আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কি খাবেন? ওষুধ না অসুখ? ধূমায়িত প্রশ্ন!

andharrat@জিমেইলডটকম

সূত্র : সমকাল বিশৃগ্ধখল দেশের ওষুধ বাজার মান ও মহৃল্য নিয়šúণহীন প্রতীক ইজাজ অনিয়ম-বিশৃগ্ধখলায় ছেয়ে গেছে দেশের ওষুধ বাজার। মান ও মহৃল্য কিছুতেই নেই নিয়šúণ। ভেজাল ওষুধে সয়লাব বাজার। ব্যাঙের ছাতার মতো বাড়ছে নিবল্পব্দনহীন ওষুধের দোকান। খোলাবাজারে যেনতেনভাবে বিত্রিক্র হচ্ছে ওষুধের কাঁচামাল।

কোন ওষুধটি আসল ও কোনটি নকল, তা যেমন নিরূপণ করা যাচ্ছে না, তেমনি নির্ধারণ করা যাচ্ছে না ওষুধের সঠিক মহৃল্য। গা শিউরে ওঠা এসব তথ্য জেনেও নিশ্চুপ রয়েছে ওষুধ প্রশাসন পরিদফতর। শুধু দেশের ভেতরেই চার হাজার কোটি টাকার ওষুধের বাজার ও এ থেকে সরকারের ৫০০ কোটি টাকার রাজস্ট^ আয় হলেও এর সুফল পাচ্ছে না সাধারণ মানুষ। ওষুধ গবেষকরা দেশের ড্রাগ টে¯িদ্বং ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা-নিরীক্ষার ক্ষেত্রে শুভগ্ধকরের ফাঁকির কথা উল্কেèখ করে বলেন, নমুনা হিসেবে ল্যাবরেটরি যে ওষুধ পায় তাতে শুধু ওষুধের পরিমাণগত দিক ঠিক আছে কি-না (অ্যাকটিভ ইনগ্রিডিয়েন্ট) তা দেখা হয়। কিন্তু ওষুধের কার্যকারিতা বা মান দেখা হয় না (এক্সিপিয়েন্ট)।

বঙ্গবল্পব্দু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ^বিদ্যালয়ের ফার্মাকোলজি বিভাগের গবেষকরা সমকালকে বলেন, একটি আদর্শ ওষুধ কোল্ফক্সানির ওষুধের পরিমাণ মাপার জন্য এইচপিএলসি (হাই পারফরম্যান্স লিকুইড ত্রেক্রামোটোগ্রাফি) ও আইআর (ইনফদ্ধারেড ¯েক্সকট্রোসকপি) মেশিন, ক্যাপসুল-ট্যাবলেট বানানোর জন্য অটোমেটিক মেশিন, সঠিকভাবে প্যাকেজিং ও সর্বোপরি মান নিয়šúণ করা প্রয়োজন। ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের ওষুধ প্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক ড. আ ব ম ফারুক বলেন, দেশে প্রতি বছর ১২ হাজার ব্র্যান্ডের ওষুধ তৈরি হয়। প্রতি মাসে একটি কোল্ফক্সানির তিনটি করে নমুনা ওষুধ সংগ্রহ করলেও ৩৬ হাজার ওষুধের নমুনা পরীক্ষা করতে হবে। তিনি বলেন, বছরে অšøত ৬০ হাজার ওষুধের নমুনা পরীক্ষা করতে হয় অথচ ঢাকা ও চট্টগ্রামের ড্রাগ টে¯িদ্বং ল্যাবরেটরিতে প্রতি বছর বড়জোর চার হাজার নমুনা ওষুধ পরীক্ষা করা সল্ফ¢ব। বাকি ৫৬ হাজার ওষুধ কোনো ধরনের পরীক্ষা ছাড়াই চলে যাচ্ছে রোগীদের কাছে।

অন্যদিকে ওষুধ তৈরির কাঁচামাল খোলাবাজারে বিত্রিক্র নিষি™ব্দ হলেও তা মানছে না কেউই। ওষুধ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ওষুধ তৈরিতে কাঁচামাল থেকে শুরু করে প্যাকিং পর্যšø ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে হয়। কাঁচামাল খুবই ¯ক্সর্শকাতর। নির্দি®দ্ব তাপমাত্রায় যথাযথভাবে সংরক্ষণ না করলে কার্যকারিতা ন®দ্ব হয়ে যায়। অথচ ওষুধ প্রশাসন পরিদফতর, ওষুধ শিল্কপ্প সমিতি ও বাংলাদেশ কেমি¯দ্ব অ্যান্ড ড্রাগি¯দ্ব সমিতিসহ সরকারের সংশিè®দ্ব বিভাগের চোখের সামনে রাজধানীর বৃহৎ ওষুধের মার্কেট মিটফোর্ডে শতাধিক দোকানে বিভিল্পু ওষুধের কাঁচামাল নোংরা ও স্যাঁতসেঁতে পরিবেশে বিত্রিক্র হচ্ছে।

