আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পুরো উপদেষ্টা পরিষদ হতে হবে নির্দলীয়

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আদলেই অন্তর্বর্তী সরকারের রূপরেখা তৈরি করছে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি। তবে রূপরেখায় এবার বিগত তত্ত্বাবধায়ক পদ্ধতিতে বিচারপতিদের মধ্য থেকেই যে প্রধান উপদেষ্টা করার বাধ্যবাধকতা ছিল_ তা থেকে সরে আসছে দলটি। সে ক্ষেত্রে অন্য পেশাজীবীদের মধ্য থেকে প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচন করার প্রস্তাবনা করা হচ্ছে। রূপরেখা অনুযায়ী পুরো উপদেষ্টা পরিষদই হতে হবে নির্দলীয় ব্যক্তি। উপদেষ্টার সংখ্যা ৭ অথবা ৯ হলেও আপত্তি থাকবে না বিএনপির।

তবে দলটির পছন্দ ১১। বিরোধী দলের এমন রূপরেখা চূড়ান্ত পর্যায়ে। সরকারের সঙ্গে এ নিয়ে যে কোনো স্থানে আলোচনা করতেও প্রস্তুত তারা। আর এ রূপরেখা শীঘ্রই জাতির সামনে তুলে ধরা হবে। দলীয় সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সোমবার এক সেমিনারে বলেন, শীঘ্রই অন্তর্বর্তী সরকারের রূপরেখা তুলে ধরা হবে। গতকাল এ প্রসঙ্গে তিনি বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, আমরা নির্বাচনকালীন সরকারের রূপরেখা তৈরি করছি। সময়মতো তা প্রকাশ করা হবে। রূপরেখায় কি থাকছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সময় হলেই সবকিছু জানানো হবে।

জানা যায়, গতকাল চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে সফররত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) একটি প্রতিনিধি দলের কাছে বিরোধী দলের নেতারা এমন রূপরেখা তুলে ধরেন।

এর আগে সোমবার রাজধানীর এক হোটেলে বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের কাছেও এমন রূপরেখাই তুলে ধরেন দলের নেতারা। কূটনীতিকদের বিএনপি নেতারা সাফ জানিয়ে দেন, প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি কিংবা স্পিকারের অধীনে বিরোধী দল কোনো নির্বাচনে অংশ নেবে না। আর নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে তারা সরকারের সঙ্গে যে কোনো স্থানে সংলাপে বসতেও প্রস্তুত। সূত্র জানায়, নির্বাচনকালীন সরকারের রূপরেখা জাতিসংঘের কাছেও তুলে ধরতে চায় বিএনপি। এ কারণেই অনেকটা আগেভাগেই রূপরেখা করা হচ্ছে।

ইতোমধ্যেই বিএনপি জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগদানের আমন্ত্রণ পেয়েছে। তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগ দেওয়ার ওপর নির্ভর করছে বিরোধী দলের নিউইয়র্কে যাওয়া না যাওয়া। সূত্রে জানা গেছে, তিন দিনের সংক্ষিপ্ত সফরে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে চলমান রাজনৈতিক বিষয়সহ নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে জাতিসংঘের প্রতিনিধির সঙ্গে কথা বলবেন তিনি। একইভাবে প্রধান বিরোধী দল বিএনপিরও দুই সদস্যের একটি প্রতিনিধি দলের ওই অধিবেশনে যোগদানের কথা রয়েছে।

সেখানে অংশ নিয়ে তারাও নির্বাচনকালীন সরকার পদ্ধতি তুলে ধরবেন। এ প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল জানান, তাদের যাওয়ার বিষয়টি এখনো চূড়ান্ত হয়নি। জানা যায়, বিএনপির রূপরেখায় বাতিল হওয়া তত্ত্বাবধায়কের আদলেই নতুন করে কিছু ব্যবস্থার কথা বলা হবে। উচ্চ আদালতের রায়ে বিচারপতির মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান করার ব্যাপারে নিরুৎসাহিত করায় বিকল্প হিসেবে আলোচনার মাধ্যমে একজন নিরপেক্ষ ব্যক্তিকে বেছে নেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হচ্ছে। যদিও দুই দলের পাঁচজন করে সদস্যের সমন্বয়ে উপদেষ্টা পরিষদ গঠনেও বিএনপির আপত্তি নেই।

তবে কৌশলগত কারণে এ বিষয়টি তারা প্রস্তাবে উত্থাপন নাও করতে পারে। বিকল্প আরও অনেক কিছুই ক্ষতিয়ে দেখছে বিএনপি। তবে দলীয় বা রাজনৈতিক কোনো ব্যক্তিকেই নির্বাচনকালীন সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে গ্রহণ করবে না দলটি। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন জানান, আগামী নির্বাচনকালীন সময়ের রূপরেখা আমরা তৈরি করছি। তবে রূপরেখা যাই হোক দলীয়, দ্বিদলীয় কিংবা বহুদলীয় সরকারের অধীনে আমরা কোনো নির্বাচনে যাব না।

নাম তত্ত্বাবধায়ক কিংবা অন্তর্বর্তী হওয়া নিয়ে আমাদের আপত্তি নেই। তবে নির্বাচনকালীন সরকারের কর্তাব্যক্তিদের অরাজনৈতিক হতে হবে।

 

 

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.