আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

'বাংলাদেশই আমার ঠিকানা'

১১ সেপ্টেম্বর, বৃহস্পতিবার, ২০০৮; সময় বেলা ১১টা ৪০ মিনিট। জাতীয় সংসদ ভবনের সাব-জেল থেকে মুক্ত হলেন আপসহীন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। ততক্ষণে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল ও এর অঙ্গ-সংগঠনের নেতা-কর্মীরা অধীর আগ্রহে প্রহর গুনছেন, কখন বেরিয়ে আসবেন আমাদের প্রাণপ্রিয় দেশনেত্রী। কেন যেন প্রতিটি নেতা-কর্মীর হৃদয়ের স্পন্দনে মনে হচ্ছিল তিনি বেরিয়ে আসবেন, যাবেন অকাল-প্রয়াত স্বামী স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ জিয়ার মাজারে। ক্ষণিকের জন্য হলেও কোনো নেতা-কর্মীর হৃদয়ে একবারের জন্যও মনে হয়নি তিনি প্রথমেই যাবেন আদরের সন্তান জান্তার নির্মম নির্যাতনে যন্ত্রণাকাতর [তারেক রহমান] পিনুকে দেখতে পিজি [বিএসএমএমইউ] হাসপাতালে।

সবার এ বিশ্বাসকে সত্য করে দুপুর ১২:২০ মিনিটে জনতার বাঁধভাঙা স্রোতের মধ্য দিয়ে পাঁচ মিনিটের হেঁটে যাওয়া পথ, ধূসর রঙের গাড়িতে করে সাব-জেল থেকে শহীদ জিয়ার মাজারে যেতে লেগেছে ৪০ মিনিট। লাখো জনতাকে সঙ্গে নিয়ে শহীদ জিয়ার মাজারে দুই হাত তুলে আল্লাহর কাছে মোনাজাত করে, চোখের জলে প্রিয় স্বামীর আত্দার শান্তি কামনা করে, পাগল-প্রাণ ছুটলেন পিজি হাসপাতালের ৪৩২ নং কেবিনে। অতি আদরের জ্যেষ্ঠ সন্তান দেখতে। সামান্য এতটুকু পথে জনতার স্রোত আর স্লোগানমুখর কর্মীদের আবেগাপ্লুত ভালোবাসার গণ্ডি পাড়ি দিয়ে জিয়া উদ্যান থেকে শাহবাগে যেতে সময় লেগেছিল প্রায় দেড় ঘণ্টার ওপর।

১৯ জানুয়ারি, শনিবার, ২০০৮ সাল।

কিছুক্ষণ আগেই সূর্য অস্ত গেছে, রক্তিম গোধূলিলগ্ন, সন্ধ্যা ৫টা ৫২ মিনিট। ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের ৬ নং শহীদ মইনুল রোড। একটি গাড়ি থেকে নেমে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে সিঁড়ি ভেঙে বারান্দায় উঠতে পারছিলেন না সাদা পাজামা-পাঞ্জাবি পরিহিত তারেক রহমান। বারান্দার এক পাশে কফিনে প্রিয় নানী তৈয়বা মজুমদারের মরদেহ, বুঝতে দেরি হলো না পিনুর। তিনি ভুলেই গিয়েছিলেন ক্র্যাচ ছাড়া দুই পায়ে ভর করে সিঁড়ি ভেঙে বারান্দায় উঠতে অপারগতার কথা।

আবেগাপ্লুত সবচেয়ে আদরের দৌহিত্র স্বয়ং অসুস্থ সে কথাটি তার স্মরণে নেই। তিনি ছোটবেলার মতো লনের ওই সবুজ ঘাসে নানুকে নিয়ে যেভাবে দৌড়ঝাঁপ দিয়ে কানামাছি ভোঁ-ভোঁ খেলতেন, ঠিক তেমনি সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠতেই হোঁচট খেয়ে পড়ে গেলেন। অদূরে দাঁড়ানো দুই সেনা কর্মকর্তা চিলের মতো উড়ে এসে তারেক রহমানের হাতের দুই ডানা ধরে ভালোবাসা ও শ্রদ্ধাভরে বুকে জড়িয়ে কোলে তুলে নিয়ে এলেন বারান্দায়। অতি আদরের পিনু নির্বাক দৃষ্টিতে আছড়ে পড়লেন তৈয়বা মজুমদারের কফিনের ওপর। পাশে দাঁড়ানো স্ত্রী ডা. জোবায়দা অশ্রুসজল নয়নে পিনুকে জড়িয়ে ধরে কফিন থেকে আগলে তুলতে ব্যর্থ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই একমাত্র কন্যা জাইমা জড়িয়ে ধরল বাবাকে।

অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলেন সবাই। স্বজনহারা আর্তনাদের ক্রন্দন ক্ষতবিক্ষত করল উপস্থিত সবার হৃদয়কে।

হয়তো তখন তার মনে পড়ছিল বাবাকেও একদিন এভাবে চিরবিদায় দিয়েছিলেন; কিন্তু তখন কাছে পেয়েছিলেন মমতাময়ী মা আর আদরের ছোটভাই আরাফাত রহমান কোকোকে। কিন্তু আজ তারা জীবিত থেকেও পাশে নেই। কি কষ্টের, কি যন্ত্রণাময় জীবন! যেন কোথাও কেউ নেই।

বাড়ির পূর্ব পাশের লনে তারেক রহমানের অনুরোধে জানাজার ব্যবস্থা করা হলো। উপস্থিত প্রায় সবাই ক্ষণিকের মধ্যে অজু সেরে জানাজায় অংশগ্রহণ করলেন। সন্ধ্যা সোয়া ৭টার মধ্যে তারেক রহমানকে নিয়ে তার কারারক্ষীরা প্রস্থান করল। এর আগে, জান্তা সরকার অসুস্থ তারেক রহমানকে নানীর মরদেহ দেখাবে বলে দুই ঘণ্টা শাহবাগ থানায় বসিয়ে রেখেছিল। এদিকে বিকাল ৪টা ৩৬ মিনিটে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার কনিষ্ঠ সন্তান কোকোকে হাসপাতালের প্রিজন সেল থেকে বের করে ৬ নং মইনুল রোডের বাড়িতে এনে গাড়ি থেকে নামানো হয় হুইল চেয়ারে করে।

নানীর লাশ দেখে আবেগাপ্লুত হয়ে ডুঁকরে কেঁদে উঠেছিলেন কোকো। পিশাচ সীমারের চেয়েও নিষ্ঠুর আচরণ করল মইনউদ্দিন-ফখরুদ্দীন সরকার। ভাগ্যের নির্মম পরিহাস। তিনি জানাজা পড়তে পারেননি প্রিয় মাতামহের। জান্তা সরকার ওই দিন সন্ধ্যা ৫টা ৪৮ মিনিটে আরাফাত রহমান কোকোকে জেলহাজতে পাঠিয়ে মাত্র চার মিনিটের ব্যবধানে প্রিয় নানীর মরদেহের পাশে উপস্থিত করে তৈয়বা মজুমদারের ভীষণ আদরের দৌহিত্র তারেক রহমানকে।

পিনু আর কোকো নাবালক থাকতে এতিম হয়েছিলেন। আততায়ীর হাতে শাহাদাতবরণ করেছিলেন স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীরউত্তম।

তারপর রাত ৯টার দিকে তৈয়বা মজুমদারের দ্বিতীয় কন্যা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়ে আসা হয় শহীদ মইনুল রোডের বাড়িতে। যে সেনাবাহিনীকে কাপড়ের জুতা পরে প্যারেড করতে হতো, ঠিকমতো তিন বেলা স্বাস্থ্যকর খাবার পরিবেশন করা হতো না, যারা এ দেশে সেনাবাহিনীর প্রয়োজন নেই বলে বিশ্বাস করত আর অন্যদিকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে যিনি মর্যাদা দিয়েছিলেন, সেই স্বাধীনতার ঘোষক, সেক্টর কমান্ডার, সেনাপতি শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী, তিন তিনবারের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া তার কফিনের পাশে এসে দাঁড়ালেন। কত না নিষ্ঠুর, নির্দয়, ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে আজ জননীর অতি আদরের পুতুল, তার দুই সন্তান, দুই পুত্রবধূ ও তিন নাতনিকে নিয়ে মা তৈয়বা মজুমদারের শেষকৃত্যে অংশ নিতে পারেননি।