এ ব্যাপারে বাংলাদেশ কেমি¯দ্ব অ্যান্ড ড্রাগি¯দ্ব সমিতির সভাপতি সাদেকুর রহমান বলেন, সরকার উদ্যোগী না হলে খোলাবাজারে কাঁচামাল বিত্রিক্র বল্পব্দ করা সল্ফ¢ব নয়। আবার কাঁচামালের মান পরীক্ষার কোনো ব্যবস্ট’াও দেশে নেই। এর ফলে দেশি-বিদেশি নিল্ফুমান, ভেজাল ও চোরাই ওষুধে দেশের ওষুধের বাজার ছেয়ে গেছে। বাংলাদেশ কেমি¯দ্ব অ্যান্ড ড্রাগি¯দ্ব সমিতির দাবি, বেসরকারি হিসাবে প্রতি বছর ১ হাজার ২০০ কোটি টাকার ওষুধ চোরাপথে বাংলাদেশে প্রবেশ করছে। এর মধ্যে ভারতের ৩৩ শতাংশ ওষুধই নকল, ভেজাল ও নিল্ফুমানের।

প্রত্যšø গ্রামাঞ্চলের হাতুড়ে ডাক্তার ও দেশের বিপুলসংখ্যক নামসর্বস্ট^ ওষুধ কো¤ক্সানি এসব নকল, ভেজাল ও নিল্ফুমানের ওষুধ তৈরি এবং বাজারজাত করছে। ওষুধ প্রশাসন পরিদফতরের খাতা-কলমে বর্তমানে দেশে ২৩০টি কো¤ক্সানি অ্যালোপ্যাথিক ওষুধ তৈরি করছে। কিন্তু বাজার ঘুরে ৫০টির বেশি কো¤ক্সানির অস্টিøÍ^ খুঁজে পাওয়া যায়নি। অথচ ওষুধ প্রশাসন পরিদফতরের কাঁচামাল আমদানির রসিদ বইয়ে সব কো¤ক্সানির নামই দেখা গেছে। ওষুধ প্রশাসন পরিদফতর অত্যাবশ্যকীয় ওষুধের তালিকায় মাত্র ১১৭টি (জেনেরিক) ওষুধের নাম লিপিব™ব্দ করেছে।

অথচ বিশ^স্ট^াস্ট’্য সংস্ট’া ৩৫০টি ওষুধকে অত্যাবশ্যকীয় বলে চিহিক্রত করেছে। আর দেশের বাজারে চালু রয়েছে ৬০০-এরও বেশি ওষুধ। কো¤ক্সানিগুলো জেনেরিকের নামে তৈরি করছে ২০ হাজারেরও বেশি ওষুধ। এর মধ্যে মাত্র ১১৭টির মহৃল্য সরকার নির্ধারণ করে দিয়েছে। সরকারি নীতি অনুযায়ী, এর মধ্যে কমপক্ষে ৬০টি ওষুধ কো¤ক্সানিকে তৈরি করতে হবে; কিন্তু মুনাফার কথা বিবেচনা করে দেশীয় কো¤ক্সানিগুলো তা-ও করছে না।

ওষুধের মহৃল্য নির্ধারণের ব্যাপারে জাতীয় ওষুধ নীতি প্রণেতাদের একজন ও গণস্ট^াস্ট’্য কেন্দ্রের প্রকল্কপ্প সমল্প^য়ক ডা. জাফরুল্কèাহ চৌধুরী সমকালকে বলেন, দেশের ভেতরে বছরে চার হাজার কোটি টাকার ওষুধ বিত্রিক্র হচ্ছে। কিন্তু বর্তমান চড়া মহৃল্য কমলে ২০০৮ সাল নাগাদ বিত্রিক্রর পরিমাণ দাঁড়াবে আট হাজার কোটি টাকায়। এর জন্য ওষুধগুলোর মহৃল্য সরকারকে নির্ধারণ করে দিতে হবে। বিজ্ঞানী, ওষুধ প্রস্ট‘তকারক কো¤ক্সানির স্ট^Í^াধিকারী ও ব্যবসায়ীরা বলছেন, ১৯৮২ সালে প্রণীত জাতীয় ওষুধ নীতি এবং ১৯৯৪ সালের সরকারি আদেশের সঠিক বাস্টøবায়ন না হলে ওষুধ বাজারকে নিয়šúণ করা যাবে না। দেশি ও বহুজাতিক ওষুধ কো¤ক্সানিগুলোর ওপর সরকারের তদারকি বাড়াতে হবে।

