যুদ্ধাপরাধীর বিচার ও জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবী করছি
সাইদি কোরআন ব্যাখ্যার নামে জামাতের কর্মী সমাবেশে যা বলেন তা প্রকৃতপক্ষে মুক্তবুদ্ধির মানুষদের প্রতি বিষোদ্গার। সাইদির উস্কানীমূলক বত্তৃতার সাথে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক কালে ঘটে যাওয়া অনেক নাশকতা বো জংগী তৎপরতার সুস্পস্ট যোগসূত্র পাওয়া যায়।
১) পশ্চিমা বিশ্ব সম্পর্কে -
তালেবানদের ধ্বংশ হয়েছে তো কি হয়েছে, আমেরিকার বিরুদ্ধে যুদ্ধ চলেবই
(জনকন্ঠ, ফেব্রুয়ারী ১৩, ২০০২)
ইংলেন্ড ও আমেরিকায় যা হচ্ছে তা একটা দরিদ্র মুষলিম রাষ্ট্রকে তছনছ করার ফল”।
(ডিভিডি সিরিজ স্পন্দন, জ্যাকসন হাইটস, নিউ ইয়র্কে প্রাপ্ত)
বিমানের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কর্মকর্তা জানান - বিপজ্জ্নক ব্যক্তি হিসাবে জামাতের নেতা দেলওয়ার হোসেইন সাইদি যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক “নো ফ্লাই লিস্টে” অর্ন্তভূক্ত করা হয়েছে।
( নিউ এজ, মার্চ ১৬, ২০০৪)
২) “ঢাকা শহরের মসজিদগুলো হিন্দু মন্দিরে রূপান্তরিত হচ্ছে”।
(প্রথম আলো, নভেম্বর ১৭, ২০০০)
৩) “কেন আমরা আমাদের হিন্দু ভাইএর দেশ ছেড়ে গেলে দুঃখ পাবো? আমাদের যখন বদ হজম হয় আর যখন তা আমাদের পেট থেকে বেড়িয়ে যায় - তা নিয়ে কি আমরা শোক করি?”
চট্রগ্রাম প্যারেড গ্রাউন্ডের কোরান তফসীর। ( জ্যাকসন হাইডস এ প্রাপ্ত ডিবিডি)
৪) দেলোয়ার হোসেন সাইদী ব্লাশফেমী আইনের আওতায় ড. হুমায়ুন আজাদের বই নিষিদ্ধ করার দাবী জানান। এর কয়েকদিন পরই ড. আজাদ আক্রান্ত হন।
৫) জনকন্ঠের পিরোজপুর প্রতিনিধি শরিফুল হক মিঠু ১৯৭১ সালে সাইদির গনহত্যার সাথে সংশ্লিষ্টতার প্রমান তুলে ধরে রিপোর্ট প্রকাশ করা পর - সাইদি তার রক্ত চেয়ে বলে - দেখতে হবে ওরা মুসলমান কি না। কয়েকদির পর তার জীবনের উপর হুমকী দেওয়া হয় এবং তাকে পিরোজপুর ত্যাগ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়।
[Source: Reporters Without Frontiers, 2003 Annual Report]
৬) প্রতিনিয়ত কোরাআন তফসিরের নামে সাইদি মুক্তিবুদ্ধির লেখকদের বিরুদ্ধে উস্কানীমূলক বত্তৃতা দেয়। একটা বাক্য ছিলো এমন -
“ সাংবাদিক ও লেখকরা মিথ্যা কথা লেখে। তারা সবাই ইসলামের শত্রু। “
( ভোরের কাগজ, এপ্রিল ২২, ২০০৫)
৭) জানুয়ারী ২৫ ২০০৫, সাইদি আহামদীয়াদের বই নিষিদ্ধ করে ব্লসফেমী আইন প্রনয়নের আহ্বান জানায়। Click This Link ]
“ আহামদিয়াদের মুসলামন হিসাবে পরিচয় দেবার কোন অধিকার নাই।
তারা হলো হিন্দু ওর খৃস্টানদের মতো সংখ্যালঘু গোষ্টী। “
(ভোরের কাগজ, জানুয়ারী ১৩, ২০০৫)
যখন খাতমে নবুয়ত নামের একটি সংগঠন যখন আহামদিয়াদের উপর বিভিন্ন নাশকতা চালাচ্ছিলো - তাদের সমর্থন দিয়ে সরকারে অঙশীদার এমপি সাইদি বলে -
“ খাতমে নবুয়ত মুসরিম মিল্লাতের ঝান্ডা বহন করছে। আমাদের উচিত নয় ওদের বিরুদ্ধে কোন কথা বলা। “
(ভোরের কাগজ, জানুয়ারী ১৩, ২০০৫)
বাংলাদেশে জঙ্গীবাদ বিস্তার ও ত্রাস সৃস্টির পিছনে সাইদীর কোরআন মাহফিলের আড়ালে উত্তেজনা ছড়ানো, মুক্তিবুদ্ধির মানুষদের প্রতি ঘুনা সৃস্টি আর নাশকতার উস্কানীর মতো সমাজবিরোধী ও আইন-শৃংখলার বিঘ্ন সৃস্টি করছে।
সরকারের উচিত সাইদীর মতো একজন প্রাতিষ্ঠানিক যোগ্যতাহীন ইসলামের মুখোশধারী কে কোরাআন ব্যাখ্যা থেকে বিরত রাখা।
একজন যুদ্ধাপরাধীর হাত থেকে ইসলাম ও সমাজের অপূরর্নীয় ক্ষতির আগেই সাইদীর বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্ত গ্রহন জরুরী। দেশের বাইরে দেশের ভাবমূর্তি রক্ষার জন্যেও সাইদীকে নিয়ন্ত্রন করা জরুরী। নতুবা বাংলাদেশের জন্যে রয়েছে অসংখ্য বাংলা ভাইএর বোমাবাজীর মতো আরো ভয়াবহ পরিনতি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।