বেগম জিয়া পারেননি মাতৃবিয়োগে ভারাক্রান্ত হৃদয় নিয়ে পিনু আর কোকোর কাঁধে ভর দিয়ে মায়ের মরদেহ দেখতে। কত না নিষ্ঠুর ষড়যন্ত্র ছিল মইনউদ্দিন-ফখরুদ্দীন গংদের। ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস! যারা আজ মহীয়সী নারী তৈয়বা মজুমদারের শেষ বিদায়ের আয়োজন করবে, খাটিয়া বহন করে দাফন-কাফনের ব্যবস্থা করবে, তারাই চক্রান্তের শিকার।

বাংলাদেশকে একটি অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করার লক্ষ্যে পরাশক্তির নীলনকশার ষড়যন্ত্রে ১৯৮১ সালের ৩০ মে শাহাদাতবরণ করেন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। এই চক্রান্তের ফলশ্রুতিতে ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ জেনারেল এরশাদ বন্দুকের নলের মুখে নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি বিচারপতি আবদুস সাত্তারের কাছ থেকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখলের মাধ্যমে গণতন্ত্রকে পদদলিত করেন।

দেশ ও জনগণের দাবির মুখে স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্রের ঝাণ্ডাকে সমুন্বত রাখার লক্ষ্যে বেগম জিয়ার রাজনৈতিক জীবন শুরু হয় ১৯৮২ সালের ৩ জানুয়ারি, বিএনপির প্রাথমিক সদস্য পদ গ্রহণের মধ্য দিয়ে। ১৯৮৪ সালের ১০ মে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দলের চেয়ারপারসন নির্বাচিত হন বেগম খালেদা জিয়া এবং শুরু করেন এরশাদ-বিরোধী আন্দোলন-সংগ্রাম। ১৯৮৬ ও ১৯৮৮ সালে স্বৈরাচার এরশাদের পাতানো নির্বাচনে অংশ না নিয়ে তিনি এ দেশের জনগণকে সঙ্গে নিয়ে লড়াই, আন্দোলন, সংগ্রাম করে ১৯৯০ সালে এরশাদ সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করেন। অপরদিকে ১৯৮৬ সালে চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক লালদীঘি ময়দানে শেখ হাসিনা বলেছিলেন, 'যারা এই নির্বাচনে অংশ নেবে তারা জাতীয় বেইমান। ' কিন্তু পরের দিনই তিনি নির্বাচনে অংশগ্রহণের ঘোষণা দিয়েছিলেন।

বেগম জিয়া রাজপথে আন্দোলন-সংগ্রাম চালিয়ে ও নির্বাচনে না গিয়ে স্বৈরশাসকের পতন ঘটিয়ে তিনি হয়েছিলেন আপসহীন নেত্রী, গণতন্ত্রের মানসকন্যা। ১৯৯১ সালের ৬ আগস্ট পঞ্চম জাতীয় সংসদে একাদশ সংশোধনীতে ঐতিহাসিক সংসদীয় গণতন্ত্রের বিল পাসের মাধ্যমে বাংলাদেশে প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন বেগম খালেদা জিয়া। সুশাসন, সামাজিক ন্যায়বিচার ও অর্থনৈতিক মন্দা কাটিয়ে দুর্নীতিমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠার ঊষালগ্নে সংসদ বর্জন সংস্কৃতির উদ্ভাবক শেখ হাসিনা এ দেশের গণতন্ত্রকে নস্যাতের জন্য সর্বমোট ১৭৩ দিন হরতাল করেছিলেন। তার মধ্যে শুধু ৯৬ দিন হরতাল-অবরোধ করেছিলেন তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য।

২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর বিশ্ববাসী ইলেকট্রনিক মিডিয়ার বদৌলতে একবিংশ শতাব্দীর নিষ্ঠুর বর্বরতা দেখছিলেন স্বয়ং পিতা-মাতা টেলিভিশনের পর্দায় কীভাবে প্রকাশ্য দিবালোকে লগি-বৈঠা নিয়ে সাপের মতো পিটিয়ে তার সন্তানকে হত্যা করা হয়।