সংশিè®দ্বরা ওষুধ বাজারের বিশৃগ্ধখলার জন্য প্রথমেই ওষুধের বাজার দেখভাল করার কাজে দায়িÍ^রত একমাত্র সরকারি প্রতিষ্ঠান ওষুধ প্রশাসন পরিদফতরকে দায়ী করেছেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রয়োজনীয় লোকবলের অভাব ও নানা অনিয়মের কারণে এটি এখন একটি কাগুজে প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। ওষুধ প্রশাসন পরিদফতর থেকে জানানো হয়েছে, বর্তমানে সারাদেশে ২৩০টি অ্যালোপ্যাথিক, ২০৪টি আয়ুর্বেদিক, ২৯৫টি ইউনানি ও ৭৭টি হোমিওপ্যাথিকসহ ৮০০টি ওষুধ প্রস্ট‘তকারী কো¤ক্সানি রয়েছে। এছাড়া ৫৯ হাজার ১৫৩টি লাইসেন্সধারী ও প্রায় সমসংখ্যক লাইসেন্সবিহীন পাইকারি ও খুচরা ওষুধ বিত্রেক্রতা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এত সব প্রতিষ্ঠানের ওষুধের কাঁচামাল আমদানি ও প্রস্ট‘তকৃত ওষুধ আমদানি, ওষুধ ও কাঁচামাল প্রস্ট‘ত, বিপণন ও রফতানি সংত্রক্রাšø যাবতীয় কাজ, লাইসেন্স প্রদান, গুণগত মান যাচাই, ওষুধের নমুনা সংগ্রহ করে ড্রাগ টে¯িদ্বং ল্যাবরেটরিতে পাঠানো ও দাফতরিক কাজ পরিচালনার জন্য পরিদফতরে মোট কর্মকর্তা-কর্মচারীর সংখ্যা মাত্র ৭৪ জন।

৬৪ জেলার মধ্যে ড্রাগ সুপার রয়েছে মাত্র ২৪ জেলায়। পরিদফতর সহৃত্র বলছে, রুটিন কাজ করেই শেষ করা যাচ্ছে না। ওষুধের গুণগত মান দেখব কী করে। ওষুধের সার্বিক ব্যবস্ট’া পর্যবেক্ষণের জন্য পরিদফতর পাঁচটি পৃথক কমিটিও গঠন করেছে। এগুলো হলো ড্রাগ অ্যাপিলেট অথরিটি, ড্রাগ প্রাইজিং কমিটি, ড্রাগ প্রাইজিং টেকনিক্যাল সাব-কমিটি, ড্রাগ কন্ট্রোল কমিটি ও ম্যানুফ্যাকচারিং প্রজেক্ট ইভালুয়েশন কমিটি।

কিন্তু এসব কমিটির মধ্যে মšúী, সচিব থেকে শুরু করে খোদ ওষুধ প্রস্ট‘তকারী প্রতিষ্ঠানের লোকজন থাকায় কমিটিগুলো কখনোই স্ট^াধীনভাবে কাজ করতে পারছে না। এ পর্যšø এসব কমিটির কোনো ওষুধ কো¤ক্সানি বা ব্যবসায়ীদের বিরু™েব্দ কোনো কার্যকর ব্যবস্ট’া গ্রহণের কোনো নজির নেই। দেশে উৎপাদিত সব ওষুধের গুণগত মান, নকল, ভেজাল ও নিল্ফুমান যাচাইয়ের জন্য ঢাকার মহাখালী ও চট্টগ্রামে স্ট’াপিত দেশের দুটি ড্রাগ টে¯িদ্বং ল্যাবরেটরির অবস্ট’াও খুবই নাজুক। সরেজমিন মহাখালীর ড্রাগ টে¯িদ্বং ল্যাবরেটরি ঘুরে দেখা গেছে, ওষুধ পরীক্ষার জন্য অত্যাবশ্যকীয় যšúপাতি যেমনÑ দুটি এইচপিএলসি, আইআর ¯েক্সকট্রোফটোমিটার, ভায়াসত্রক্রমাটোগ্রাফি, এটোমিক আবজারভেশন ¯েক্সকট্রোফটোমিটারসহ অন্যান্য যšúপাতি বছরের পর বছর ধরে ন®দ্ব হয়ে পড়ে রয়েছে। এমনকি ১৯৯২ সালে ঢাকা ও চট্টগ্রামের দুটি ওষুধ পরীক্ষাগার পরিচালনার জন্য বিশ^ব্যাংকসহ বিভিল্পু সাহায্য সংস্ট’া ‘ন্যাশনাল কোয়ালিটি কন্ট্রোল অথরিটি ফর ফার্মাসিউটিক্যালস, বায়োলজিক্যাল অ্যান্ড ইমিউনোবায়োলজিক্যালস’ নামে একটি পৃথক সংস্ট’া গঠনের সুপারিশ করেছিল।

এখন পর্যšø তা আলোর মুখ দেখেনি।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।