আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

গালিবাজি ও বিবিধ প্রসঙ্গ



এই পোস্টের বক্তব্য প্রথমে আসলে মিরাজ ও মৃদুলের দুটি পোস্টে করেছিলাম। ->কেন স্বাধীনতার চেতনায় সমুন্নত গালাগালি ও অশ্লীলতামুক্ত সামহোয়্যার চাই(Click This Link) ->আবার একটা নয়া বাকশাল গঠন প্রক্রিয়া, আমাকে আবারও আক্রমন করা হোক(Click This Link) পল্লব মুনতাকার যুদ্ধাপরাধ শীর্ষক পোস্ট টি পড়বেন। "....অনেক রক্তস্রোত আর ত্যাগের বিনিময়ে মুসলমানেরা ১৯৪৭ সালে যে আবাসভুমি ফিরে পেল ভারতীয় ব্রাহ্মণ্যবাদী সম্প্রসারণবাদীদের ষড়যন্ত্রে মাত্র ২৩ বছরের মাথায় তার অপমৃত্যু ঘটে। রাশিয়া আর ভারতের হাত এই খুনের রক্তে রঞ্জিত। ".........."বদর বাহিনির সেদিনের ভুমিকার কারণ এদেশের মানুষ একদিন বুঝবে।

যখন দেখা গেল আর কোনভাবেই পাকিস্থানকে একসাথে রাখা যাচ্ছে না তখনই তারা ইসলামের শত্রু ভারতীয় দালাল খতমের মতো সিদ্ধান্ত নেয়। যারা পুরো ৯ মাস ঢাকা শহরে চুপচাপ ঘাপটি মেরে বসেছিলেন সেই ধর্মনিরপেক্ষতাবাদের থিংক ট্যাংকরা পরবর্তী বাঙালী জাতিয়তাবাদের দেশে মুসলীম জাহান আর ইসলামী মূল্যবোধের আরও অনেক বড় ক্ষতি করবে এই অনুমান ছিল আল বদর বাহিনির সেই সিদ্ধান্তের পেছনে........" মুনতাকার এ ধরণের কথাবার্তাকে কি যুক্তি দিয়ে খণ্ডাতে হবে??? আমি ব্যক্তিগতভাবে গালিগালাজ করি না। বিশেষ করে যুক্তি-তর্কের সময় গালিগালাজকে প্রচণ্ড অপছন্দ করি। কথা-প্রসঙ্গে হয়তো মাঝে মধ্যে দালাল, ভণ্ড, অসত, মুর্খ এসব বললেও কারণ সহই বলি- কারণ মানে হলো- কেন দালাল বা ভণ্ড বলেছি তা উল্লেখ করি। যদিও গালির ব্যপারে আমার তেমন এলার্জিও নেই।

স্বাভাবিকই মনে হয়। তারপরেও মনে করি যুক্তি-তর্কে শুধু গালির উপর নির্ভর করা বোকামি। এই ব্লগে আমার প্রথম গালি - পল্লব মুনতাকার ঐ পোস্টে। বলেছিলাম- শুয়োরের বাচ্চা। আসলে তার সাথে যুক্তি করার প্রবৃত্তি হয়নি, এবং ঐ গালির জন্য আমি অনুতপ্তও হইনি।

সেই পোস্টে পল্লবের একটি মন্তব্য দেখুনঃ পল্লব মুনতাকা বলেছেন: দয়া করে ভদ্রভাষা ব্যবহার করুন প্লিজ। আমি অবশ্য কোন কমেন্ট মুছবো না। লোকে দেখুক ধর্মনিরপেক্ষতাবাদীদের ভাষা কেমন। দেখুন, সুশীলদের আর রাজাকার শিরোমনির গলার কত মিল। তাইতো, এরকম সময়ে যারা গালিবাজির বিরুদ্ধে কথা বলেন তারা রাজাকারদের বাহবা পান, রাজাকারবিরুধী সংগ্রামে যারা আছে তাদের বিরুধিতার সম্মুখীন হন।

