আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিগত জোট সরকারের আমলে দেলোয়ার হোসেন সাইদীর ছিল অবৈধ এম পি।

যুদ্ধাপরাধীর বিচার ও জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবী করছি

জামাতের মওলানা সাইদী ২০০১ সালের ১ অক্টোবর এম পি হিসাবে নির্বাচিত হয় বলে নির্বাচন কমিশন ঘোষনা করে। কিন্তু তার প্রতিদদ্বী সুধাংশ শেখর হালদার সাইদীর বিরুদ্ধে নির্বাচনী আইন ভংগের ( গন প্রতিনিধিত্ব আইন ১৯৭২) অভিযোগে মামলা করেন। সেই মামলায় হাইকোর্ট সাইদীর বিরুদ্ধে আনীত বিভিন্ন অভিযোগের প্রমান পায়: প্রমানিত অভিযোগ গুলি হলোঃ ১) নির্বাচনের খরচ সংক্রান্ত ভুয়া হিসাব দাখিল। যা ৫ লক্ষ টাকা খরচের সীমা অতিক্রম করে এবং কোন হিসাব নির্বাচন কমিশনে পাঠানো হয়নি। ২) ভোটার এবং প্রাপ্ত ভোটের হিসাবের গড়মিল।

অভিযোগ প্রমানিত হলে কোর্ট সেপ্টেম্বর ১৪, ২০০৩ সাইদীর নির্বাচন বাতিল করে পিরোজপুর এক আসনকে খালি ঘোষনা করার জন্যে নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দেয়। কিন্তু জোট সরকারের দালাল নির্বাচন কমিশন সেই রায় বাস্তবায়ন করেনি। উল্লেখ্য যে, বাংলাদেশের ইতিহাসে যে কোন এমপিকে অবৈধ ঘোষনার ঘটনা এটাই প্রথম। কিন্তু জোট সরকার আর নির্বাচন কমিশন কোর্টের রায় উপেক্ষা করে সাইদীকে শেষ দিন পর্যণ্ত সংসদে বসার সুযোগ দিয়ে একটা অপশাসনের নজির স্থাপন করে। সতলোকের অসতকাজ কোর্টে প্রমানিত হবার পরও এই ওয়াজি মোল্লা তিন বছর অবৈধ ভাবে সংসদে বসে দেশের আইন আর শাসনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করেছে।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।