২০০৭ সালের ২২ জানুয়ারির নির্বাচন সুপরিকল্পিতভাবে বয়কট করে ১/১১'র অবৈধ সরকারের জন্ম দেন আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বেনিয়াদের নীলনকশা অনুযায়ী জেনারেল মইনের ছয় ঘোড়ায় সওয়ার হয়ে সুরঙ্গ পথে আসা টাকার বস্তা দিয়ে ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের পাতানো নির্বাচনে জয়লাভ করে শুরু হলো শেখ হাসিনার দ্বিতীয় এপিসোড।

বিসমিল্লাহ হলো বিডিআরের ৫৭ সেনা কর্মকর্তা হত্যার ম্যাসাকার দিয়ে। সাংবাদিক সাগর-রুনি হত্যা, মিডিয়া-দলন, খুন-গুম, ক্রসফায়ার, পদ্মা সেতু কেলেঙ্কারি, বিরোধী দলের শীর্ষ নেতাদের গ্রেফতার ও মিথ্যা মামলা, সোনার ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও টেন্ডারলীগ, শীর্ষ সন্ত্রাসীদের মুক্তি, বিচার বিভাগ দলীয়করণ, বারবার জ্বালানি ও বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি, ধর্ষণের রেকর্ড, সীমান্ত হত্যা, কাঁটাতারে ফেলানীর ঝুলন্ত লাশ ও বিচারের নামে প্রহসন, শেয়ারবাজার লুট ও ৩৩ লাখ বিনিয়োগকারীর কপালে হাত, কুইক রেন্টালে বছরে ৩৫ হাজার কোটি টাকা লোপাট, ভঙ্গুর ব্যাংকিং ব্যবস্থা, ডেসটিনি, হলমার্ক, ইউনি-পে-টু, বিসমিল্লাহ গ্রুপ কেলেঙ্কারি, কালো বিড়াল উপাখ্যান, সরকারি দলের প্রায় ৭২০০ মামলা প্রত্যাহার, রানা প্লাজা ধস, ঝাঁকুনি তত্ত্ব ও রেশমা নাটক, গ্রামীণব্যাংক ব্যবচ্ছেদের প্রস্তুতি, নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধিসহ সর্বশেষ শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামকে নিধন-হাড়গোড় উদ্ধার ইত্যাদি।

১/১১'র জান্তারা পরাশক্তির মদদে চেয়েছিলেন তিনবারের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মাইনাস টুয়ের নাটক সাজিয়ে মূলত মাইনাস ওয়ান করা।

আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আবারও তারই পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে ক্ষমতা কুক্ষিগত করার প্রয়াসে লিপ্ত। হায়রে অপরিণামদর্শী, ক্ষমতার দম্ভে বধিররা জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুনের ফোন পেয়ে রসিকতা করে বলেন, কি করেছেন তিনি? সিরিয়া, মিসর, লিবিয়া আর ইরাকে! কেনইবা তার কথা শুনে সমঝোতায় বসতে হবে খালেদা জিয়ার সঙ্গে! ঠিক এ সময় স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের পাতানো নির্বাচনকে গণতন্ত্রের স্বার্থে মেনে নিয়েছিলেন বেগম জিয়া। এই দিনে ৩৭২ দিন কারাবরণ শেষে মুক্তি পেয়েছিলেন দেশনেত্রী খালেদা জিয়া। স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পলায়নরত অবস্থায় জিয়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বলেছিলেন, মইনউদ্দিন-ফখরুদ্দীন তার আন্দোলনের ফসল। আর যখন বিমানবন্দরে অপেক্ষমাণ বিমানে জোর করে উঠিয়ে বিদেশ পাঠাতে চেয়েছিল জান্তারা তখন দেশনেত্রী খালেদা জিয়া বলেছিলেন, 'আমি এ দেশ ছেড়ে কোথাও যাব না।

বিদেশে আমার কোনো ঠিকানা নেই, বাংলাদেশই আমার ঠিকানা। '

লেখক : সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ও আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক, বিএনপি।

 

 

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.