নিজেকে নিয়ে কিছু একটা লেখার চেষ্টা, এখোনো করে যাচ্ছি . . .
ঠিক আজ থেকে বছর ৫আগে যখন নেট মানেই ছিল চ্যাটিং, ইয়াহু’র চ্যাট রুম, বিভিন্ন অনলাই ফ্রেন্ডশীপ সাইটগুলি ভিজিট করা। এগুলো আমার কথা বলছি, নেটের ব্যস্ততাই ছিল এগুলোকে ঘিরে। সূত্রপাত ঠিক সেখান থেকেই একরকম ঘনিষ্ঠতাই পরবর্তীতে ভার্চূয়াল জগতে জুটে যায় অনেক বন্ধু বিশেষত মেয়ে বন্ধু।
বয়সের সাথে সাথে যেন কিছুটা চুপসে যায় সেই পুরানো আগ্রহ, আগের মত ব্রাউজ, রুম গুলোতে ঢু দেয়া না হলেও স্বাক্ষর হিসেবে যাদেরকে ম্যাসেঞ্জারে এ্যাড করে রেখেছিলাম তাদের উপস্থিতি প্রতিনিয়তই ছিল এবং অদ্যবধিও। সে বাধনেই কখনও নিজেকে হালকা করিনি কিন্তু অন্য প্রান্ডে যারা ছিল কিছুটা হলেও দূর্বল বোধ করত, সেটা যেমন বুঝতে পারতাম তাদের আচরণে তেমনি তাদের চেহারার বহি:প্রকাশে।
যাই হোক অন্য পসঙ্গে আসি, পুরোটাই ভার্চুয়াল জগত, বিশ্বাস-অবিশ্বাসটাও তাই আপেক্ষিপ ব্যপার। এত দূরে থেকেও সবসময় আপডেট কখন ঘরে ফিরি, দেরী হলে কেন’র উত্তর প্রস্তুত রাখা, কোন নতুন গার্ল ফ্রেন্ড আছে কিনা, হয়েছে কিনা, ইত্যাদি ইত্যাদি সন্দেহের তালিকা। যাই হোক বিরক্তের চেয়ে বরঞ্জ উপভোগই করতাম।
শেষের দিনের ঘটনাটি বলি, যা আগে কখনো হয়নি, মেয়েটা জাপানীজ, কলেজ পড়–য়া, নেট রিলেশন প্রায় বছর দুয়েক কিংবা তারও কিছু বেশী। যেভাবেই হোক অন্য যেকোন দেশের অন্যদের তুলনায় এই মেয়েটি একটু বেশী আগ্রহী এবং আবেগী, সবসময় যেন একটি অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে চায় যা কখনোই আমি সেরকম ভাবিওনা ভাবতেও চাইনা।
আমার কর্মক্ষেত্রে কিছু জাপানী ডেলিগেট এসেছে বানিজ্য সংক্রান্ত কাজে, সে সূত্রেই পরিচয়, কাজ, ফোনালাপ ইত্যাদি ইত্যাদি। যে টিম লিডার ছিল সে মাত্র গ্রাজুয়েট করা একটি মেয়ে। এ কথা নেটের মেয়েকে বহু আগেই জানিয়েছে বিশেষত কিছু জাপানী ভাষা শেখার উদ্দেশ্যেই। সেদিন যখন ওর সাথে চ্যাট করছি কিছুক্ষন পর আর ভাল লাগছিলনা কিন্তু সাইন আউটও করতে পারছিলাম না কি করি উঠি, বানিয়ে বলে দিলাম
” দেখ, অফিসের জাপানী ডেলিগেট আমাকে আমন্ত্রণ করেছে ওদের এক প্রোগ্রামে, সারাদিনের প্রোগ্রাম, লাঞ্চ থেকে শুরু করে ডিনার পর্যন্ত, পার্ক, শপিং, পার্টি শেষে ডিনার”
এ কথা বলতেই পুরো মুখে আধার নেমে এল, কারণটা জানাতেই
আমি কি ওই মেয়েটার সাথে থাকব কিনা? লাঞ্চ, ডিনার ওর সাথে কিনা, রাতের পার্টিতেও থাকবে কিনা ইত্যাদি প্রশ্ন
সব হ্যা উত্তর মেয়েটি আরো ক্ষেপছে আমি যেন বেশী না মিশি, না কাছে যাই, পার্টিতে স্পেশাল পরামর্শ, আরও অনেক এডভাইস।
আমি যতই বলি আরে তারা তো ডেলিগেট, তাছাড়া ওই টিম লিডারের সাথেও তো কোন সম্পর্ক নাই ! তবুও !!!
একথা বলেই এক্ষুনি বের হতে হবে বলে নেট থেকে আউট হয়ে গেলাম।
সবচেয়ে মজার কথা হল ঠিক এ এপ্লাইটি অন্য সবকটি দেশের মেয়েগুলোর এপ্লাই করেছিলাম সবারই একই রকম আচরণ, আমাদের দেশের মেয়েদের খুব বেশী চেনা হয়নি তবুও যতটুকু চিনি তাতে মনে হয় বিশ্বের সব মেয়েরাই একই রকম বিশেষ একটি জায়গায়!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।