নিজেকে দিয়েছো ছেড়ে দ্রুতগামী উল্কাপিণ্ডের সাথে।
কেন যে অদৃশ্য ডানা নিয়ে তবু উড়ে আসে উন্মাদ গান
ঘুমের দেশ হতে নবজাগ্রত ডালিম ফুলের মতো
সংকেতময়, আততায়ীর নিঃশব্দ চোখ, যেন
আরও হিম করে দেয় ঘুমহীন রাত্রির বাতাস !
রক্তের ভেতর রৌদ্রের বীজাণু অহর্নিশ কেঁদে চলে
স্তব্ধতার মন্দিরের দিকে
আজন্মকাল, হলুদ জ্যোৎস্না ভেবে ঝরাপাতার প্রার্থনা
কুয়াশার রাক্ষুসী দাঁতের নিচে-- আঘাতে আঘাতে
খসে পড়ছে কেবলি ক্ষুধা ও কামনাকাতর ডানা...
২.
গাছ বড় হলে ছোট হয়ে যায় পথ-- মাটির তলায়
লুকোনো মার্বেল পাথরের মতো তার দীর্ঘশ্বাসগুলো
বাতাসে ভেসে ভেসে কোনো এক স্তব্ধ জানালার পাশে
শব্দহীন, ঝরে-- কিছু পাতা-- কিছু গান
ভেসে যায় কেবল আরও দূরে অন্য এক গানের খোঁজে...
৩.
আমাকে অন্ধ করে কোথায় চলে যায় সে।
রৌদ্র, ঝিল্লীর থেকে সারি সারি চিতাগ্নি এসে
চোখ পুড়ে যায় শুধু; উজ্জীবিত ডানায়
যতো নিরর কোলাহল, পিছু ফেলে
ভীত সিংহের চিন্তার ভেতর বসে থাকি।
এখানে অগ্নিচু দানবের মতো সমস্ত পাড়া কাঁপিয়ে
রক্তয়ী বার্তা আসে কেবলি রক্তয়;
কোথাও অকস্মাৎ উড়ে যায় সবুজ বসন্ত
আর আমি ছিন্ন পালকের ফাঁদে আটকা পড়ে যাই।
মরজীবনের পাতা ছেড়ে কোনো একদিন
অবিনাশী আয়নার ভেতর দিয়ে উড়াল দেবো আমিও!
৪.
উন্মাদ পিয়ানোর মতো তুমি বেজে ওঠেছিলে
মৃদু কম্পনে, যতো পথ জেগেছিল পথের বিপরীতে
আমি তাদের গোধূলির সাথে চলে যেতে দেখেছি একদা
মৃত লণ্ঠনের নিচে যে পথে ঝরে পড়ে রিক্ত হলাহল
গোপন উল্কি, ডানাভাঙা পোকাদের গান
এখন সেইপথে নিষ্কাশিত হচ্ছে আমার কঙ্কাল...
৫.
যেনো কোথাও বর্শিতে ঝুলে আছে মৎস্যপ্রাণ
শাদা, পালকের আড়ালে কিছু ঢেউ
কিছু উন্মাতাল পথের চোখ নড়বড়ে বিশ্বাসের মতো
দোল খায়, প্রাচীন ঘণ্টাধ্বনির দিকে
নিভৃতে টুপটাপ ঝরে পড়ে কালের দীর্ঘশ্বাস--
মৃদুমন্দ টের পাই, অর্ধেক জীবন নিয়ে
যখন সবুজ সুতো চলে যায় দূরের নগরে
হাড়ের ভেতর সেই বর্শি বিষটান দিয়ে চলে...
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।