এই পৃথিবীতে শুধুমাত্র দুই রকমের মানুষ আছে। ভালো মানুষ যারা ভালো কাজ করে। আর খারাপ মানুষ যারা খারাপ কাজ করে। এটাই মানুষদের মধ্যে একমাত্র পার্থক্য। আর কোন পার্থক্য নেই... আমি ভাল মানুষ...☺☺☺
আমার ব্লগাভিজ্ঞতা ৫ এই লিংকে
ব্লগিংটা আসলেই মজার।
অনেক কিছু ঘটেছে। কিন্তু ভুলে গেছি যা মনে আছে তাই লিখছি...
ব্লগিং যখন পুরোদমে চলছে তখন আসলো গ্রুপব্লগিং। অনেক কষ্ট কইরা বান্দর গ্রুপে ঢুকলাম। কষ্ট করছি বলাটাই স্বাভাবিক। তখনতো আর এত সহজে আবেদন করা যেতনা।
তারপর মনে হল নিজেই একটা গ্রুপ খুলে ফেলি। খুলে ফেললাম। আমি রসিক মানুষ। গ্রুপের নাম দিলাম রসিক গ্রুপ। খুলে ফেললাম বললেই কি খোলা যায়? মেইল করার প্রায় ৩ সপ্তাহ পরে একদিন গ্রুপ ব্লগ-এ ঢুকে দেখলাম আমার গ্রুপের নামটা জ্বলজ্বল করছে।
বর্তমানে প্রায় ৮০জন সদস্য আছে গ্রুপটায়। সদস্যদের সংখ্যা বাড়ার কারণে নীতিমালা বানালাম আর মডারেটর বানালাম দুজনকে।
গ্রুপ নিয়ে মেতে থাকলাম। এমন সময় হঠাৎ করে এলো "মাইনাস রোগ"। অনেক ব্লগার এই রোগে আক্রান্ত হল।
এই রোগের প্রধান লক্ষণ নিম্নরূপ।
১) এই রোগীর কাছে কোন পোস্ট বা লেখাই পছন্দ হয়না।
২) এই রোগী সবার পোস্টে সবসময় - দিয়ে আসে।
৩) এরা একটা আলাদা গ্রুপের মতো করে থাকে। একজন কাউকে ধরলে সবাই মিলে তার উপর ঝাপিয়ে পড়ে।
আর গ্রুপের মেম্বারদের পোস্টে কোনসময় মাইনাস দেয়না।
৪) এরা শুধু মাইনাস দিয়েই ক্ষান্ত থাকেনা। উল্টাপাল্টা কথা বলে। যেমন একদিন আপনাকে বলবে রাজীব ভাল আছ তো? আপনি আসমান থেকে পড়বেন। রাজীব! এইটা আবার কেডা?
৫) এরা - জানিয়ে দেয়।
পোস্টে কমেন্টের জায়গায় লিখে রাখে "মাইনাচ" বা "মাইনাচ দাগানো হইলো" টাইপের কমেন্ট। (অনেকে না জানাইয়াইও দেয়। )
আর মনে পড়তাছে না। তবে এইডা জানি রোগটা মারাত্মক ছোঁয়াছে ছিলো। তাই আমি সবসময় এই রোগীদের কাছ থিকা দুরে দুরে রইছি।
তাই আমার রোগটা হয়নাই। একসময় কিছু ভার্চুয়াল বিজ্ঞানী মিল্লা অনেকেকে সারাইলাম। অনেক কষ্ট হইছে। কিন্তু ব্লগ এখনোও মাইনাস রোগীমুক্ত হয়নাই। কি আর করার? পোস্ট কইরা মাইনাস খাওয়ার অপেক্ষায় বইসা থাকি
চলবে...
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।