নামের সাথে কামের কিছু মিলতো থাকবোই
ব্লগিং ধারনাটি কোথা থেকে এসেছে আমার জানা নেই। তবে এটি প্রতিটি ব্যক্তির উন্মুক্ত নিজস্ব ডায়েরী। যেখানে একজন ব্যক্তি তার নিজের দৈনিন্দন ঘটনা, চিন্তা-ভাবনা, ধ্যান ধারনা-মতবাদ ইত্যাদি লিখে রাখবে। বলা যায় ব্যক্তিগত ডায়েরীর এর অনলাইন ভার্সন।
আমি যখন পঞ্চমশ্রেনীতে পড়ি তখন ছোটদের মধ্যে বিতর্কে ফাস্র্ট হয়ে জেলা থেকে বিভাগীয় পর্যায়ে গিয়েছিলাম তখন স্থানীয় একটি পত্রিকায় আমার ছবি ছাপা হয়েছিল।
নিজের ছবি কোন মিডিয়াতে গেলে কত ভাল লাগে, কেন নেতারা ঘনঘন টিভি ক্যামেরার সামনে পোজ মারেন তা বুঝেছি ।
তখনও আমাদের গ্রামে বিদ্যুত যায়নি। তাই এ নিয়ে একটি লেখা পত্রিকাতে পাঠালাম। আমাকে অবাক করে দিয়ে লেখাটি ছাপালো। আমি বিশাল উতসাহ নিয়ে সবাইকে সেটি পড়িয়ে ছাড়লাম।
যেহেতু প্রায় শুরু থেকেই এখানে আছি তাই সময়ের সাথে বিভিন্ন ঘটনা দেখার সুযোগ হয়েছে। দেখেছি প্রাপ্তির প্রতি ভালবাসা। দেখেছি ভুমি ধ্বসে ক্ষতিগ্রস্তলোকদের প্রতি সহানুভুতি। সিডরে আক্রান্তের পাশে দাড়ানো। সা.ইনের শুরুর ক্ষুদ্র পরিবার দিনে দিনে বিশাল মহিরুহে পরিনত হয়েছে।
আর তাই খুবই স্বাভাবিক কারনে কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছে। হাজারো লোকের সমাবেশ যেখানে সেখানে হাজারো মতের সমাবেশ থাকাই স্বাভাবিক। আর সবার সহ্য ক্ষমতা এক নয়, প্রকাশভঙ্গী এক নয়। আর তাই জনৈক (........) ভাল লেখকের (যিনি গালিকে একটি শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছেন ) লেখা গোগ্রাসে গিলেছি কিন্তু কোন মন্তব্য করিনি। ভয় ছিল কি বলতে কি বলবো আর গালি খাবো।
দেখাগেল যেখানে তিনি কলার বাগানকে শৈল্পিক দৃষ্টিতে দেখছেন সেখানে আমি দেখছি খাবার হিসেবে ।
সা.ইন বিশাল পরিবার বিধায় এখানে সমাজের নামিদামী লোক যারা সমাজে স্বনামে সুপরিচিত তাদের থেকে শুরু করে আমার মতো অখ্যাত লোক অবলীলায় থেকে গেছে। কারো কলমের(কীবোর্ডের) এতই ক্ষুরধার যে গোটা বাংলাদেশ তোলপাড় হয়ে যায়। নামী-দামী লোক কে পদত্যাগ করতে হয়। কেউ ফিরে পায় হারানো গৌরব।
অনেক লেখকের অসাধারন লেখা পড়ার সুযোগ হয়েছে যা হয়তো পত্রিকার পাতায় পড়ার সুযোগ হতো না। অবাক হয়নি যখন মামার বাসায় গিয়ে মামাতো ভায়ের গায়ে রাজাকার বিরোধী টিশার্ট দেখলাম। সা. ইন খুলে দেখালাম এই টি শার্টের উদ্যোক্তা কারা।
ইন্টারনেট একটি উন্মুক্ত প্লাটফরম। ব্লগ একটি স্বাধিন জায়গা যেখানে সবার মত প্রকাশের জায়গা রয়েছে।
তবে "স্বাধিন" শব্দটির অর্থ অনেকের কাছেই স্বেচ্ছাচারিতা মনে হয় বিধায় সমস্যার সু্ত্রপাত ঘটে। স্বাধিনতার মানে সবার কাছে এক নয় বিধায় স্বাধিন দেশেও আইনের প্রয়োজন হয়। তাই বিশাল ভুমিকা লিখে আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানে যা এসেছে তা কর্তৃপক্ষকে অবহিত করি। যে সকল কার্যক্রম হাতে নিলে সুস্থ ব্লগিং সম্ভব হতে পারে বলে আমার ধারনা তা হলো নিম্নরূপ:
১. ধর্ম, দেশ, সম্মানিত ব্যক্তি, গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে লেখা
২. কাউকে গালি দেয়া
৩. অশ্লীল ছবি পোস্ট করা
৪. ফ্লাডিং করা
৫. কাউকে হুমকি দেয়া
৬. স্বাধিনতা-মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কটুক্তি করা
এই সকল (আরো হতে পারে) বিষয়ে কোন প্রকার কারন দর্শানো ছাড়াই মুছে ফেলতে হবে।
সাইটি টি পরিচালনার জন্য বেতনধারী মডারেটর প্রয়োজন নেই।
প্রতিটি গ্রুপের একজনকে মডারেটর করে দিলেই হলো। তিনি তার গ্রুপের সদস্যদের লেখা নিয়ন্ত্রন করবেন।
একটি "সাধারন" গ্রুপ করা যেতে পারে যেখানে সবাই বাইডিফল্ট প্রাথমিক সদস্য হবে। অন্যগ্রুপে যোগদিলে তার এই গ্রুপ সদস্য পদটি হারাবে।
এক গ্রুপের বিরুদ্ধে বা গ্রুপের নাম ধরে কোনো সদস্যকে সমালোচনা করা যাবে না, প্রয়োজনে কর্তৃপক্ষকে জানানো যেতে পারে।
।
যে কারো লেখা অন্তত ৫টি(+) না পেলে প্রথম পাতায় আসতে পারবে না।
একটি পোস্টের ৩০ মিনিটের মধ্যে দ্বিতীয় পোস্ট দিতে পারবে না।
সাধারনত ব্যবহার্য্য গালিসুচক শব্দগুলো ফিল্টারিং এর ব্যবস্থা করতে হবে।
যে কারো লেখার সমালোচনা করতে হবে ব্যক্তিকে নয়।
ব্যক্তি আক্রমন নিষিদ্ধ করতে হবে।
(আপাতত এতটুকুই... আরো কিছু মনে হলে পরে সংযোজন করা যেতে পারে। গঠনমুলক প্রস্তাব/সমালোচনা সাদরে গৃহিত হবে)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।