাবে মাটিতে গড়াগড়ি দিয়ে কাদে এভাবে কাদছে লালুর মেয়ে শায়লা, স্ত্রী পারুল। এরই মধ্যে পাশের বাসার সবাই ছুটে এসেছে। সান্তনা দিচেছ যাক মালের উপর দিয়া গেছে করো কোন ক্ষতি হয়নি। শায়লা কেদেঁ কেদে বলে ওরা যখন আমার রুমে এসে গয়না চায় আমি ভয়ে শেষ। আমি বলি তোমরা কেই আমার গায়ে হাত দিবা না।

নেকলেস, কানের দুল সব খুলে দিলাম। আমি কথা বলায় আমাকে একটা তাপ্পর মারে আপু, আমি অন্ধকারে রুমে মানুষ দেখে যে ভয় পাইছি রে আপু পাশের বাসার কলেজে পড়ুয়া জেবিনকে ধরে থেমে থেমে কাদছে কিভাবে শান্তনা দিবে তা বুঝতে পারছে না। কেবল মাথায় আলতো হাত বুলিয়ে যাচেছ। রাত শেষ হল প্রায় লালুর মা লতিফা বানু সবাইরে কয়, কাইন্দা আর কি অইব। সেহেরীর কারো খাইতে ইচছা করলে খাইয়া লও আমার খাইতে ইচেছ করে না আমি শুধু পানি খাইয়া রোজা রাখমু।

আন্ধকার কেটে গিয়ে ঈষাণ কোনে আলো উঠল কর্ম ব্যস্ত সবাই যার যার কাজে চলে গেল। সরগরম হয়ে উঠল রহিমপুরে রসূল গাও।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।