একটি বিষয়, সেখানে(পল্লব মুনতাকার ঐ পোস্টে) আমি সহ অন্যরা যে গালিগালাজ করেছে, তাকে অন্যায় মনে হয়না। এখন, একজন খুব শুদ্ধ ভাষায় খুব মোলায়েম গলায়- যদি বলে গোলাম আজম আদর্শ নেতা, বদর বাহিনী উচিত কাজ করেছে......ইত্যাদি; আর তার বিপরীতে কেউ খুব জঘন্য ভাষায় তাকে গালিগালাজ করে- সেক্ষেত্রে আমি দুজনকে একই পাল্লায় মাপতে রাজি নই। আমি নিজেও গালির বিরুদ্ধে, অশ্লীল বা রগরগে কৌতুকের বিরুদ্ধেও আমাকে বিতর্ক করতে দেখবেন- মাথামোটার এক পোস্টে (বাচ্ছ রে মা)- কিন্তু, সে প্রসঙ্গ ভিন্ন। যখন, রাজাকার / যুদ্ধাপরাধীদের প্রসঙ্গ আসে, সেখানে অন্য কিছু আসতে পারে না বলেই মনে করি। আরেকটি কথা- অনেককেই বলতে দেখলাম, গালির প্রসঙ্গ আসলেই নাকি রাজাকার প্রসঙ্গ আনা হয়।

আমার অভিজ্ঞতায় আমি তো অন্যটা দেখলাম। রাজাকার প্রসঙ্গ আসলেই গালিগালাজের প্রসঙ্গকে আনা হচ্ছে বারবার। আর এখানেই আমার যত আপত্তি। কলেজ-ভার্সিটি লাইফ থেকেই দেখে আসছি- শিবিরের পোলাপানদের একই কথা; "দেখো আমরা কত ভালো- যারা রাজাকার রাজাকার করে তারা কেমন- তাদের মুখ খরাপ- এই খারাপ-ঐ খারাপ....", আজ এই ব্লগেও দেখি- রাজাকারদের বিরুদ্ধে যখন ফাইট শুরু হয়েছে- তখন এখানকার চিহ্নিত রাজাকাররা কেমন গালিগালাজের বিরুদ্ধে সমস্বরে কথা বলা শুরু করে দিয়েছে!!! দুঃখের বিষয়, আমাদের মধ্যে কয়েকজন যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বুকে ধারণ করেন, তারাও বিষয়টি না বুঝেই, একই সাথে দুই দাবিকে পাশাপশি আনছেন!!! ফলে, শিবিররাও সমানে তাদের বাহবা দিয়ে যাচ্ছে। গালির ব্যাপারে আরেকটি যুক্তি শোনা গেল।

পল্লব মুনতাকার ঐ পোস্টে গালি দিয়ে কি লাভ হয়েছে? এ ধরণের পোস্টকে পুরোপুরি ইগনোর করতে হবে- এবং গঠনমূলক ভাবে সমস্যা বাটনে গিয়ে সমস্যা জানাতে হবে। ------------> ঐ পোস্টের ব্যাপারে কম করে হলেও ১৫/২০ টা অভিযোগ পাঠানোর পরেও তা কিন্তু মুছা হয়নি। ফলে সমস্যা বাটনে জানান দিয়েও কি লাভ হয়েছে? বা লাভ হচ্ছে??? বলতে পারেন, লাভ হয়েছে। জামাতের প্রেস রিলিজ মুছা হয়েছে। কিন্তু সেটাকে কাজের কাজ মনে করিনা।

কেননা সেটা একধরণের স্টানবাজী। রাজাকারপুত্র ওয়ামি নিজেও পোস্ট দিয়ে জামাত যোদ্ধাবন্ধুদের এ ধরণের পোস্ট না দেয়ার ব্যাপারে উপদেশ দিয়েছে!! একটু মিলিয়ে নিন, বুঝতে পারবেন। আর, ইগনোরের যে প্রসঙ্গ আনছেন, সেটা গালিগালাজের ব্যাপারে আপনি করতে পারেন। কিন্তু দেশদ্রোহী কোন কথা-বার্তায় আমার দ্বারা তা সম্ভব নয়। ধন্যবাদ।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।