আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দেশপ্রেমিক ব্লগারদের প্রতি বিহংগের খোলাচিঠি

One of the things I keep learning is that the secret of being happy is doing things for other people.

(মিরাজ ভাইয়ের লিখার পর আর কিছু লিখার নেই, তারপরও বিবেকের তাড়নায় লিখতে হলো) বারবার কি আমরা চলে যাবো প্রান্তর খালি করে দিয়ে। বাগাড়ের উচ্চিষ্ট অপাংক্তেয় বর্জ্য যদি শকুনের মুখে এসে আমার আংগিনায় দৈবাত পড়ে যায়,আমার করনীয় কি? উদ্যান ছেড়ে যাওয়া, নাকি শকুন তাড়ানো। স্বাধীনতার পর ১৯৭৮ সাল পর্যন্ত পাকিস্তান আর ইংল্যান্ডে গোলাম আযম নির্বাসিত ছিলেন। ক্ষমতার পালাবদলে টেম্পোরারি ভিসায় মৌলবাদের বীজ আবার রোপিত হলো আমাদের স্বপ্নের ভূমিতে। ১৯৯৪ সালে মহামান্য সুপ্রিম কোর্ট সেই বিষবৃক্ষকে এদেশের আলো বাতাসে বলীয়ান হওয়ার চিরস্থায়ী সুযোগ করে দিলো।

আর এই কিছুদিন আগেই আমাদের মহামান্য হাইকোর্ট খারিজ করে দিলো পিশাচের বিরুদ্ধে রাস্ট্রদ্রোহিতার মামলা। ১৯৭১ সালের সেই গোলাম আযম, নূরুল আমিন আর লে:জে:টিক্কাখানের এদেশের নিরীহ মানুস খুনের সেই ছবি এখন শুধু দাঁত খেলিয়ে হাসে। আমরা কিছুই করতে পারিনি। পবিত্র সংসদে যখন হায়েনার আনাগোনা বাড়ে,আমাদের সংবিধানে শকুনের আঁচড় লাগে তখনো আমরা কিছুই করতে পারিনি। কারন আমাদের কৌশলে ভুল ছিলো।

ঠিক , এইখানে ,এই ভার্চুয়াল মন্চে ছেলেখেলায় জড়িয়ে স্বাধীনতার স্বপ্ন বুকে লালন করা স্বপ্নবাজরা নির্বাসিত। এ দুঃখ কাদের। এই সবুজের জমিনে রক্তের স্রোতস্বিনির প্রবাহমানে যা হয়নি,মুখের বাগাড়ের পুঁতিগন্ধময় গালিতে তা হয়ে যাবে,ভুল ,অমার্জনীয় ভুল। সক্রেটিস বলেছিলেন,ন্যুনতম যোগ্যতা যার নাই , তাকে আমি এড়িয়ে চলি,তার সাথে লজিকে যাওয়াতো শুধুই পাগলামি। আইরিন খানকে আমরা কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছি, আমাদের মুখ থেকে আরিলের মা পর্যন্ত রেহাই পায়নি।

খুব দুর্ভাগ্য। ভুল , অমার্জনীয় ভুল। নরওয়েজিয়ান বেনিয়া হিসাবে উপহাস করেছি। কিন্তু বাংলার অফুরন্ত সম্পদ নিয়ে যে বেসাতি চলছে তার কি করতে পেরেছি। একবার চোখ খুলুন।

Gas and energy develoment is another rape of bangladesh.মাগুর ছড়া, হরিপুর পুড়ে পুড়ে ছারখার হয়ে গেছে। লুটপাট শেষ হয়েছে অনেক আগেই। যার 20% prifit , এ দেশের গুটিকয়েক অংশীদাররা যাদের আমি blood suckers of poor bangladeshi বলতে ভয় পাইনা,তাদের পকেটে। আর বাকী 80% ,Multinational foreign company জোকের মতো চুষে খেয়েছে। সুন্দরবনের Block-5 এনার্জি ফিল্ড এখন unocol, oxidental,chevron এর পথ ধরে আগ্রাসি কোম্পানি গিলে খাওয়ার পথে।

সারা পৃথিবীর অহংকার ,সুন্দরবনের tiger and wild life ধ্বংস হওয়ার প্রহর গুনছে। ১৫০ মিলিয়ন গরীবের রক্ত আর হাড় ভাংগা পরিশ্রমের সুদের কিস্তি আমাদের নোভেল দিয়েছে। হায়রে আফসোস, বিশ্ব বানিজ্য বেসাতি করে আমরা দারিদ্র্যকে যাদুঘরে পাঠানোর স্বপ্ন দেখেছি,যে দেশে এখন ৮০০ টাকা চালের বস্তা ১৮০০ টাকা। এসব আমাদের কতুটুকু ভাবিয়েছে। কিছুই করতে পারিনি।

শুধু আরিলেকেই নির্বোধের মতো বেনিয়া হিসাবে উপহাস করেছি। । কিন্তু- যেখানে আমরা ফুলের মতো নিস্পাপ শিশু প্রাপ্তির মৃত্যুর সাথে টিকে থাকার কথা জানলাম, সুন্দরবান, ককসবাজারের বিশ্বজয়ে এগিয়ে আসার কথা জানলাম, এস,এম এসের মাধ্যমে অর্থের যোগান দিলাম রাহেলার বিচারের দাবীতে সোচ্চার হলাম অফুরন্ত সম্ভাবনাময় চিন্তাশীল মানুষের আনাগোনায় শামিল হলাম, একে , অপরকে জানলাম, বন্ধুত্ব, সহমর্মিতা,সাহচর্য্য ,পারস্পরিক বন্ধনে আবদ্ধ হলাম, ভালোবাসার আবেশে সামহয়ারের বর্ষপূর্তি পালন করলাম সেখানে আজ তা স্থবির হয়ে আছে। তা কখনো হতে পারেনা। আমরা ছিলাম, আমরা আছি,আমরা থাকবো।

৬৮হাজার বর্গমাইলের প্রিয় ভূমি যেমন আমাদের ,তেমনি এ ভার্চুয়াল জমিনের এক ইন্চিও আর কাউকে ছাড় দেয়া যাবেনা। দেশপ্রেমিক যারা গালিবাজ নাহয়েও ব্যন হয়েছেন তাদের সাথে নিয়েই থাকবো। আমার বন্ধু প্রতিম মুকুল, সামী, নেই মানুষ,আরাশি,মানুষ ,নরাধম,বিষাক্ত মানুষ সবাইকে নিয়েই থাকবো। পরিশেষে বলি, we will live by the principle that each of us should do all the good we can in all the ways we can in all the places we can for all the people we can while we can. (রাজাকাররা কিন্তু মানুষ না)। প্রিয় সাথীরা, একবার চিন্তা করুন, আমরা চলে গেলে লাভ কার? শকুনির আনীত বর্জ্যে আমার আংগিনা খালি থাকতে পারেনা।

শানিত বুদ্ধি দিয়ে, কোশলী হয়ে ,বিচক্ষনতা নিয়ে আমাদের আগাতে হবে। আপনাদের প্রতি অফুরন্ত ভালোবাসা রইলো।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।